WPL 2022: জিততে আরও কিছু রান দরকার ছিল- ফাইনালে হেরে ব্যাটারদের দিকে আঙুল মেগের
প্রথম মহিলা প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জিতে ইতিহাস লিখলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মেয়েরা। মেগা ফাইনালে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ৭ উইকেটে হারাল হরমনপ্রীত কৌরের দল। রবিবার ব্রেবোর্নে ফাইনাল ম্যাচে মূলত দিল্লির ব্যাটিং ব্যর্থতাই তাদের হারের জন্য দায়ী।
ম্যাচের পর দিল্লির অধিনায়ক মেগ ল্যানিংও হারের জন্য তাদের ব্যাটিং ব্যর্থতাকেই দুষেছেন। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দু’টি ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ এবং পাঁচটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক এই হারের পর কিছুটা মুষড়েই পড়েছেন। তবে মুম্বইকে কৃতিত্ব দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমরা জিততে মরিয়া ছিলাম, তবে পুরো কৃতিত্ব দিতে হবে মুম্বইকে। তাদের এটা প্রাপ্য। কিন্তু আমাদের টিমের প্রচেষ্টাকেও পুরো কৃতিত্ব দিতে হবে। আমরা আসলে সত্যিই কোনও লক্ষ্য নির্ধারণ করিনি। আমদের আরও কিছু রান করা দরকার ছিল। আমরা আমাদের সেরা ব্যাটিং করিনি।’
আরও পড়ুন: হরমনরা জিতলেন, আর মাঠেই সেলিব্রেশনের বাঁধ ভাঙল রোহিত-সূর্যদের- ভিডিয়ো
তবে ব্যাটাররা না পারলেও, বোলাররা কিন্তু লড়াই করেছিল। মাত্র ১৩২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে ম্যাচ জেতে মুম্বই। মুম্বইয়ের ব্যাটারদের বেশ লড়াই করেই জিততে হয়। তবে মেগ স্বীকার করে নিয়েছেন, হরমপ্রীত কৌর এবং ন্যাট সিভার-ব্রান্টের পার্টনারশিপই ম্যাচের রং বদলে দেয়। তিনি বলেন, ‘বোলাররা খুব ভালো লড়াই দিয়েছিল। আমরা প্রথম ১০ ওভারে ভালো বল করেছি। প্রথম দিকে উইকেট পেয়েছিলাম। কিন্তু হরমনপ্রীত এবং সিভার-ব্রান্ট খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেয়। ওরা খুব ভালো ব্যাটিং করেছিল।’
দিল্লির হয়ে ব্যাট হাতে কিছুটা ভরসা জুগিয়েছিলেন মেগই। ২৯ বলে ৩৫ রান করেন ডিসি-র অধিনায়ক। তিনি বলছিলেন, ‘আমি স্পিন খেলা উপভোগ করেছি। দিল্লি ক্যাপিটালসের সঙ্গে এই অভিজ্ঞতা হওয়াটা উপভোগ করেছি।’
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন দিল্লির অধিনায়ক মেগ ল্যানিং। যিনি আবার অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দু’টি ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ এবং পাঁচটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। কিন্তু এ দিন তাঁর দলের ব্যাটারদের পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক। যার জেরে প্রথম ইনিংসের পরেই কিছুটা চাপে পড়েছিল দিল্লি।
আরও পড়ুন: অনুশীলনে যোগ বিরাটের, কোহলি-কোহলি শব্দব্রহ্মে কাঁপল চিন্নাস্বামী- ভিডিয়ো
মেগ ল্যানিং ছাড়া দিল্লির কোনও ব্যাটারই ক্রিজে দাঁড়াতে পারছিলেন না। ৩৫ রানের মধ্যে তিন উইকেট হারায় দিল্লি। ইসি ওং একাই তিন উইকেট তুলে চাপে ফেলে দেন দিল্লিকে। তবে মেগ ২৯ বলে ৩৫ রান করে কিছুটা লড়াই চালান। তিনি যখন আউট হন তখন দিল্লির স্কোর ৭৪/৫। এর পরেই দিল্লির ব্যাটিং হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে।
হেইলি ম্যাথিউজ চার ওভারে পাঁচ রান দিয়ে তিন উইকেট তুলে নেন। দিল্লির স্কোর একটা সময়ে ছিল ৭৯/৯। সেখান থেকে ভারতের দুই বোলার শিখা পাণ্ডে এবং রাধা যাদব দলের হাল ধরেন। শেষ উইকেটে তাঁরা যোগ করেন ৫২ রান। শিখা ১৭ বলে ২৭ রান করেন এবং রাধা ১২ বলে ২৭ রান করেন। কিছুটা লড়াই করার মতো জমি তৈরি করেন শিখা আর রাধা। ২০ ওভার খেলে দিল্লি করে ১৩১ রান।
১৩২ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২৩ রানে ২ উইকেট হারালেও, হরমনপ্রীত এবং ন্যাট সিভার ব্রান্ট দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নিয়ে যান। তাঁরা ৭২ রানের জুটি গড়েন। হরমনপ্রীত ৩৭ রান করে আউট হয়ে গেলেও, সিভার শেষ পর্যন্ত ছিলেন। ৫৫ বলে ৬০ রান করে তিনি দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন। শেষ পাতে অ্যামেলিয়া কের ৮ বলে ১৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন দলকে ট্রফি জেতানোর ক্ষেত্রে।
For all the latest Sports News Click Here