‘৩০০ বছর আগে কী ঘটেছিল, কে দেখেছে?’, তৈমুরের নাম বিতর্ক নিয়ে সাফাই ছিল করিনার
চলতি সপ্তাহের শুরুতেই সইফ-করিনার দ্বিতীয় সন্তানের পুরো নাম প্রকাশ্যে আসবার পর থেকে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। ‘জেহ’ নয়, তৈমুরের ভাইয়ের আসল নাম জাহাঙ্গীর আলি খান, করিনার লেখা ‘প্রেগন্যান্সি বাইবেল’-এ এমনটাই জানা গিয়েছে। এরপর থেকে কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের নিশানায় পতৌদির নবাব এবং বেগম।
মুঘল সম্রাটের নামানুসারে ছেলের নাম রাখাটা অনেকেরই চোখেই বাঁকা ঠেকেছে। কিন্তু করিনার বন্ধু ও পরিবারের সদস্যরা বেবো ও সইফের সিদ্ধান্তেরপাশে দাঁড়িয়েছে। সন্তানের নাম ঘিরে এই প্রথম বিতর্কে জড়াননি সইফ-করিনা। নিজেদের প্রথম সন্তানের নাম ঘিরেও তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন এই তারকা দম্পতি।
তুরস্কের স্বৈরাচারী শাসক তৈমুর লং-এর নামানুসারে কেন নিজেদের ছেলের নাম রেখেছেন সইফ-করিনা? সেই নিয়ে হাজারো প্রশ্ন উঠেছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। গত বছর বরখা দত্তকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে তৈমুরের নাম বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলেছিলেন বেবো। কিন্তু সাফ জানান, নিজের সন্তানের পছন্দের নাম রাখার স্বাধীনতা তাঁর থাকা উচিত।
‘সকলে মারাত্মকভাবে ইতিহাসের ভিতর ঢুকে গেছে। কিন্তু ৩০০ বছর আগে কী ঘটেছিল কে দেখেছে? এবং আপনারা কী করে জানছেন আমি ওঁনার নামে ছেলের নাম রেখেছে? তৈমুর নামের অর্থ এবং উচ্চারণ আমাদের পছন্দ হয়েছে, সেই কারণেই এই নামটা বেছে নেওয়া হয়েছিল। এটা বাবা-মা’র উপর নির্ভরশীল তাঁরা সন্তানের কী নাম রাখবেন। আগামিকাল যা কিছু ঘটতে পারে… একজন ধর্ষণকারীর নাম যা কিছু হতে পারে, তার মানে এই নয় যে সব সুরেশরা ধর্ষণকারী’, আত্মপক্ষ সমর্থনে বলেছিলেন করিনা।
ট্রোলারদের নিয়ে করিনার বক্তব্য ছিল, ‘ সবার এতো মাথাব্যাথা, তৈমুর ৩০০ বছর আগে কী করেছিল সেই নিয়েও লোকে আলোচনা শুরু করল। ব্যাপারটা হল নাম হিন্দু হোক বা মুসলিম হোক, এই নামটা আমরা পছন্দ করেছি। সইফ নামটাও মুসলিম, আমার এই নামটা দারুণ পছন্দ। কেন আমি আমার পছন্দমতো ছেলের নাম নাম রাখব না?’
চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয়বার মা হয়েছে করিনা। গত মাসে জানা গিয়েছিল তৈমুরের ছোট ভাইয়ের নাম জেহ, যদিও গত সোমবার সেই ধারণা পালটে যায়। পুরো নাম জাহাঙ্গীর হলেও আদর করে জেহ বলেই ছেলেকে ডাকেন করিনা।
For all the latest entertainment News Click Here