স্বর্ণেন্দু সমাদ্দারের টাকার জন্য ভালোবাসিনি, বিয়েও করেছি হাফ হাফ খরচায়ঃ শ্রুতি

রবিবার ঘড়ির কাঁটা মধ্যরাত পেরোতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বড় চমক। বাংলা টেলিভিশনের ‘রাঙা বউ’ শ্রুতি দাস ঘোষণা করলেন মিস থেকে মিসেস হয়েছেন তিনি। হ্যাঁ, পরিচালক প্রেমিক স্বর্ণেন্দু সামাদ্দারের সঙ্গে রবিবার রাতে আইনি বিয়ের পর্ব সেরে ফেলেছেন অভিনেত্রী। সইসাবুদের পাশাপাশি দুই পরিবার, আত্মীয়স্বজন আর ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সাক্ষী রেখে আংটিবদল, মালাবদল, সিঁদুরদানের পর্ব সেরেছেন জুটিতে। দক্ষিণ কলকাতার এক নামী ক্লাবে বসেছিল এই বিয়ের আসর।

সকাল গড়াতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নবদম্পতির একের পর এক ছবি ভাইরাল। শ্রুতির কেরিয়ারের প্রথম মেগা ‘ত্রিনয়নী’, এই সিরিয়ালের সেটেই ১৪ বছরের বড় স্বর্ণেন্দুর সঙ্গে মন দেওয়া-নেওয়া শ্রুতির। বিয়ের পর সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজের নামও পালটে শ্রুতি দাস সামাদ্দার করে ফেলেছেন নায়িকা। টেলিপাড়ার নতুন বউকে শুভেচ্ছা জানাতে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল শ্রুতির সঙ্গে। অভিনন্দনের জোয়ারে ভাসছেন অভিনেত্রী। প্রেমটা খুল্লমখুল্লা তবে শ্রুতি-স্বর্ণেন্দুর বিয়ের খবর টের পায়নি কাকপক্ষীও। কেন গোপনে বিয়ে? হাসিমুখে শ্রুতির জবাব, ‘বলে কয়ে আমাদের কিছু হয় না। তাই হঠাৎ করেই আমরা সবটা ঠিক করি, সেটা বেড়াতে যাওয়া হোক বা কিছু কেনা কেটা। বিয়ের আয়োজনের সবটাই এক মাসের প্ল্যানিং-এ হয়েছে, খুব ঘরোয়াভাবে এই অল্প সময়ের মধ্যে আমরা দুজনে যতটা পেরেছি, করেছি।’ মিসেস সামাদ্দার হয়ে কেমন অনুভূতি? রাঙা বউ জানালো- ‘খুব ভালো, স্বপ্নপূরণের মতো….’।

বিয়ের পর কয়েকঘন্টা কাটতে না কাটতেই শ্যুটিং সেটে শ্রুতি। বরের নির্দেশেই চলছে কাজ। কালরাত্রির বদলে একইসঙ্গে শ্যুটিং করবেন দুজনে। নায়িকা বললেন- ‘এই দেরি করে তৈরি হচ্ছি বলে এক্ষুনি ঝার খেলাম (স্বর্ণেন্দু), এটাই পেশাদারিত্ব, এটাই ভালোবাসা’।

<p>চলছে সই-সাবুদের পর্ব  (ছবি-ফেসবুক) </p>

চলছে সই-সাবুদের পর্ব  (ছবি-ফেসবুক) 

স্বর্ণেন্দুর সঙ্গে বয়সের ফারাক নিয়ে কম কটূক্তি শুনতে হয়নি শ্রুতিকে। ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ পেতে প্রযোজক-পরিচালক স্বর্ণেন্দুর সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন তিনি, এমন কটাক্ষও শুনেছেন ‘ত্রিনয়নী’ খ্যাত অভিনেত্রী। চুপিসাড়ে বিয়ে সেরে নিন্দকদের কড়া জবাব দিলেন এই প্রেমিক যুগল। নায়িকার কথায়, ‘শ্রুতি দাস স্বর্ণেন্দু সমাদ্দারের টাকার জন্য ভালোবাসেনি, পাশে থাকার জন্য ভালোবেসেছি। বিয়েটাও করেছি হাফ-হাফ খরচায়। মানসিক শান্তি নিয়ে বিয়েটা করেছি। আমার খরচা আমার, বরের খরচা বরের। দু’জন মিলে ভাগাভাগি করে আমাদের সংসার বেঁচে থাকবে’।

আইনি বিয়ে তো মিটলো, সমাজিক বিয়ে বা রিসেপশন কবে? শ্রুতি বললেন- ‘আমাদের বিয়ে করতে ইচ্ছে করছিল, করে নিয়েছি। এটাই আমাদের বিয়ে, এটাই আমারে রিসেপশন। সামাজিকভাবে যখন বিয়ে হবে, তখন আনুষ্ঠানিকভাবে গায়ে হলুদ, বিয়ে, কালরাত্রি, বৌভাত সবই পালন হবে। সেটা কবে জানি না’।

বিয়েতে সাদা রঙে রং মিলান্তি বর-কনের। স্বর্ণেন্দুর পরনে ছিল সাদা ধুতি এবং পাঞ্জাবি। অন্য দিকে শ্রুতির পরনে সাদা ঢাকাই জামদানি। রুপোর অলঙ্কারে সেজেছিলেন রাঙা বউ। বিয়ের লুক নিয়ে শ্রুতি হিন্দুস্তান টাইমসকে বললেন-‘বহুরূপীর অভিষেকদা (রায়) আমার বিয়ের লুকটা তৈরি করেছে। আর সাজিয়েছে লোকনাথ। আমি অভিষেকদার সঙ্গে বসে অনেক ভেবে চিন্তে এই লুকটা বেছেছি। আমি লেহেঙ্গা পরতে চাইনি। অন্যরকম কিছু চেয়েছিলাম। আমার থেকে পছন্দের রঙ জানতে চাওয়ায় বলেছিলাম, সাদার উপরই সাজটা রাখতে চাই। লক্ষ্য করলে দেখবে শাড়িটা সাদা ঢাকাই জামদানি, তার সঙ্গে সরু লাল পাড় রয়েছে। যে ভেলটা ছিল তাতেও লালের ছোঁয়া রয়েছে। আসলে বাড়ির লোক বলেছিল লালের একটু টাচ যেন থাকে। আর রুপোর গয়নাটা পুরোটাই অভিষেকদার ভাবনা।’

বরের কাছ থেকে বিয়েতে কী কী উপহার পেলেন শ্রুতি? নায়িকা জানালেন স্বামী তাঁকে উপহারে মুড়ে দিয়েছেন। অভিনেত্রী বললেন- আংটি, মঙ্গলসূত্র, নেকলেস দিয়েছে। তবে সবথেকে বড় কথা একটা স্বীকৃতি দিয়েছে। স্বীকৃতিটাই আসল, এই স্বীকৃতির জন্যই এতদিন ধরে বসেছিলাম।’

বিয়ের পর্ব তো মিটলো, হানিমুনে কোথায় চলেছেন শ্রুতি-স্বর্ণেন্দু? মুচকি হেসে জবাব এল- ‘ওই যে একটু আগে বললাম, আমাদের বলে কয়ে কিছু হয় না। প্ল্যানিং রয়েছে মিনি-হানিমুনের। আগে যাই, তারপর সবাইকে জানাব কোথায় গিয়েছি। তবে শ্যুটিংয়ের চাপ সামলে কাছেপিঠেই কোথাউ যাব। না হলে আজ তো আমার ছুটি নেওয়ার কথা, বাড়ি ভর্তি আত্মীয়-স্বজন। কিন্তু কাজটাই আমার প্রথম দায়িত্ব, সেটা করতেই হবে তাই আজও শ্যুটিং চলছি’। সঙ্গে সঙ্গে শটের জন্য ডাক পড়ল রাঙা বউ-এর…..

 

 

 

For all the latest entertainment News Click Here 

Read original article here

Denial of responsibility! TechAI is an automatic aggregator around the global media. All the content are available free on Internet. We have just arranged it in one platform for educational purpose only. In each content, the hyperlink to the primary source is specified. All trademarks belong to their rightful owners, all materials to their authors. If you are the owner of the content and do not want us to publish your materials on our website, please contact us by email – [email protected]. The content will be deleted within 24 hours.