সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের জীবনে শেষ দিনের শ্যুটিং! ‘বাপি’র কথা স্মরণে মেয়ে পৌলমী

৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০। ঠিক একবছর আগের ঘটনা। করোনার ভয়ে যখন কাবু গোটা দেশ; জটিল পরিস্থিতির মধ্যেই শুরু হয়েছিল শ্যুটিং। এসবের মধ্যেও ফ্লোরে দেখা গিয়েছিল কিংবন্তি অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে। বয়সের ভারেও প্রাণের ঝুঁকিকে অনেকটা উপেক্ষা করেই শ্যুটিং ফ্লোরে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এই দিনই শেষবারের মতো ক্যামেরার সামনে হাজির হয়েছিলেন অভিনেতা। 

দক্ষিণ কলকাতার ভারতলক্ষ্মী স্টুডিয়োতে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে ঘিরে ছিল তারকারা। একটি সিরিজের জন্য অভিনয় করছিলেন তিনি। কিন্তু শ্যুটিং শেষ হতেই অসুস্থ হয়ে পড়লেন। দিন কয়েকের মধ্যে করোনা টেস্ট, রিপোর্টও পজিটিভ এসেছিল। মেয়ে পৌলমী ও পরিবারের অন্যান্যরা তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। প্রথম দিকে সুস্থ থাকলেও ধীরে ধীরে অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তারপরই একদিন ‘অপু’র ট্রেন ছুটে গেল অনেক দূর। আর ফিরলেন না তিনি। 




তবে বাবার কথা মনে করে এখনও মন কাঁদে আদুরে মেয়ে পৌলমী বসুর। স্মৃতির পাতা থেকে তাই ছোট্ট একটা ঘটনা শেয়ার করেছেন তিনি। কিংবদন্তি অভিনেতা শেষদিন শ্যুটিং ফ্লোরের ছবি শেয়ার করেছেন মেয়ে।

ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০… এদিন শেষবারের মতো বাপি ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন… একদমই সেইদিন বুঝিনি নতুন একটা অধ্যায় শুরুর সেটাই ছিল শেষ দিন। আজ সারাদিন ধরে গতবছরের এই দিনটায় ফিরে ফিরে গেছি বারবার… ভারতলক্ষ্মী স্টুডিয়োতে শ্যুটিং হয়েছিল… কী এনার্জি ছিল বাপির… আমি অবাক হয়ে যাচ্ছিলাম… সিনেমার প্রতি তাঁর ভালোবাসা কতখানি সেটাই দেখছিলাম… তাতে তিনি কতখানি ডুবে থাকতে পারেন… বাপি তোমাকে আমি খুব ভালোবাসি… ভাইটু, ছোটি, দাদা, আমি তোমাকে প্রতিদিন ভীষণ মিস করি’।

 

 

For all the latest entertainment News Click Here 

Read original article here

Denial of responsibility! TechAI is an automatic aggregator around the global media. All the content are available free on Internet. We have just arranged it in one platform for educational purpose only. In each content, the hyperlink to the primary source is specified. All trademarks belong to their rightful owners, all materials to their authors. If you are the owner of the content and do not want us to publish your materials on our website, please contact us by email – [email protected]. The content will be deleted within 24 hours.