‘সিঙ্গল মাদার হওয়ায় মেয়েকে ভর্তি নেয়নি শহরের বহু নামী স্কুল’, বিস্ফোরক স্বস্তিকা

টলিউড ছাড়িয়ে এখন আরব সাগর পারেও নিজেকে সফল অভিনেত্রী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। একদিকে তিনি আবেদনময়ী, অন্যদিকে তাঁর অভিনয় দক্ষতা বরাবরই নজরকাড়া। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও উঁকিঝুঁকি কম নেই। তবে সবসময়ই নজরকাড়ে স্বস্তিকার স্পষ্টকথা। প্রেম, ভাঙা বিয়ে, সন্তান হোক বা অন্য কোনও বিষয়- সবেতেই অকপট, অনায়স স্বস্তিকা। দীর্ঘ ফিল্মি কেরিয়ারে বিতর্ক হামেশাই সঙ্গে থেকেছে স্বস্তিকার, তবে তিনি কোনওদিনই চুপ থাকেননি।

বছর খানেক আগে জি বাংলা এক টক শো ‘অপুর সংসার’-এ হাজির হয়েছিলেন নায়িকা। আর সেই ভিডিয়োই সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সঞ্চালক শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন ‘আজ থেকে ১৭ বছর আগে সিঙ্গল মাদার হওয়ার কি বেশ কঠিন ছিল?’ স্বস্তিকার উত্তর কঠিন বাস্তবের মুখে দাঁড় করাবে আপনাকে।

অভিনেত্রী জানান, ‘অন্বেষাকে স্কুলে ভর্তি করানোর সময় সবচেয়ে বেশি অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছি। স্কুলের অ্যাডমিশন টেস্টের নোটিশ বোর্ডে লেখা থাকত ভর্তির সময় বাবা-মা দু’জনকেই আসতে হবে। আমি একাই যেতাম। কলকাতার নামী-দামী স্কুল আমার মেয়েকে ভর্তি নেয়নি আমার সিঙ্গল মাদার স্টেটাস-এর জন্য’। আক্ষেপের সুরে স্বস্তিকা যোগ করেন, অনেক সময় স্কুলের অধ্যক্ষদের সঙ্গে কথা বলতে নিজের বাবা সন্তু মুখোপাধ্যায়কেও নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সব শোনবার পর তাঁরা বলতেন, ‘ঠিক আছে এ বছর হল না। পরের বছর আবার চেষ্টা করবেন। কিন্তু এভাবেই পরের বছর পরের বছর বলে কেটে যেত’।

স্বস্তিকা যোগ করতে ভোলেননি এখন পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গিয়েছে। সন্তানের একা-অভিভাবক হওয়াটা এখন বেশি সহজ হয়ে গিয়েছে। বলা বাহুল্য স্বস্তিকার চোখের মণি তাঁর মেয়ে অন্বেষা। সাইকোলজি নিয়ে পড়াশোনা করেছে সে। বছর ২২-এর অন্বেষার সঙ্গে একদম বন্ধুর মতো সম্পর্ক স্বস্তিকার।

মাত্র ১৮ বছর বয়সে গায়ক প্রমিত সেনের সঙ্গে সাত পাঁকে বাঁধা পড়েছিলেন অভিনেত্রী, ২ বছরের মধ্যেই বিয়ে ভাঙে তাঁর। যদিও দীর্ঘ সময় আইনি ঝামেলার মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন তিনি, তাই শাশ্বতকে সরাসরি জানান, জীবনে আর দ্বিতীয় বিয়ে করবেন না। সতেরো বছর ধরে একটা লড়াইয়ের পর আবার আরেকটার মধ‍্যে ঢোকা তাঁর পক্ষে অসম্ভব।

 

 

For all the latest entertainment News Click Here 

Read original article here

Denial of responsibility! TechAI is an automatic aggregator around the global media. All the content are available free on Internet. We have just arranged it in one platform for educational purpose only. In each content, the hyperlink to the primary source is specified. All trademarks belong to their rightful owners, all materials to their authors. If you are the owner of the content and do not want us to publish your materials on our website, please contact us by email – [email protected]. The content will be deleted within 24 hours.