‘সানি ভাই পাকিস্তানের মানুষ আমায় ঘৃণা করবে,’ কেন গাভাসকরকে এমন বলেছিলেন আক্রম?

ভারত বনাম পাকিস্তানের ম্যাচটি অন্য যে কোনও ক্রিকেট ম্যাচের চেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়ে থাকে। এই ম্যাচের পরিবেশটা দেখার মতো। বিপুল সংখ্যক দর্শক ম্যাচটি দেখতে মাঠে আসেন। আগে দুই দেশই নিয়মিত বিরতিতে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলত। যাইহোক, এটি ২০০৮ সাল থেকে হ্রাস পেয়েছে এবং ২০১৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এই দুটি দল শুধুমাত্র আইসিসি টুর্নামেন্ট বা এশিয়া কাপে একে অপরের মুখোমুখি হয়। একই সময়ে, ২০০৯ সাল থেকে দুই দলের মধ্যে কোনও টেস্ট ম্যাচ খেলা হয়নি।

টেস্টে যখন দুই দল মুখোমুখি হয়, তখন কঠিন লড়াই হয়। এই দুই দলের মধ্যকার ম্যাচে ভালো পারফর্ম করে ভারত-পাকিস্তানের অনেক খেলোয়াড়ই অতীতে ও বর্তমানে হিরো হয়ে উঠেছেন। একই সঙ্গে দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে শ্রদ্ধাও দেখা যায়। ভারত-পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের মধ্যেও মাঠে তর্ক-বিতর্ক দেখা গেছে এমন অনেক ঘটনাও ছিল। ১৯৯৮/৯৯ সালে অনুরূপ ঘটনা পরিলক্ষিত হয়েছিল। ওয়াসিম আক্রম তার জীবনী ‘সুলতান-ই মেমোয়ার’-এমন ঘটনা উল্লেখ করেছেন।

আরও পড়ুন… কোন ক্রিকেটার সামলাবেন ভবিষ্যতের টিম ইন্ডিয়ার নেতৃত্ব? উত্তর দিলেন রশিদ খান

এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সময়, কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে খেলা ম্যাচে প্রথম ইনিংসে শোয়েব আখতারের ইয়র্কারে ক্লিন বোল্ড হন তেন্ডুলকর। এই ইনিংসে কোনও রান করতে পারেননি তেন্ডুলকর। একই সঙ্গে দ্বিতীয় ইনিংসে ফিল্ডিং করতে গিয়ে শোয়েব আখতারের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যান তেন্ডুলকর। রান আউট হন সচিন। সেই সময় পাকিস্তানের হয়ে বোলিং করছিলেন ওয়াসিম আক্রম।

সচিন তেন্ডুলকর আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্টেডিয়ামে নিস্তব্ধতা নেমে আসে। তেন্ডুলকরের আউটের জন্য পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের আবেদন স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকরা মানতে পারেননি এবং তারা খুশি ছিলেন না। এরপর ভক্তরা মাঠে ঢিল ছুড়তে থাকেন এবং পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের এই আচরণের বিরোধিতা শুরু হয়। ওয়াসিম আক্রম প্রকাশ করেছেন যে এর পরে ওয়াসিম আক্রমের সঙ্গে কথা বলেছিলেন প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক তথা কিংবদন্তি ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকর।

ওয়াসিম আক্রম নিজের বইয়ে লিখেছেন, ‘বিরতির সময় সুনীল গাভাসকরের সঙ্গে ম্যাচ রেফারি আমার কাছে আসেন। গাভাসকর বললেন- ওয়াসিম, আমরা মনে করি আপনার সচিনকে ফেরত ডাকা উচিত। ভারতে মানুষ আপনাকে ভালোবাসবে। গাভাসকর জানতেন কলকাতার জনতা কতটা পক্ষপাতদুষ্ট হতে পারে। তিনি একবার সেখানে টেস্ট খেলতে অস্বীকার করেছিলেন কারণ তার সঙ্গে খারাপ কিছু ঘটেছিল।’

আরও পড়ুন… রুতুরাজ কি পন্তের চেয়ে ভালো? তরুণ ব্যাটারের সামনে চ্যালেঞ্জটা তুলে ধরলেন অশ্বিন

গাভাসকরের কথা প্রসঙ্গে ওয়াসিম আক্রম বলেছিলেন, ‘সানি ভাই, কিন্তু আমার নিজের ভক্তদের চিন্তা করার আছে। ভারতীয় ভক্তরা আমাকে ভারতে ভালোবাসতে পারে, কিন্তু পাকিস্তানের লোকেরা আমাকে ঘৃণা করবে। যাই হোক এটা আমার সিদ্ধান্ত নয়। আম্পায়ার তাঁকে আউট দেন। আপিল প্রত্যাহার করতে আমার অনেক দেরি হয়ে গেছে। খেলা চলতে থাকে। আমরা সকলেই জানি এটা একটা দুর্ঘটনা, কিন্তু ক্রিকেট দুর্ঘটনায় পূর্ণ। এটা শুধরানোর দায়িত্ব অধিনায়কের নয়।’

মিড উইকেটে বল খেলে তৃতীয় রানে ছুটছিলেন তেন্ডুলকর। নাদিম খান ফিল্ডার ছিলেন এবং তিনি সরাসরি থ্রোতে উইকেটে আঘাত করতে সক্ষম হন। তেন্ডুলকার বল দেখছিলেন এবং দেখেন যে শোয়েব এসেছেন পথে। তেন্ডুলকর ক্রিজে পৌঁছনোর আগেই দুজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। নাদিম পরে স্বীকার করেছেন যে সরাসরি নিক্ষেপ একটি কাকতালীয় ছিল।

For all the latest Sports News Click Here 

Read original article here

Denial of responsibility! TechAI is an automatic aggregator around the global media. All the content are available free on Internet. We have just arranged it in one platform for educational purpose only. In each content, the hyperlink to the primary source is specified. All trademarks belong to their rightful owners, all materials to their authors. If you are the owner of the content and do not want us to publish your materials on our website, please contact us by email – [email protected]. The content will be deleted within 24 hours.