‘মাতৃবিয়োগে’ স্তব্ধ রূপম-শ্রেয়া-ইমনরা, লতাকে ছাড়া খাঁ খাঁ শূন্যতা সংগীত জগতে
করোনাকে হারিয়ে দিয়েও চলে যেত হল লতা মঙ্গেশকরকে। ৯৪ বছর বয়সে সারা দেশের মানুষকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন লতা মঙ্গেশকর। প্রায় ১ মাস লড়াই করেছেন। তাঁর সেরে ওঠার কামনায় দেশের নানা প্রান্তে হয়েছিল যজ্ঞ, মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র পাঠ, প্রার্থনা। সংগীতের জগতে তিনি পরিচিত ছিলেন ‘মা’ হিসেবে। আর তাই মাতৃবিয়োগের যন্ত্রণা কাতর করল দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সংগীতশিল্পীদের।
লতা মঙ্গেশকরের একটি পুরনো সাদা-কালো ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করলেন শ্রেয়া ঘোষাল। তাঁর লেখায় চোখে জল আসবে যে কারও। শ্রেয়া তাঁর পোস্টে লিখেছেন, ‘অসাড় লাগছে, কষ্ট হচ্ছে। গতকাল সরস্বতী পুজো ছিল। আর মা আজ তাঁর আশীর্বাদধন্যকে নিয়ে গেলেন। জানি না কেন মনে হচ্ছে আজ পাখি, গাছপালা, বাতাসও নিশ্চুপ। ভারতরত্ন, কোকিলকণ্ঠী লতা মঙ্গেশকর আপনার সুর অনন্তকাল ধরে প্রতিফলিত হবে। আত্মার শান্তি কামনা করি। ওম শান্তি।’
গায়িকা ইমন চক্রবর্তী লিখলেন, ‘ঈশ্বরের মৃত্যু হয় না ….. দেবলোকে বিরাজ করো মা’। রূপমের পোস্টেও ফুটে উঠল একই যন্ত্রণা। তিনি লিখেছেন, ‘আজ ৬ ফেব্রুয়ারি, আমার মায়ের মৃত্যুদিবস। ১৯৯২ সালে এই দিনটিতেই তাঁকে হারিয়েছিলাম। আজ যাঁকে হারালাম, তাঁকে আমাদের সংগীত-স্মৃতিজগতের জননী ছাড়া আর কী নামে অভিহিত করব?’ শোকাহত নেহা কক্করও।
লতা মঙ্গেশকরকে নিয়ে ভিডিয়ো বার্তা শেয়ার করেছেন এআর রহমান। জানিয়েছেন তাঁর বাবার মাথার কাছে থাকত লতা মঙ্গেশকরের ছবি। প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে লতাজির মুখ দেখে রেকর্ডিংয়ে যেতেন। এমনকী, লতা মঙ্গেশকরের থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েই তিনি এখনও প্রতিটা শো-র আগে তানপুরা নিয়ে রিহার্সল করেন বলে জানান ভিডিয়োতে। তাঁর কথায়, ‘লতাজি শুধু গায়িকা নন, শুধু একজন কিংবদন্তি নন। তিনি ভারতীয় সংগীতের আত্মা। উর্দু কবিতা, হিন্দি কবিতা, বাংলা– নানা ভাষায় তিনি গান গেয়েছিলেন। যা সারাজীবন থেকে যাবে আমাদের সঙ্গে।’
৮ জানুয়ারি মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর। ৩০ জানুয়ারি করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। শারীরিক অবস্থার উন্নতিও হয়েছিল কিছুটা। তবে রবিবার সকালে মাল্টি অর্গ্যান ফেলইয়োর হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
For all the latest entertainment News Click Here