‘মরে যেতে পারে শুনেও একটু ভাবেনি’, ঐন্দ্রিলার ‘বাঁচার লড়াই’ সামনে আনলেন চিকিৎসক

দেখতে দেখতে কেটে গেল পাঁচটা দিন। না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। সেই কবে থেকে জীবনযুদ্ধে লড়ছিল মেয়েটা। তবে সব লড়াইয়েরই তো শেষ আছে। ঐন্দ্রিলার লড়াই শেষ হয় ২০ নভেম্বর দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে। তারকা থেকে সাধারণ মানুষ, সকলেই একবাক্যে মেনে নিয়েছেন ‘ফাইটার’ ঐন্দ্রিলা চলে যাওয়ার আগে বড় শিক্ষা দিয়ে গিয়েছে। প্রমাণ করে দিয়েছেন, মনের জোর থাকলে সব ধরনের লড়াই করা সম্ভব। 

ঐন্দ্রিলার ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়ে সাত বছর ধরে সঙ্গে ছিলেন তাঁর ডাক্তার। যার কাছে তিনি শুধু রোগী না, হয়ে গিয়েছিল ‘মেয়ের মতো’। আনন্দবাজার অনলাইনকে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ‘ক্যানসার হলে অনেকেই গোপন করতে চান। ও কোনওদিন সেই পথে হাঁটেনি। কেমো নেওয়ার পর চুল উঠে গিয়েছে, ওভাবেই বাইরে বেরিয়েছে। কোনওদিন পরচুলাও পরেননি।’

প্রথমবার যখন ঐন্দ্রিলার ক্যানসার হয় তখন তিনি ক্লাস ইলেভেনে পড়েন। সেই কথা বলতে গিয়ে ডাক্তার জানান,  ‘তখনও ঐন্দ্রিলা অভিনেত্রী হয়নি। হতে চাইত। স্কুলে পড়ে। দারুণ জেদ। অনেক লড়াই করে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠে। অভিনয় শুরু করে। স্বাভাবিক জীবনের পথে একটু এগিয়েছে, তখনই ফিরে আসে ক্যানসার। ছ’বছর পর দ্বিতীয়বার ক্যানসার ফেরত এল ওর শরীরে।’

দ্বিতীয়বার ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়ের সময় ফুসফুসে একটি জটিল অস্ত্রোপচারও হয় ঐন্দ্রিলার। বাদ যায় আধখানা ফুসফুস। সেই প্রসঙ্গে ডাক্তার জানান, ‘‘ওটা এতটাই জটিল ছিল যে, ঐন্দ্রিলা অপারেশন থিয়েটারের টেবিলেই মারা যেতে পারত। অস্ত্রোপচারের আগে সে কথা খোলাখুলি বলেছিলাম। মৃত্যু হতে পারে, সে কথাও! তবে ও কান দেয়নি। এক মুহূর্ত না ভেবে বলেছিল, ‘আপনি ওটি করুন’!’’

কলকাতার এক বেসরাকরি হাসপাতালে ক্যানসারের বিশেষজ্ঞ হিসেবে রয়েছেন এই ডাক্তার। জানালেন, ‘ঐন্দ্রিলার মতোই মনের জোর ছিল ওর পরিবার আর বন্ধুবান্ধবদের। তাঁরাও সমান ভাবে লড়াইটা চালিয়ে গিয়েছেন।’

তিনিই জানান, শেষ দিনগুলিতেও মনের জোর হারাননি ঐন্দ্রিলা। ২০ দিন ধরে সমানে লড়ে গিয়েছিলেন। কখনও চিকিৎসায় সাড়া দিয়েছে। একটু ভাল হয়েছে। আবার অবনতি! তবে শেষের দিকের কার্ডিয়্যাক আরেস্টগুলো আর সামলাতে পারেনি মেয়েটা। চলে গেল।

ঐন্দ্রিলাকে ‘ট্রু স্টার’, ‘ট্রু ফাইটার’ বললেন তাঁর চিকিৎসক। তাঁর কথায়, ‘‘লড়াইয়ের ময়দানে কখনও না কখনও, কোনও না কোনও ‘ফাইটার’-কে থামতে তো হয়ই!’’

 

For all the latest entertainment News Click Here 

Read original article here

Denial of responsibility! TechAI is an automatic aggregator around the global media. All the content are available free on Internet. We have just arranged it in one platform for educational purpose only. In each content, the hyperlink to the primary source is specified. All trademarks belong to their rightful owners, all materials to their authors. If you are the owner of the content and do not want us to publish your materials on our website, please contact us by email – [email protected]. The content will be deleted within 24 hours.