ব্যর্থ হল অজি বোলারদের লড়াই,ব্রুক-ওকসের লড়াইয়ে অন্ধকার কাটল,জয়ে ফিরল ইংল্যান্ড
পরপর দু’টি টেস্টে হারের পর অবশেষে তৃতীয় টেস্টে জয় পেল ইংল্যান্ড। সেই সঙ্গে লজ্জার হাত থেকে বাঁচল বেন স্টোকস বাহিনী। শুরু থেকেই টেস্টের গতি প্রকৃতি দেখে বোঝা যাচ্ছিল, তৃতীয় টেস্টে ফল হবে। হেডিংলেতে মূলত দুই দলের বোলাররাই দাপট দেখিয়েছেন। তার মধ্যে ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে সপ্তম উইকেটে হ্যারি ব্রুক এবং ক্রিস ওকসের লড়াই ইংল্যান্ডকে জয় পেতে সাহায্য করে। ম্যাচের চতুর্থ দিনে অজিদের তিন উইকেটে হারায় ব্রিটিশরা।
অ্যাশেজের প্রতিটা টেস্টেই লড়াই হচ্ছে হাড্ডাহাড্ডি। তবে ব্যাজবলের প্রভাবে যেন টেস্ট ম্যাচগুলো পুরো পাঁচ দিনও গড়াচ্ছে না। যেমন হেডিংলেতেই চার দিনেই শেষ হয়ে গেল খেলা। তাও চা-বিরতির আগেই।
ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য ২৫১ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। হাতে ছিল ২ দিনের বেশি সময়। একেবারেই বড় লক্ষ্য নয়। বরং অনেক সহজ টার্গেট ছিল ব্রিটিশদের সামনে। শনিবারের শেষে বিনা উইকেটে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ২৭ রান। কিন্তু রবিবার সকাল থেকেই অজি বোলাররা চেপে ধরার চেষ্টা করে। জ্যাক ক্রলি ৫৫ বলে ৪৪ রান করে শুরুতে কিছুটা ভরসা জোগান। তবে বেন ডাকেট (২৩), মইন আলি (৫), জো রুটরা (২৩) সস্তায় উইকেট ছুঁড়ে দেয়। কিন্তু পাঁচে নেমে হাল ধরেন হ্যারি ব্রুক।
আরও পড়ুন: ODI সুপার লিগ মরেনি- WC কোয়ালিফায়ারে ডাচেদের পারফরম্যান্সের পর দাবি ICC প্রধানের
ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করতে নামার সময়ে ব্রুকের উপর প্রচণ্ড চাপ ছিল। ২৫১ রান তাড়া করতে গিয়ে ইংল্যান্ডের টপ অর্ডার ভেঙে পড়ে। সিরিজে টিকে থাকতে হলে লিডসে টেস্ট ম্যাচ জিততেই হত ব্রিটিশদের। এদিকে বেন স্টোকস (১৩) এবং জনি বেয়ারস্টোও (৪৫) সঙ্গ দিতে পারেননি ব্রুককে। তবে ক্রিস ওকস যোগ্য সঙ্গত করেন ব্রুককে। সপ্তম উইকেটে ৫৯ রান যোগ করে ইংল্যান্ডের জয়ের ভিত মজবুত করেন ব্রুক এবং ওকস। ৯টি চারের সাহায্যে ৯৩ বলে ৭৫ রান করে ব্রুক সাজঘরে ফিরলেও, ওকস উইকেটে টিকে থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। ওকস ৪৭ বলে ৩২ করে অপরাজিত থাকেন। মার্ক উড ৮ বলে অপরাজিত ১৬ করেন।
মিচেল স্টার্কের ৫ উইকেট কোনও কাজে এল না। ৩ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নিয়ে লজ্জার হাত থেকে বাঁচল ইংল্যান্ড। এছাড়া প্যাট কামিন্স এবং মিচেল মার্শ ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে অজিরা ২৬৩ রান করে। মিচেল মার্শ ১১৮ বলে ১১৮ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন। তা না হলে আরও খারাপ দশা হত অস্ট্রেলিয়ার। ইংল্যান্ডের মার্ক উড একাই নেন ৫ উইকেট। তিন উইকেট নেন ক্রিস ওকস। ২ উইকেট নেন স্টুয়ার্ড ব্রড।
জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে প্যাট কামিন্সের দাপটে ২৩৭ রানে অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড। একমাত্র বেন স্টোকস ৮০ রান করেন। বাকিদের হাল তথৈবচ। কামিন্স ৬ উইকেট নেন। ২ উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক।
ম্যাচের তৃতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া নড়বড় করতে করতে কোনও রকমে ২২৪ রান করে। ট্র্যাভিস হেডের ৭৭ রান আর উসমান খোয়াজার ৪৩ রান কিছুটা অক্সিজেন দেন। বাকিদের ল্যাজেগোবরে হাল হয়। স্টুয়ার্ড ব্রড, ক্রিস ওকস ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মার্ক উড এবং মইন আলি। ২৬ রানে এগিয়ে থাকার সুবাদে অস্ট্রেলিয়া ২৫০ রানের লিড পায়। তবে চতুর্থ দিনেই সেই রান তুলে ফেলে ইংল্যান্ড। জয় ছিনিয়ে নিয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ২-১ করে কিছুটা স্বস্তি পেলেন বেন স্টোকসরা।
For all the latest Sports News Click Here