বাঁচাল মিঠাইয়ে হাত! শেষ এপিসোডে দেখা নেই কৌশাম্বির, সঙ্গে থাকছে ডবল ধামাকা
অবশেষে হাজির সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় শেষবারের মতো টিভির পর্দায় হাজির হবে ‘মিঠাই’। ‘সুখে-দুখে-মিষ্টিমুখে’ গত আড়াই বছর ধরে বাঙালি সিরিয়ালপ্রেমিদের নিখাদ বিনোদনের রসদ জুগিয়েছে মোদক পরিবারে। অবশেষে ইতি পড়ল সেই জার্নিতে। শেষবেলাতেও একঝাঁক চমক রইল সিদ্ধার্থ-মিঠাইয়ের তরফে। পিছিয়ে থাকলেন না সোম-তোর্সাও। জিফাইভে ইতিমধ্যেই এসে গিয়েছে মিঠাইয়ের ‘অন্তিম পর্ব’-এর প্রিমিয়াম এপিসোড।
কী কী ঘটল শেষপর্বে? চলুন জেনেনি। শুরুতেই হাসপাতালে দেখা মিলল চিন্তিত সিদ্ধার্থ মোদকের। মিঠাইয়ের ডান হাত বাদ দিতে হবে, চিকিৎসকের মুখে একথা শুনে বুক কেঁপে ওঠে উচ্ছেবাবুর। ডান হাত না থাকলে মিঠাই মিষ্টি তৈরি করতে পারবে না, আর তেমনটা ঘটলে ‘মিঠাই তো মরেই যাবে’ তা অজানা নয় তাঁর। তীব্র যন্ত্রণা সহ্য করেও মিঠাইরানি হাসিমুখে জানায়, হাত বাদ পড়লেও তাঁর চিন্তা নেই কারণ তাঁর আরেকটা ডান হাত রয়েছে। এরপর সে ইশারা করে উচ্ছেবাবুর দিকে।
মিঠাই যখন অপারেশন থিয়েটারে কেবিনে বসেই ছেলে-মেয়েকে নিয়ে প্রার্থনা চালিয়ে যায় সিদ্ধার্থ। এরপর গানে গানে গোপাল স্মরণ করে মোদক পরিবার। পরে ডাক্তারবাবু জানান, মিরাকেল ঘটেছে এবং মিঠাইয়ের হাত বাঁচানো গিয়েছে। হাসপাতালে বসেই সিদ্ধার্থ মোদক গোপালকে প্রমিস করে মিঠাই বাড়ি ফিরলে সে নিজের হাতে পিঠেপুলি করে গোপালকে খাওয়াবে।
এরপর মোদক বাড়িতে শুরু মিঠাইয়ের শেষ সিকুয়েন্স। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলে মিঠাইরানিকে ‘ভালোবাসতে আসছে তোমায়…..’ গানেই ‘ওলেকাম’ (পড়ুন ওয়েলকাম) জানাল দাদাই-ঠাম্মি-সহ পরিবারের বাকি সদস্যরা। সবাইকে চমকে দিয়ে শেষ এপিসোডে হাজির স্য়ান্ডি। মিঠির দেখা না মিললেও তাঁর বর হাজির ছিল। নিপা-রুদ্র, শ্রীতমা-রাতুল, সোম-তোর্সা জুটির দেখা মিললেও গায়েব থাকল শ্রীনন্দা (কৌশাম্বি), রাজীব কুমার অবশ্য আসর জমিয়ে দিলেন।
একসঙ্গে মিলে পাটিসাপটা বানাল সিদ্ধার্থ-মিঠাই। দাদা আর মিঠাইকে পিঠেপুলি বানাতে দেখে ফের গানের মেজাজে নিপা-শ্রীতমারা। এর মাঝেই সোম আর তোর্সা জানালো বাবা-মা হতে চলেছে তাঁরা। বড়জাকে নিজের হাতে মিষ্টিমুখ করালো মিঠাই, শেষবারের মতো বৌদিমণির পিছনে লাগতে ভুলল না সিদ্ধার্থ। আগামিদিনেও এইভাবেই হাসিখুশিভাবে, মিলেমিশে থাকবে মোদক পরিবার সবার কাছ থেকে ‘প্রমিস’ নিলেন দাদাই। না গল্প এখানেই শেষ নয়, আসল টুইস্ট এখনও বাকি রয়েছে!
যেমনটা লেখিকা কথা দিয়েছিলেন, একটা বৃত্ত সম্পূর্ণ করেই শেষ হল মিঠাই আর তার উচ্ছেবাবুর গল্প। প্রথম সাক্ষাৎ-এ শালপাতার বাটিতে মনোহরা হাতে দাঁড়ানো মিঠাইয়ের দিকে চোখ গোলগোল করে সিদ্ধার্থ বলেছিল- ‘আই হেট সুইটস, মিষ্টি দেখলে আমার বমি পায়’। তবে এদিন নিজের হাতে মনোহরা খেল সিদ্ধার্থ মোদক। বরের কাণ্ড দেখে নিজেকে চিমটিই কাটল মিঠাইরানি। হাঁ গোটা মোদক পরিবার। এবার চোখ গোলগোল করেই সিদ্ধার্থ জানাল, ‘মিষ্টি খেলে আমার আর বমি পায় না, বিকস আই লাভ সুইটস (because I Love Sweets)’। এরপরই বউকে বুকে টেনে নিল সিদ্ধার্থ আর সবাই বলে উঠল ‘জয় গোপাল’। এটাই সিরিয়ালের শেষ সংলাপ। শেষফ্রেমে সকলকে একসঙ্গে গ্রুফফি তুলতে দেখা গেল। এখানেই ‘মিঠাই’-এর গল্প ফুরালো, নটে গাছটি মুড়ালো….
For all the latest entertainment News Click Here