বহুদিনের অপেক্ষা ও পরিকল্পনা সার্থক, তৃপ্ত ম্যাচের সেরা বাংলার তিতাস

প্রথম ঝলকে বোলিং অ্যাকশন দেখলে মনে হবে যেন, ঝুলন গোস্বামীর ছোটবেলা। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রোচেস্ত্রুমে তৈরি হল বাইশ গজের নতুন ইতিহাস। নিজের স্বপ্ন ছুঁয়ে ফেললেন চুঁচুড়ার পেসার তিতাস সাধু। মেয়েদের অনূর্ধ্ব ১৯ T20 বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডের টপ অর্ডারকে একাই ধসিয়ে দিলেন। নির্বাচিত হলেন ম্যাচের সেরাও। ৪ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নেন তিতাস সাধু। রবিবার T20 বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডের প্রথম উইকেটই তুলে নেন তিতাস। বিশ্বকাপে তাঁর ঝুলিতে রয়েছে মোট ৬ উইকেট। মেগা ফাইনালে তাঁর গতিতে ভেঙে পড়ে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইন আপ। তবে এদিন তিতাস ছাড়াও বাংলার আরও দুই তারকা ক্রিকেটার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন। উইকেটের পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন রিচা ঘোষ। একেবারে শেষের দিকে নেমে অপরাজিত থাকেন বাংলার আর এক কন্যা হৃষিতা বসু।

ম্যাচের পরে তিতাস সাধু বলেন, ‘এটা সত্যিই দারুণ লাগছে। অনেক দিন ধরে এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করছিলাম। আমাদের মনে একটি পরিকল্পনা ছিল, এবং ধন্যবাদ আমরা সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। স্পিনাররা খুব ভালো ব্যাক আপ করেছে। আমরা এখানে ২টি ম্যাচ খেলেছিলাম এবং প্রতিপক্ষকে কোথায় বল করতে হবে তার একটি ভালো ধারণা ছিল। অনেক লোক আমাদের বলেছে যে অনেক ক্রীড়াবিদ এটি চেষ্টা করেছে এবং এটি পেতে পারেনি, তাই এটি মহিলাদের দলের জন্য প্রথম ভারতীয় কাপ এবং আমরা সকলেই আনন্দিত। ২০০৫ সালে নওশিন ম্যাম (বর্তমানে প্রধান কোচ) সেই বিশ্বকাপ খেলেছিলেন এবং আমরা ফাইনালে হেরেছিলাম। এবং আমাদের জন্য এটি জেতা এবং তার জন্য আমাদের কোচ হওয়ার জন্য, এটি সত্যিই খুব বিশেষ। যারা আমার সঙ্গে অনুশীলন করেছেন এবং এ পর্যন্ত আমাকে সমর্থন করেছেন তাদের সকলইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি মনেপ্রাণে তাদের (ভক্ত ও সমর্থকদের) ধন্যবাদ জানাতে চাই।’ তিনি আরও বলেন, ‘ম্যাচের শুরুটা ভালো করতে চেয়েছিলাম। সেটাই হয়েছে। প্রত্যেক মুহূর্ত গুলো উপভোগ করেছি। স্পিনাররাও ভালো শুরু করেছেন। তাই কাজ সহজ হয়ে যায়।’

বাংলার প্রাক্তন পেসার ঝুলন গোস্বামীর মতোই তিতাস সাধু প্রায় এক রকম ডেলিভারি করেন। রবিবারের সন্ধ্যায় চুঁচুড়ার ১৮ বছরের মেয়ে, মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৯ মেয়েদের উদ্বোধনী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে ইংল্যান্ডের টপ অর্ডারকে একার হাতে কাবু করলেন। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের প্রথম সংস্করণেই চ্যাম্পিয়ন ভারত। সিনিয়র দল যে সাফল্য এনে দিতে পারেনি, জুনিয়রদের হাত ধরে সেই সাফল্যই এল দেশের মাটিতে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ঝুরি ঝুরি সাফল্য ঝুলনের ঝুলিতে। একটাই আক্ষেপ ছিল, বিশ্বকাপ। ভারত ও বাংলার পাশাপাশি ঝুলনেরও এই আক্ষেপ মিটল। আর তাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেল বাংলার তিন কন্যা। তার মধ্যে অন্যতম অবশ্যই তিতাস সাধু।

বাংলার মহিলা দলের কোচ চরণজিৎ সিংয়ের কথায়, ‘প্রায় বছর পাঁচেক আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ওকে প্রথম দেখেছিলাম। জেলা থেকে মেয়েরা খেলতে এসেছিল। তখন সিএবি লিগ চলছিল। ওর উচ্চতা আমার নজর কাড়ে। ১০ গজ উইকেটে ওকে বোলিং করতে বলি। প্রথম দর্শনেই বুঝে যাই লম্বা রেসের ঘোড়া। ওই বয়সেই বলে বেশ গতি ছিল। তখনই ওকে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। ২২ গজেও উচ্চতাকে দারুণ ভাবে কাজে লাগায় ও।’ চরণজিৎ বলেন, ‘দু-বছর আগে একপ্রকার জোর করেই আমি আর ম্যাকো (শিবশঙ্কর পাল) ওকে সিনিয়র দলে খেলাই। বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে তো খেলেইছে। তবে সিনিয়র পর্যায়ে খেললে আত্মবিশ্বাস অনেকটা বেড়ে যায়।’ বাংলার রিচা ঘোষ ভারতের সিনিয়র দলে আগেই জায়গা করে নিয়েছেন।

 

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

For all the latest Sports News Click Here 

Read original article here

Denial of responsibility! TechAI is an automatic aggregator around the global media. All the content are available free on Internet. We have just arranged it in one platform for educational purpose only. In each content, the hyperlink to the primary source is specified. All trademarks belong to their rightful owners, all materials to their authors. If you are the owner of the content and do not want us to publish your materials on our website, please contact us by email – [email protected]. The content will be deleted within 24 hours.