পঞ্চম স্বামীর ‘নামটা মুখেও নিতে চাই না’, রবি ঠাকুরের গল্পে অভিনয় করতে চান পরীমনি

ঢালিউডের আলোচিত অভিনেত্রী পরীমনি। কেরিয়ারের শুরু থেকে নানা সময় নানা ধরনের অপ্রত্যাশিত ঘটনার কারণে সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন। ডয়চে ভেলেকে তিনি জানিয়েছেন, ভবিষ্যৎ নিয়ে তার সুচিন্তিত পরিকল্পনার কথা৷

‘স্বপ্নজাল’ ছবিতে তাঁর অভিনয় মানুষের মনে দাগ কেটেছে। তবে তাঁর অভিনয়কে ছাপিয়ে প্রায় সবসময়ই বেশি আলোচনায় থেকেছে পর্দার বাইরের নানা অপ্রত্যাশিত ঘটনা৷ পরী ‘ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা শিকার’ হয়েছিলেন৷ তারপর মাদকের মামলায় জেলে যেতে হয়েছিল তাঁকে৷ সেই অতীত ভুলে অভিনয়ে ফিরেছিলেন৷ তারপর বিয়ে। সম্প্রতি সেই সম্পর্কেও ভাঙনের সুর বেজেছে৷

আরও পড়ুন: Pori Moni: ‘একদিন তোমাকে নিয়ে সন্তানের কাছে কোনও স্মৃতি থাকবে না’! কাকে বার্তা দিলেন পরীমনি?

তবে ডয়চে ভেলেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পরী জানিয়েছেন এখন তিনি শুধু নিজের অভিনয় ও সন্তান রাজ্যকে নিয়েই এগিয়ে যেতে চান।

ডয়চে ভেলে: রাজের সঙ্গে আপনার সম্পর্কের টানাপড়েন বেশ কিছুদিন আলোচনায় ছিল, শুরুতে সেই বিষয়ে কিছু বলতে চান?

পরীমনি: এই নামটা আর মুখেই নিতে চাই না।

ডয়চে ভেলে: এখন কি কাজ করছেন? আগামীতে নতুন কোনও কাজ আসবে?

পরীমনি: আমার প্রধান কাজ তো এখন রাজ্যকে যথাযথ সময় দেওয়া। সেটাই করার চেষ্টা করছি আমার শতভাগ দিয়ে। আর ‘প্রীতিলতা’ চলচ্চিত্রের জন্য আসছে সেপ্টেম্বরে আবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়াব।

ডয়চে ভেলে: আপনি এক সময় মূলত এফডিসি-কেন্দ্রিক নির্মাতাদের ‘কমার্শিয়াল’ চলচ্চিত্রে কাজ করতেন, এরপর গিয়াসউদ্দিন সেলিমের সঙ্গে কাজ করা শুরু করলেন। দর্শক আপনাকে ভিন্নরূপে পেতে শুরু করল। এই পরিবর্তন সম্পর্কে কিছু বলুন…

পরীমনি: এফডিসির সিনেমাগুলো থেকে ‘নায়িকা’ খ্যাতি পেয়েছি, আর ‘স্বপ্নজাল’ চলচ্চিত্রটা আমাকে অভিনেত্রীর খ্যাতিটা দিয়েছে। এটা আমার জন্য অনেক আরামদায়ক মনে হচ্ছে। তারপর থেকেই চরিত্রকেন্দ্রিক গল্প বাছাই করতে শুরু করলাম। এই তো…

ডয়চে ভেলে: প্রতিটি কাজের জন্য আপনি কীভাবে নিজেকে প্রস্তুত করেন?

পরীমনি: টিমওয়ার্ক, টিমবন্ডিংটা গুরুত্বপূর্ণ। টিমের সাপোর্টটা জরুরি হয়ে দাঁড়ায় যে কোনও কাজের ক্ষেত্রে। কাজের জন্য নিজের তো নানান চেষ্টা থাকেই।

ডয়চে ভেলে: আপনার অভিনীত একটি প্রিয় চলচ্চিত্রের সম্পর্কে বলুন, ভবিষ্যতে যেটার মতো আরও কাজ করতে চান বা সেটাকেও ছাড়িয়ে যেতে চান…

পরীমনি: স্বপ্নজাল।

ডয়চে ভেলে: নিজের স্বপ্নের কোনও চরিত্র আছে, যেটাতে ভবিষ্যতে কাজ করতে চান?

পরীমনি: রবীন্দ্রনাথের যে কোনও একটা গল্প।

ডয়চে ভেলে: আপনার নানা-নানী ছিলেন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা৷ তাঁদের কাছ থেকে কোন গুণগুলো পেয়েছেন বলে মনে হয়?

পরীমনি: আমার যত গুণ সব কিছুর দাবিদারই ওঁনারা।

ডয়চে ভেলে: আপনার দৃষ্টিতে গুণী কে, যাঁর মত আপনি হতে চান সবসময়?

পরীমনি: আমার প্রিয় শিক্ষক বলরাম সাহা স্যার।

ডয়চে ভেলে: স্নাতক পড়া বাদ দিয়ে আপনি ঢাকায় এসে বুলবুল ললিতকলা অ্যাকাডেমিতে নাচ শিখেছেন৷ সেখানকার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

পরীমনি: নাচ তো শেষ করতে পারিনি। বলতে গেলে শুরুতেই বন্ধ করে দিয়েছিলাম।

ডয়চে ভেলে: কখনও কি মনে হয়েছে পড়াশোনায় নিয়মিত হলেই ভালো হত?

পরীমনি: হয়ত হত (হাসি)।

ডয়চে ভেলে: পুলিশ হতে চেয়েছিলেন, হলেন অভিনেত্রী৷ কোনও আফসোস হয়?

পরীমনি: নাহ, আফসোসের জায়গায়ই তো নেই। কত মানুষ আমার কাজের জন্যে আমাকে ভালোবাসে, এটা তো এক জীবনে অনেক পাওয়া।

ডয়চে ভেলে: আপনাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন, র‍্যাব আপনার বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিল, আপনি জেলেও ছিলেন। ওই পরিস্থিতি থেকে কীভাবে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন?

পরীমনি: খালিচোখে স্বাভাবিক দেখা যায় হয়ত, কিন্তু মানসিক ট্রমা তো থেকেই যায়…

ডয়চে ভেলে: আগামীর পরিকল্পনা কী?

পরীমনি: বাচ্চাকে প্রপার টাইমটা দিতেই চাই আমি। এখানে ছাড় দিতে চাই না, যতটা কাজে দিচ্ছি এই মুহূর্তে। তবে কাজ তো করতেই হবে। শ্যুটিং সেট তো একজন আর্টিস্টের জন্য অক্সিজেনের সমান। তবে সুন্দর চরিত্রের জন্য অপেক্ষাটাও দারুণ একটা ব্যাপার, ঠিক প্রেমিকের জন্য যেমন হয় (অট্টহাসি)।

আরও পড়ুন: ‘রাজের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক নেই… বিচ্ছেদ তো হয়েই গেছে’, পঞ্চম বিয়েও ভাঙল পরীমনির!

(বিশেষ দ্রষ্টব্য : প্রতিবেদনটি ডয়চে ভেলে থেকে নেওয়া হয়েছে। সেই প্রতিবেদনই তুলে ধরা হয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার কোনও প্রতিনিধি এই প্রতিবেদন লেখেননি।)

For all the latest entertainment News Click Here 

Read original article here

Denial of responsibility! TechAI is an automatic aggregator around the global media. All the content are available free on Internet. We have just arranged it in one platform for educational purpose only. In each content, the hyperlink to the primary source is specified. All trademarks belong to their rightful owners, all materials to their authors. If you are the owner of the content and do not want us to publish your materials on our website, please contact us by email – [email protected]. The content will be deleted within 24 hours.