নিয়মের ঊর্ধ্বে বিরাটরা? ২ বছরে মাত্র ১১৪ ডোপ টেস্ট ভারতীয় ক্রিকেটারদের

ভারতীয় ক্রিকেটার এবং অন্যান্ন খেলার সঙ্গে যুক্ত ক্রীড়াবিদদের অ্যান্টি-ডোপিং নিয়ে অসন্তুষ্ট বিশ্ব ডোপিং নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সেই সঙ্গে কড়া নিন্দা করেন তারা। তারা দেশের ক্রীড়াবিদদের উপর করা অপর্যাপ্ত পরীক্ষার প্রমাণও তুলে ধরেছে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের আরটিআইয়ের দ্বারা প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ২০২১ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ভারতীয় ক্রিকেটারদের উপর করা ডোপিং টেস্টের তথ্য উঠে এসেছে। ২০১৯ সালের আগস্টে সরকার-চালিত অ্যান্টি-ডোপিং এজেন্সির আওতায় ক্রিকেটকে আনা হয়। ক্রিকেট বোর্ডের বছরের পর বছর ধরে চলা অচলাবস্থার অবসান ঘটানোর সময়, সরকারী কর্মকর্তারা তখন বলে দেন সকল ক্রিকেটারকে নাডার দ্বারা পরীক্ষা করা হবে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এর থেকে আলাদা নয়। কিন্তু আরটিআই তথ্যের দিকে তাকালে দেখা যাবে উল্টো সুর বাজছে।

ন্যাশনাল অ্যান্টি-ডোপিং এজেন্সি দ্বারা প্রদত্ত তথ্য অনুসারে ২০২১ এবং ২০২২ সালে মোট ৫ হাজার ৯৬১টি অ্যান্টি-ডোপিং পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে শুধুমাত্র এক চতুর্থাংশেরও কম অর্থাৎ মাত্র ১১৪টি পরীক্ষা করা হয় ক্রিকেটারদের উপর। অ্যাথলেটিক্সে ১ হাজার ৭১৭টি পরীক্ষা করা হয়। অ্যাথলেটিক্সে করা পরিক্ষা সব খেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি। ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে অধিনায়ক রোহিত শর্মার উপর সবচেয়ে বেশি পরীক্ষা করা হয়েছে। আধিকারিকরা তাঁকে ছয় বার পরীক্ষা করেছেন। ঋষভ পন্ত , সূর্যকুমার যাদব এবং চেতেশ্বর পূজারা সহ আরও সাতজন ক্রিকেটারকে মাত্র একবার করে পরীক্ষা করা হয়েছে ২০২১-২২ সালে।

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে চুক্তিপত্র ২৫ জন ক্রিকেটারকে নাডার তরফ থেকে কোনও রকম পরীক্ষা করা হয়নি। সেই তালিকায় রয়েছে ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলি থেকে বর্তমান টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া, তারকা জোরে বোলার মহম্মদ শামি, মহম্মদ সিরাজ, উমেশ যাদব, শার্দুল ঠাকুর এবং আর্শদীপ সিং। ব্যাটারদের তালিকায় রয়েছেন শ্রেয়স আইয়ার, দীপক হুডা। এছাড়াও রয়েছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার সঞ্জু স্যামসন ও শ্রীকর ভরত এবং অলরাউন্ডার ওয়াশিংটন সুন্দর। এই সময়ের মধ্যে মহিলা জাতীয় দলের প্রতিটি ক্রিকেটারকে অন্তত একবার ডোপিং পরীক্ষার আওতায় এসেছেন। হরমনপ্রীত কৌর এবং স্মৃতি মান্ধানাকে সবচেয়ে বেশিবার পরীক্ষা করা হয়েছে। তারা দু’জনে তিন বার করে ডোপিং পরীক্ষার মুখোমুখি হয়েছেন।

এই তথ্যের উপর নির্ভর করে অবশ্য কোনও খেলোয়াড়কে দোষারোপ করা যায় না বলেই মনে করেছে ওয়াকিবহাল মহল। তবে এই তথ্য বিশ্ব ডোপিং সংস্থার দাবিকে আরও জোরদার করেছে। তাদের অভিযোগ নাডা সম্ভাব্য অপরাধীদের ধরতে যথেষ্ট কাজ করছে না।

ভারতীয় ক্রিকেটারদের উপর পরীক্ষা ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো অন্যান্য প্রধান ক্রিকেট খেলার দেশগুলির তুলনায় কম। বিশ্ব ডোপিং সংস্থার পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২১ সালে ইংল্যান্ড তার ক্রিকেটারদের উপর ৯৬টি পরীক্ষা করে। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া ৬৯টি পরীক্ষা করে। ভারতে সেই সংখ্যা দাঁড়াল ১২।

For all the latest Sports News Click Here 

Read original article here

Denial of responsibility! TechAI is an automatic aggregator around the global media. All the content are available free on Internet. We have just arranged it in one platform for educational purpose only. In each content, the hyperlink to the primary source is specified. All trademarks belong to their rightful owners, all materials to their authors. If you are the owner of the content and do not want us to publish your materials on our website, please contact us by email – [email protected]. The content will be deleted within 24 hours.