‘নিজেকে শেষ করে দেওয়ার কথা ভাবতাম’, কোন প্রত্যাখ্যান মনোজকে ডুবিয়েছিল অবসাদে

বলিউডের অন্যতম সুদক্ষ এবং জনপ্রিয় অভিনেতা মনোজ বাজপেয়ী জানালেন তিনি কীভাবে ডিপ্রেশনের সঙ্গে লড়াই করেছিলেন একটা সময়। আজকের এই স্বনামধন্য অভিনেতাকে একটা সময় ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা থেকে প্রত্যাখ্যান সইতে হয়েছিল। আর তারপরই নাকি তিনি ডিপ্রেশনে চলে যান। শুধু ডিপ্রেশনে নয়, তিনি রীতিমত আত্মহনন করার কথাও ভেবেছিলেন।

এএনআইকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ছোট থেকেই তিনি অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। সেই ক্লাস ৫ থেকে তিনি তাঁর মনে এই স্বপ্ন লালন করে আসছেন। হরিবংশ রাই বচ্চনের একটি কবিতা আবৃত্তি করার পর নাকি তিনি ভীষণ প্রশংসা পেয়েছিলেন। সেই থেকেই তাঁর মনে এমন বাসনা জাগে। অভিনেতা জানান, ‘আমি যখন আবৃত্তি করে নেমে আসছি তখন আমার মাথার মধ্যে কোথাও ঘুরপাক খেতে থাকে যে আমি আগামীতে অভিনয় করব। এবং একজন অভিনেতা হবো।’

তবে অভিনেতা কখনই তাঁর এই ইচ্ছাকে কারও সঙ্গে ভাগ করেন নেননি। নিজের মধ্যেই রেখে দেন। পরিবারকেও জানাননি। যত বড় হয়েছেন তত সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর ইচ্ছেটাও বেড়েছে অভিনেতা হওয়ার। তিনি বলেন, ‘আমি ঠিক করে নিয়েছিলাম স্কুলের পর আমি ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করব। এবং সেখানেই ভর্তি হবো।’

এরপর তিনি যখন বড় হন, টুয়েলভ পাশ করেন তখন তিনি এমবিবিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেন না। তখন তাঁর বাবা তাঁকে ইউপিএসসির জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেন। কিন্তু তখনও তিনি মনে মনে ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামায় ভর্তি হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। কিন্তু সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ না পাওয়ায় সেটা তাঁর উপর ভীষণ রকম প্রভাব ফেলে বলেই জানান তিনি।

অভিনেতার কথা অনুযায়ী তাঁর জীবনে এমন একটা সময় এসেছিল যখন তাঁর মনে হয়েছিল তাঁর জীবনের সমস্ত দরজা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাঁর কাছে আর কোনও পথ খোলা নেই। এনএসডির এই প্রত্যাখ্যান তাঁর উপর এতটাই প্রভাব ফেলেছিল।

মনোজ জানান, ‘আমি যখন ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামায় ভর্তি হতে যাই ততদিনে আমার তিন বছরের অভিজ্ঞতা হয়ে গিয়েছে কাজ করার। তারপরও আমি সিলেক্ট হই না। আমার কোনও প্ল্যান বি ছিল না। আর এটার পর এক মাস আমার খালি মনে হতো আমার জীবনে আর কিছু বাকি নেই। এরপর আমার বন্ধুরা আমাকে সাহায্য করে ওই ডিপ্রেশন থেকে বেরিয়ে আসতে। এরপর আমি মান্ডি হাউজ নামক একটি দলের সঙ্গে যুক্ত হই। সেখান থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি।’

নিজের ডিপ্রেশনের ব্যাপারে বলতে গিয়ে অভিনেতা বলেন, ‘আমি এতটাই গভীর ডিপ্রেশনে চলে গিয়েছিলাম যে আমি বুঝে উঠতে পারতাম না যে কী করে সবার মুখোমুখি হব। খালি মনে হতো আমার জন্য সব পথ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আমার খালি তখন নিজেকে শেষ করে দেওয়ার কথা মাথায় আসত।’

তিনি জানান তাঁর ওই সময় পরিবারের সাপোর্ট তাঁকে কতটা সাহায্য করেছিল। পরিবারের সাপোর্ট কীভাবে ডিপ্রেশনে ডুবতে থাকা একটা মানুষকে সাহায্য করে নিজেকে ঠিক পথে ফিরিয়ে আনার সেটাও জানান তিনি নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে। একই সঙ্গে তিনি বলেন আজকাল হামেশাই পরিবার ভেঙে যায় সেটাও আমাদের উপর প্রভাব ফেলে। তাঁর কথা অনুযায়ী, ‘একটা পরিবার যখন ভাঙে সেটাও কোথাও একটা ডিপ্রেশন এনে দেয়। আগে সমাজে পরিবার সাপোর্ট সিস্টেম হিসেবে থাকত। এখন নামেই সমাজ আছে, আদতে গোটা সিস্টেম ভেঙে গিয়েছে।’

For all the latest entertainment News Click Here 

Read original article here

Denial of responsibility! TechAI is an automatic aggregator around the global media. All the content are available free on Internet. We have just arranged it in one platform for educational purpose only. In each content, the hyperlink to the primary source is specified. All trademarks belong to their rightful owners, all materials to their authors. If you are the owner of the content and do not want us to publish your materials on our website, please contact us by email – [email protected]. The content will be deleted within 24 hours.