নায়কের কোল থেকে পড়ে সোজা হুইলচেয়ারে! কতটা গুরুতর ‘পঞ্চমী’ সুস্মিতার চোট?
মাথা রাঙানো সিঁদুরে, হাসি মুখ অথচ হুইল চেয়ারে ‘পঞ্চমী’ সুস্মিতা দে। সোমবার ইনস্টাগ্রামে নিজেই এমন এক ভিডিয়ো পোস্ট করেন অভিনেত্রী। সঙ্গে জানিয়ে দেন, ‘আজকাল হুইলচেয়ারই সঙ্গী’। কিন্তু কী এমন ঘটল যে সোজা হুইলচেয়ারের সাপোর্ট নিতে হচ্ছে ছোটপর্দার ‘অপরাজিতা অপু’কে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেল ‘পঞ্চমী’র শ্যুটিং চলাকালীনই চোট পেয়েছেন সুস্মিতা। নায়িকাকে কোলে নিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করতে হবে ‘কিঞ্জল’ রাজদীপকে। এমনই এক দৃশ্যের শ্যুট চলছিল। আর সেখানেই বিপত্তি। মন্দিরের সিঁড়ি দিয়ে উঠতে গিয়ে রাজদীপের পায়ে ধাক্কা লাগে। ওমনি ব্যালেন্স হারান নায়ক, আর কোল থেকে ছিটকে পড়ে যান সুস্মিতা। পড়ে যান রাজদীপও। তবে সুস্মিতা এমনভাবেই পড়েন যে কোমরে গুরুতর চোট পেয়েছেন অভিনেত্রী। এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ‘অপরাজিতা অপুর শ্যুটিংয়ে হাত ভেঙেছিল আমার, আর এবার কোমর, মনে হচ্ছে আঘাত পাওয়াটা বেশ শুভ আমার কাজের জন্য’। হ্যাঁ, চোট পেয়ে আফসোস করা নয়, বরং পুরো বিষটটার মধ্যে ইতিবাচক ব্যাপার খুঁজে বার করতে চাইছেন সুস্মিতা। বলেই ফেললেন, ‘সেই জন্যই বোধহয় প্রথম সপ্তাহে টিআরপি এত ভাল এসেছে’।
চোট পেলেও কাজে ছুটি নেওয়ার জো নেই! মেগা সিরিয়ালের এতটাই চাপ যে বিশ্রামের সময় নেই সুস্মিতার, একদিন ছুটি নিয়েই কাজে ফিরেছেন। না হলে পর্ব সম্প্রচারে সমস্যা দেখা দেবে। তাই হুইলচেয়ারে করেই ছুটে বেড়াচ্ছেন সেটের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত।
প্রসঙ্গত, শীঘ্রই ‘পঞ্চমী’র গল্পে আসছে বিরাট মোড়। ‘মহাবিবাহ’ সপ্তাহের প্রোমো ইতিমধ্যেই সামনে এসে গিয়েছে। সেখানে দেকা গেল গ্রামের সকলে পঞ্চমীকে ‘ইচ্ছাধারী সাপ’ বলে সন্দেহ করছে। মেয়েকে গ্রাম ছেড়ে চলে যাওয়ার পরামর্শ দেন তাঁর পালক পিতা। কিন্তু না-ছোড় বান্দা পুরোহিত ঠাকুরের স্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বিয়ে না দিয়ে মেয়েকে আমি কিছুতেই শহরে যেতে দেব না’। সবটা শুনে পঞ্চমীকে বাঁচাতে তাঁর সিঁথি সিঁদুরে রাঙিয়ে দিল কিঞ্জল। এই ঘটনার জেরে কীভাবে বদলে যাবে ওদের জীবন? সেই নিয়েই এগোবে ‘পঞ্চমী’র আগামিদিনের গল্প।
For all the latest entertainment News Click Here