ধোনি তো খচে লাল হয়ে গিয়েছিল, ২০১১ বিশ্বকাপের এক অজানা কাহিনি শোনালেন সোয়ান
২০১১ সালের বিশ্বকাপে মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল দ্বিতীয়বারের জন্য বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এক দশকেরও বেশি সময় পার হয়ে গেলেও, সেই স্মৃতি আজও সকলে ভারতীয় ক্রিকেট ভক্তের মনে তাজা। সেই বিশ্বকাপের এক অজানা কাহিনি এতদিনে ফাঁস করলেন প্রাক্তন ইংল্যান্ড তারকা গ্রেম সোয়ান।
সেই বিশ্বকাপেরই দ্বিতীয় ম্যাচে ভারত ও ইংল্যান্ড এক চিরস্মরণীয় টাই ম্যাচ খেলেছিল। ভারতীয় দল প্রথমে ৩৩৮ রান করার পর, তৎকালীন ইংল্যান্ড অধিনায়ক অ্যান্ড্রু স্ট্রসের ১৫৮ রানে ভর করে ইংল্যান্ড ম্যাচ টাই করে। তবে এই উত্তেজক ম্যাচে ভাগ্য একবার ভারতের দিকে, তো একবার ইংল্যান্ডের দিকে ঘুরপাক খাচ্ছিল। শেষমেশ গ্রেম সোয়ান শেষ অবধি টিকে থেকে ইংল্যান্ডকে ম্যাচ টাই করাতে সাহায্য করেন। ইংল্যান্ডের সেই ইনিংসেরই এক ঘটনা জানান সোয়ান।
তিনি বলেন, ‘আমরা এক সময় সহজেই ম্যাচ জিতছিলাম এবং মজা করছিলাম যে ভারত ২০ রান কম করেছে। তারপর হঠাৎ করেই মিশ্র (পীযুষ চাওলা) দুই উইকেট নিয়ে খেলা ঘুরিয়ে দেয়। তারপর তো দেখে মনে হচ্ছিল আমরা ম্যাচ জিতবই না। বোলারদের কাঁধে দায়িত্ব এসে পড়েছিল। আমি ব্যাট করতে নামি এবং মিশ্রকে (চাওলা) একটি ছয় হাঁকাই। ওর জেরে ম্যাচে ফিরি আমরা। তখনও আমাদের জয়ের জন্য ১৪ রান দরকার ছিল। তারপর এজে (আজমল শেহজাদ) নেমেই আমার মাথার উপর দিয়ে সোজা একটা ছক্কা মারে।’
এরপরেই ‘ক্যাপ্টেন কুল’ হিসাবে পরিচিত মহেন্দ্র সিং ধোনি শেষ ওভারে মেজাজ হারান বলে জানান সোয়ান। ‘শেষে দুই বলে চার রান বাকি ছিল। আমরা ওই বলে দুই রান নিয়েছিলাম, তবে সত্যি বলতে ওটা দুই রান ছিল না। তারপরেই আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি ধোনি খচে লাল হয়ে গিয়েছিল। শেষ বলে কভারের ফিল্ডার ঝাঁপিয়ে পড়ে বল বাঁচিয়ে দেওয়ায় আমরা এক রানই নিতে পারি।’ জানান সোয়ান। এই ঘটনাই প্রমাণ করে দেয় বিরাট চাপের মুখে অনেক সময় ‘ক্যাপ্টেন কুল’ও নিজের ‘কুল’ হারান।
For all the latest Sports News Click Here