‘দাদা চলে গেল, কিছু বলার মতো অবস্থায় নেই’, কান্নায় ভেঙে পড়লেন ঋতুপর্ণা
মঙ্গলবার রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সুরকার এবং গায়ক বাপ্পি লাহিড়ি। ‘ডিস্কো কিং’ বাপ্পি লাহিড়ির প্রয়াণে শোকাহত বিনোদন থেকে বিভিন্ন মহল। কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী ও সুরকারের প্রয়াণে এ দিন কান্নায় ভেঙে পড়েন টলিউড অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
কাঁদতে কাঁদতে এ দিন টলি নায়িকা বলেন, ‘বাপ্পিদা নেই, আমি ভাবতেই পারছি না। কিছু বলার মতো অবস্থায় নেই। শুধু এটুকু বলতে পারি আমাদের সংগীত জগৎ একেবারে শূন্য হয়ে গেল’।
আরও এক বিরাট নক্ষত্রের পতন। বাপ্পি লাহিড়ির মৃত্যুতে বড় ধাক্কা পেয়েছেন ঋতুপর্ণা। স্বভাবতই ভেঙে পড়েছেন তিনি। কাঁদতে কাঁদতে অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘…এত স্নেহ, আদর, এত ভালোবাসা আর কেউ দিতে পারে কিনা জানা নেই। বাপ্পি দা আমার পরিবার, আমার পরিবারের একজন। পরম আত্মীয় চলে গেল আমাদের’।
ঋতুপর্ণা বলেন, ‘কিছুদিন আগেও আমাকে ডেকে বলল, তোকে গান গাইতেই হবে, তুই আয়। তোকে রেকর্ড করতেই হবে আমার সঙ্গে। আমি বললাম, বাপ্পিদা আমি পারব না। বলল না তুই পারবি। আমকে গানের লিরিক্স একটা একটা করে বোঝালেন। আমি বললাম পারব না আমি। আমাকে বললেন, না তোকে করতেই হবে। ছোটবেলা থেকে বাপ্পিদাকে জানি, চিনি, বাপ্পিদার পরিবারের সঙ্গে আমাদের পরিবারের খুব সখ্যতা। পরিবারের একজন দাদা চলে গেল। আমি আর কিছু বলতে পারছি না’।
প্রসঙ্গত, গত বছর দুর্গাপুজো প্রথমবার প্লে ব্যাক করেছিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। বাপ্পি লাহিড়ির সুরে ফোক গানের সুরে বাঁধা পুজোর গানের নাম ছিল ‘ফুলমতি’। শুধু সুর দেওয়াই নয় সঙ্গে টলি-অভিনেত্রীর সঙ্গে গানে গলাও মিলিয়েছেন বাপ্পি লাহিড়ি।
মঙ্গলবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাপ্পি লাহিড়ি। বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। মঙ্গলবার মুম্বইয়ের জুহুর এক হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর।
For all the latest entertainment News Click Here