‘তখন আমাদের কেন উৎসাহ দেননি আপনারা’, পালটা শেওড়াফুলির এক সিনেমা হল কর্তৃপক্ষ
দেশের যে যে প্রেক্ষাগৃহে ‘পাঠান’ মুক্তি পাবে, সেই সমস্ত প্রেক্ষাগৃহে অন্য কোনও ছবি চলবে না। মুম্বইয়ে বসে এই শর্তই রেখেছন ‘পাঠান’ নির্মাতারা। ২৫ জানুয়ারি বড় পর্দায় মুক্তি পেয়েছে ‘পাঠান’। এরপর থেকে বিশ্বব্যাপী রমরমিয়ে ব্যবসা করছে এই ছবি। যদিও ছবি মুক্তির পর থেকে সরব টলিউডের একাংশ।
‘পাঠান’ মুক্তির আগে সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত একাধিক বাংলা ছবি প্রেক্ষাগৃহ থেকে সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সবর হয়েছে টলিউডের একাংশ। ছবির পরিবেশনা বা ডিস্ট্রিবিউশন নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। এ বার সেই অভিযোগের পালটা জবাব দিলেন শেওড়াফুলির একটি সিনেমা হলের কর্তৃপক্ষ। আরও পড়ুন: ১৭ বছর থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত, দলের সঙ্গে নতুন নাটক ‘তবে তাই’ নিয়ে মঞ্চে সত্যম
শেওড়াফুলিতে অবস্থিত উদয়ন সিনেমা হল। তাঁদের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ার পেজে একটি দীর্ঘ পোস্ট করা হয়েছে। সেখানেই লেখা, ‘কেন এই সপ্তাহ জুড়ে কেবল মাত্র একটি সিনেমার শো রাখা হয়েছে; আমাদের অনেক প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। যে সপ্তাহ ২০ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে, সেখানে একসঙ্গে চারটি বাংলা সিনেমা দেখানো হচ্ছিল। পাঠানের জন্য যেমন এখন হল ভরাতে আসছেন ভক্তরা, তখন আপনারা কেন আসেননি। ২৩ ডিসেম্বরের সপ্তাহে তিনটি বাংলা ছবিকে স্থান দেওয়া হয়েছিল আটটি শো-তে বিভক্ত করে। তার মধ্যে একটি সিনেমা এখনও চলছে। তখন আমাদের কেন উৎসাহ দেননি আপনারা।’
দীর্ঘ পোস্টে সিনেমা পরিবেশনার বিষয় নানা মন্তব্য রেখেছেন তাঁরা। ১৯৪৬ সাল থেকে চালু এই সিনেমা হল। সব ধরনের সিনেমা দেখানো হয় এই হলে। তাঁদের কথা, আপনারা যত বেশি বড় পর্দাকে সমর্থন করবেন, আপনার অভিজ্ঞতা তত ভালো হবে। তারা জানিয়েছেন, যখন ২০১৮ সালে একাধিক সিঙ্গল স্ক্রিন বন্ধের মুখে, সেই সময় এই এই সিনেমা হলে একটি অতিরিক্ত স্ক্রিন টাঙানো হয়েছে। ফলে মাল্টিপ্লেক্স চেনের ব্যবসায়ীদের মধ্য়ে সিঙ্গল স্ক্রিন নিয়ে টিকে থাকার কঠিন লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন তাঁরা।
পোস্টে লেখেন, ‘আমাদের নিয়মিত কর্মীদের বেতন, কর, রক্ষণাবেক্ষণের কাজ ও পরিবেশনার কাজে খরচ করতে হয়। তাই আমরা চাই, সব ধরনের সিনেমাই ভালো করুক। আপনারা যতই বড় পর্দাকে সাপোর্ট করবেন, ততই সেটি আরও ভালো অভিজ্ঞতা আপনাদের ফিরিয়ে দেবে। আসুন, টিকিট কিনে বাংলা ছবির জন্য নিজেদের সমর্থন প্রকাশ করুন৷ বাংলা সিনেমার জন্য শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় গলা ফাটালে হবে না’।
দীর্ঘ পোস্টের শেষে তাঁদের মন্তব্য, ‘আমাদের দিকে আঙুল তোলার পরিবর্তে, অনুগ্রহ করে আপনাদের কাজ বা নিষ্ক্রিয়তা সম্পর্কে চিন্তা করুন। দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমাপ্রেমীরা তাদের সিনেমার জন্য যে সততার রাখে বাংলা সিনেমাকে সমর্থন করা দরকার সেভাবে। তারা তাদের সিনেমার শিল্প, তাদের শিল্পী/টেকনিশিয়ান এবং সিনেমা হলের পূজা করেন। আমরা সবাই জানি গঠনমূলক সমালোচনার নামে আমরা কী করতে ভালোবাসি। আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই এবং এর গৌরবময় দিনে ফিরিয়ে আনতে আরও বাংলা সিনেমা দেখি’।
For all the latest entertainment News Click Here