ছবিতে মাখোমাখো ঘনিষ্ঠ দৃশ্য সুড়সুড়ি দেওয়ার জন্য নয়! জানালেন ‘গেহরাইয়া’-র পরিচালক
মুক্তির দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে পরিচালক শকুন বাত্রার আসন্ন ছবি ‘গেহরাইয়া’। ‘বর্তমান সময়ের আধুনিক প্রাপ্তবয়স্ক সম্পর্কের আয়না’ হিসেবেই এই ছবিকে ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। তবে গত ডিসেম্বরে ‘গেহরাইয়া’-র ট্রেলার মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই খবরের শিরোনামে এই ছবি। তার অন্যতম কারণ ছবিতে দীপিকা পাড়ুকোন এবং সিদ্ধান্ত চতুর্বেদীর পরস্পরের সঙ্গে একাধিক ঘনিষ্ঠ দৃশ্য। এই আলোচনার তীব্রতা আরও বেড়ে যায় যখন জানা যায় এই ছবির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হয়েছেন একজন ঘনিষ্ঠ দৃশ্য বিশেষজ্ঞ পরিচালক (ইন্টিমেসি ডিরেক্টর)। উল্লেখ্য, এই প্রথম কোনও পূর্নদৈর্ঘ্যের ভারতীয় ছবির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হয়েছেন একজন ঘনিষ্ঠ দৃশ্য বিশেষজ্ঞ পরিচালক। তবে এসব সত্ত্বেও ‘গেহরাইয়া’-র ঘনিষ্ঠ দৃশ্য নিয়ে এত আলোচনা করতে আপত্তি পরিচালকের। শকুন বাত্রার কথায়, ‘এই ছবিতে ঘনিষ্ঠ দৃশ্য ছাড়াও আরও অনেক বিষয় নিয়ে কথা বলার রয়েছে। স্রেফ অন্তরঙ্গ দৃশ্যগুলোকে বড্ড গুরুত্ব দিয়ে ফেলছি আমরা।
পরিচালকের দাবি ‘গেহরাইয়া’ ছবিতে অন্তরঙ্গ ও ঘনিষ্ঠ দৃশ্যগুলি যে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ সে নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু তা ছবির স্বার্থে এবং ছবি জুড়ে অল্প সময়ের জন্যই রয়েছে সেইসব সিকোয়েন্স। তাঁর কথায়, ‘ছবির গল্পের অন্যান্য উপাদানের মতো ঘনিষ্ঠতা ব্যাপারটিকেও সমান গুরুত্ব দিয়েছি। চেয়েছিলাম ছবিতে এইসব দৃশ্যে অভিনয় করাকালীন যেন অভিনেতা-অভিনেত্রীরা সুরক্ষিত ও নিরাপদ বোধ করেন। কোনওরকম অস্বস্তির মুখোমুখি যেন না হতে হয় তাঁদের। ব্যাস!’
তাহলে কেন এই ছবিতে ইউক্রেনিয়ান বংশোদ্ভূত পরিচালক ডর গাই-কে ঘনিষ্ঠ দৃশ্য বিশেষজ্ঞ পরিচালক (ইন্টিমেসি ডিরেক্টর) হিসেবে নিযুক্ত করেছিলেন শকুন? সে জবাবও দিয়েছেন ‘গেহরাইয়া’-র পরিচালক, ‘ঘনিষ্ঠ দৃশ্যগুলো যেন আরও উষ্ণ,খোলামেলা হয় তার জন্য নিশ্চয়ই নয়। চেয়েছিলাম ওই দৃশ্যগুলোতে অভিনয় করার সময় যেন সবার সম্ভ্রম বজায় থাকে। অভিজ্ঞতাটায় যেন সম্মানের ছোঁয়া থাকে। কোনও বিতর্কের আঁচ পড়ুক,তা একেবারেই চাইনি। স্রেফ এই কারণেই। তাহলে বুঝতেই পারছেন দর্শকদের স্রেফ চমকে কিংবা সুড়সুড়ি দেব বলে ছবিতে একাধিক ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের আমদানি করিনি!’
For all the latest entertainment News Click Here