গীতার পাশাপাশি মেঘদূত-বেদ সবই পড়েছিলেন ওপেনহাইমার! লিখেছিলেন ‘আমি মুগ্ধ হচ্ছি’
পরমাণু বোমার জনক জে রবার্ট ওপেনহাইমারের জীবনের উপর ভিত্তি করে ক্রিস্টোফার নোলান পরিচালিত ছবি ‘ওপেনহাইমার’ মুক্তি পেতে চলেছে শীঘ্রই। এই থিওরিটিক্যাল ফিজিসিস্ট জে রবার্ট ওপেনহাইমারের বায়োপিক আগামী ২১ জুলাই মুক্তি পাবে। যদিও এটা স্পষ্ট নয় যে এই ছবিতে তাঁর হিন্দুত্ববাদের প্রতি যে ভালো লাগা বা মুগ্ধতা ছিল সেটা তুলে ধরা হবে কিনা। কিন্তু ছবি মুক্তির আগে এগুলো এখন সাধারণ মানুষের অন্যতম চর্চার বিষয়। তিনি ভগবৎ গীতার শ্লোকে বিশ্বাস করতেন। সেই শ্লোক সর্বসম্মুখে পড়েছেন।
১৯৪৫ সালের ট্রিনিটি টেস্টের পর তিনি গীতার কোট আওড়েছিলেন। প্রসঙ্গত তাঁর হাত ধরেই পৃথিবীর প্রথম পারমাণবিক বোমা তৈরি হয়েছিল। তিনি হয়তো বুঝতে পেরেছিলেন যে তিনি কী করে ফেলেছেন, বা কী বানিয়ে ফেলেছেন। তাই তো তিনি নিজের উদ্দেশে বলেছিলেন ‘আমি মৃত্যুর রূপ। আমি এই পৃথিবীর ধ্বংস হওয়ার কারণ।’
১৯৪৮ সালের টাইম ম্যাগাজিনের তরফে জানানো হয়েছিল যে রোজ সন্ধ্যায় আত্মতুষ্টির জন্য বা কখনও বন্ধুদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার জন্য তিনি ভগবৎ গীতা পাঠ করতেন। একই সঙ্গে তিনি সেই সময় সংস্কৃত শেখেন আর্থার ডাব্লিউ রাইডারের থেকে। এটা তাঁর শেখা অষ্টম ভাষা ছিল। প্রিন্সটনের স্টাডি রুমে গোলাপি মলাটে বাঁধানো একটি গীতা রাখা ছিল।
শুধুই কি তাই? ওপেনহাইমার নিয়মিত তাঁর ভাই ফ্রাঙ্ককে চিঠি লিখতেন। সেখানেই তিনি জানাতেন তাঁর সংস্কৃত শেখা কতদূর হল। একই সঙ্গে তিনি এই চিঠি মারফত ভাইকে জানিয়েছিলেন যে ভারতের পৌরাণিক ইতিহাস বলতে কেবল ভগবৎ গীতা নয়, কালিদাসের ‘মেঘদূত’ আছে, বেদ আছে যা কিনা হিন্দুদের সব থেকে পুরনো বই। ১৯৩৩ সালে তিনি তাঁর ভাইকে একটি চিঠিতে লিখেছিলেন, ‘আমি ভগবৎ গীতা পড়ছি রাইডার এবং আরও দুজন ব্যক্তির সঙ্গে।’ সেই বছরই তিনি আরও একটি চিঠিতে লেখেন, ‘আমার এই বিরাট নিস্তব্ধতার মোকাবিলা একমাত্র একটা বড় চিঠিই হতে পারে। আর তোমাকে তাই অনেক কিছুর জন্যই ধন্যবাদ দেওয়ার আছে। সবার আগে তোমায় জানাই আমি এখন মেঘদূত পড়ছি, বেদও। রাইডারের সঙ্গে আনন্দের সঙ্গে পড়ছি আর মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছি। বেদ আমার বইয়ের শেলফে রাখা আছে।’
তবে কেবল ওপেনহাইমার নন, পর্দায় যিনি তাঁর সেই চরিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন সেই অভিনেতা সিলিয়ান মারফিও ভগবৎ গীতা পড়েছেন বলেই জানিয়েছেন।
For all the latest entertainment News Click Here