করোনায় অনেকদিন খেলা হয়নি! ঠাসা সূচি নিয়ে ‘কান্নাকাটি’তে রাজি নন কিউয়ি তারকা
শুভব্রত মুখার্জি: করোনার ফলে প্রভাব পড়েছিল গোটা বিশ্বে। কোভিড-১৯’র প্রভাবে কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল গোটা সমাজের সবকটি ক্ষেত্র। বাদ যায়নি ক্রীড়াক্ষেত্রও। প্রভাব পড়েছিল ক্রিকেটের ২২ গজেও। সেই সময়ের পরে কেটে গিয়েছে বেশ কিছুটা সময়। ২০২২ সালে দাঁড়িয়ে ক্রিকেট বিশ্বে এখন বড় প্রশ্ন হিসেবে উঠে এসেছে ঠাসা আন্তর্জাতিক ক্রীড়াসূচির প্রশ্ন। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে নিউজিল্যান্ডের স্পিনার ইশ সোধির সোজাসাপ্টা বক্তব্য কোভিডের কারণে নষ্ট হয়েছে সময়। ফলে এখন একটু বেশি ক্রিকেট খেলতেও তাঁর আপত্তি নেই।
করোনার ফলে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল ক্রিকেট খেলা। ফলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নষ্ট হয়েছে বেশ কিছু সময়ও। আর সেই কারণেই এবার একটু বেশি ক্রিকেট খেলাতেও আপত্তি নেই তাঁর। এই মুহূর্তে নিউজিল্যান্ড সফরে এসেছে ভারতীয় দল। সেখানে বৃষ্টির কারণে ভেস্তে গিয়েছে প্রথম টি-২০ ম্যাচ। আর তারপরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমন কথাই জানিয়েছেন সোধি। তিনি জানিয়েছেন ‘সত্যি বলতে আমি এখনও ক্রীড়াসূচির দিকে তাকাইনি। তবে যেটুকু মনে হচ্ছে আগামী বছরগুলোতে আমাদের বেশ কিছু সংখ্যক ম্যাচ খেলতে হবে। খুব কম সময়ের মধ্যেই তা খেলতে হবে। আমি জানি না এটা কোভিডের কারণে হচ্ছে কিনা। ওই সময়তে আমাদের যে সময়টা নষ্ট হয়েছিল তা পূরণ করতেই এই সিদ্ধান্ত কিনা জানি না।’
তিনি আরও জানিয়েছেন ‘প্রথম এবং শেষ কথা হল আমরা এখন ম্যাচ খেলতে পেরে খুব খুশি। বেশি পরিমাণ ম্যাচ খেলতেও আমাদের কোনও অসুবিধা নেই। শেষ দুই বছরে বেশ কিছু সিরিজ খেলতে না পারাতে (করোনার কারণে) সময়টা আমাদের কাছে বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল। ক্রিকেটার হিসেবে শেষ কয়েকটা বছর আমরা বেশ কিছু ম্যাচ খেলতে পারিনি। যে ম্যাচগুলো হয়ত আমরা খেলতে পারতাম তা সম্ভব হয়নি। তাই আমরা যদি এই সময়টায় বেশ কিছু বেশি ম্যাচ খেলেও নিতে পারি তাহলে বিষয়টা আমাদের জন্য খুব ভালো হবে।’
প্রথম ম্যাচ ভেস্তে যাওয়া প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সোধি জানিয়েছেন ‘পরিবেশকে আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। ক্রিকেট খেলার ক্ষেত্রে পরিবেশ একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পরিবেশ অনুযায়ী তোমার পরিকল্পনাও ঠিক করা উচিত। যখন বৃষ্টি হয় তখন আপনার কিছুটা ধারণা থাকে ডাক ওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতি সম্বন্ধে। কত রান তাড়া করতে হবে সেই প্রসঙ্গে। ছাদের তলায় খেলা যদি লাভজনক হয় তাহলে সেটাও কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমি মনে করে আমাদের দলের প্রত্যেক বোলার খুব আক্রমণাত্মক বোলার। আমরা সৌভাগ্যবান যে আমাদের কাছে অ্যাডাম মিলনে, লকি ফার্গুসনরা রয়েছে। যারা ১৫০ কিমি গতিবেগে বোলিং করতে পারে। পাশাপাশি রয়েছে টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্ট যারা গতির সঙ্গে বল সুইং ও করাতে পারেন।’
For all the latest Sports News Click Here