ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে গোলের পর বিশেষ উপহার দেন টুটু বসু, স্মৃতিচারণায় প্রাক্তনী

মোহনবাগানের প্রয়াত প্রাক্তন সচিব অঞ্জন মিত্রের ৭৬তম জন্মদিন উপলক্ষে বাগান তাঁবুতে মিডিয়া সেন্টার উদ্বোধন ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম সেরা তারকা প্রাক্তন অধিনায়ক আইএম বিজয়ন। এর পিছনেও রয়েছে একটি কারণ। আর সেই কারণটি হল অঞ্জন মিত্রের অত্যন্ত প্রিয় ফুটবলার ছিলেন এই বিজয়ন। প্রচুর সমস্যা থাকলেও কেরল থেকে তুলে এনে তাকে মোহনবাগানের জার্সি পরিয়ে ছিলেন তিনি। তাই বর্তমান বাগান কর্তারা এই কিংবন্তিকে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন।

অঞ্জন মিত্র মিডিয়া সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিজয়ন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অঞ্জন মিত্রের মেয়ে তথা কার্যকরী কমিটির সদস্যা সোহিনী মিত্র চৌবে, ক্লাবের সচিব দেবাশীষ দত্ত। এছাড়াও ছিলেন সহসচিব সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়, কার্যকর কমিটির সদস্য প্রাক্তন ফুটবলার মানস ভট্টাচার্য, ক্লাবের ফুটবল সচিব স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাবের সভাপতি সুভেন রাহাও। তবে এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি ক্লাবের সভাপতি স্বপন সাধন বোস। তিনি শারীরিক কারণের জন্য উপস্থিত হতে পারেননি। তবে তিনি উপস্থিত না থাকলেও শুভেচ্ছা বার্তা জানান প্রিয় বন্ধুর নামে মিডিয়া সেন্টার উদ্বোধনের জন্য।

এদিনের অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের বিষয় আলোচনা করা হয়। সেই আলোচনার মধ্যে টুটু বসুর নাম শুনে বিজয়নের পুরনো স্মৃতি মনে পড়ে। তিনি বলেন, ‘একবার একটা খেলার সময় টুডু দা বলেছিল যদি আজকে তিন গোল দিতে পারিস তাহলে আমাকে বাইক উপহার দেবে। কিন্তু সেই খেলাটা কোন বছরের ঠিক মনে নেই। তখন আমি থাকতাম সল্টলেকের চার নম্বর ট্যাংকে কাছে। সেই সময় আমার কোনও গাড়ি ছিল না। তার ওপর ম্যাচটা ছিল শক্তিশালী দল ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে। তবে সেই ম্যাচে আমি দুই গোল করতে পেরেছিলাম। দুই গোল করার পরে আমি অঞ্জন দা কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম তিন গোল তো আমি করতে পারলাম না। তাহলে কি আমি বাইক পাব না? যদিও তিন গোল করতে না পারলেও টুটুদা আমাকে একটি স্কুটার উপহার দিয়েছিল।’

এছাড়াও বিজয়ন অঞ্জন মিত্রের সময় কিভাবে মোহনবাগানের হয়ে সই করেন, সেই কথাও সকলের সামনে তুলে ধরেন। এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়, স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়, এবং সোহিনী চৌবেও। অনুষ্ঠানে দাদাভাইয়ের সম্পর্ক স্মৃতিচারণ করেন অঞ্জন মিত্রের দুই ভাইও। এছাড়াও এই দিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সচিব দেবাশীষ দত্তও। তিনি বলেন, ‘অঞ্জন মিত্রের অবদান শুধুমাত্র মোহনবাগান ক্লাবের জন্যই নয়, সমাজের সকল খেলার প্রতি তার অবদান ছিল। তিনিই ছিলেন প্রথম ভারতীয় ফুটবলের স্পনসর। তারা তো সুনাম থাকলেও তিনি যখন ইউবির সঙ্গে ক্লাবের চুক্তি করেন সেই সময় তার নামে ক্রিমিনাল কেসও করা হয়। আরে কেসের জন্য তাকে জামিন পর্যন্ত উনিতে হয়েছিল। এই ঘটনায় খুবই অপমানিত বোধ করেন অঞ্জন দা। তবে আজ এত বছর পরে প্রমাণ হয়ে গেছে অঞ্জন মিত্র যা চেয়েছিলেন সবাই এখন সেই পথেই চলছেন।’

ভারতীয় ফুটবল দল এশিয়াডে অংশগ্রহণ করতে একটা সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে ফেডারেশনের টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান বিজয়ন বলেন, ‘আমার মনে হয় ভারতীয় দল এশিয়াডে অংশগ্রহণ করা উচিত। এর জন্য ফেডারেশনও অনেকটাই চেষ্টাও করছে।’

For all the latest Sports News Click Here 

Read original article here

Denial of responsibility! TechAI is an automatic aggregator around the global media. All the content are available free on Internet. We have just arranged it in one platform for educational purpose only. In each content, the hyperlink to the primary source is specified. All trademarks belong to their rightful owners, all materials to their authors. If you are the owner of the content and do not want us to publish your materials on our website, please contact us by email – [email protected]. The content will be deleted within 24 hours.