অবাধ্য ছিলেন গিল, শাস্ত্রীর কাছে নালিশ করার কথা ভেবেছিলেন প্রাক্তন ফিল্ডিং কোচ

ভারতের প্রাক্তন ফিল্ডিং কোচ আর শ্রীধর। তিনি বিভিন্ন সময়ে বেশ কয়েকজন প্রধান কোচের নেতৃত্বে ভারতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁর সময়কালে বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারের অভিষেক ঘটেছে। তাদের মধ্যে অন্যতম লোকেশ রাহুল, শুভমন গিল। শ্রীধর তার আত্মজীবনী ‘কোচিং বিয়ন্ড: মাই ডেজ উইথ দ্য ইন্ডিয়ান ক্রিকেট টিম’-এ লিখেছেন কীভাবে নতুন প্রতিভাদের সামলাতেন। কীভাবে ক্রিকেটারদের আগামীর জন্য তৈরি করা হত। দলে কীভাবে স্টার কালচার বা তারকা সংস্কৃতি তৈরি হয়েছিল ও সেটাকে কীভাবে তিনি মোকাবিলা করেছিলেন, সেই কথাও জানান আর শ্রীধর। 

রবি শাস্ত্রী যখন ভারতীয় দলের প্রধান কোচ ছিলেন তখন ফিল্ডিং কোচের দায়িত্ব সামলাতেন আর শ্রীধর। শাস্ত্রীর দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার সময় পর্যন্ত এই দায়িত্ব সামলেছেন শ্রীধর। এই সময়কালে ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসে অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। প্রতিভাবান ক্রিকেটাররা উঠে এসেছেন।

শ্রীধর তার বইতে লিখেছেন, ভারতীয় দলে সদ্য যুক্ত হওয়া নতুন ক্রিকেটাররা ফিল্ডিং নিয়ে একটু সমস্যাতেই থাকতেন। তারা তাদের পূর্বসূরী ক্রিকেটারদের মতো ফিল্ডিং করতে খুব একটা আগ্রহী ছিলেন না। তিনি বলেছেন, ‘সদ্য যুক্ত হওয়া কেএল রাহুলকে যখন সিলি পয়েন্ট এবং শর্ট লেগে ফিল্ডিং করার জন্য তুলে আনি, তখন রাহুল ভেঙে পড়ে। ওকে দেখে মনে হয়েছিল, খুব রাগ করেছে। এখনকার ছেলেদের মানসিকতা একেবারে অন্য। কেউ পরিশ্রম করতে চায় না।’  

তারকা সংস্কৃতি সম্পর্কে আর শ্রীধর বলেন যে অনেকেই নিজের পছন্দের ফিল্ডিং পজিশনের বাইরে দাঁড়াত চাই না। বয়স ভিত্তিক ক্রিকেটে তাদের কোনও কোচ সম্ভবত বলারও সাহস পেতেন না। তাই এইসব প্লেয়ারদের হাবভাব ছিল যে তারা যেটা ভাবছেন, সেটাই শেষ কথা। এই মানসিকতাকে বদলানোই ছিল শ্রীধরের চ্যালেঞ্জ। তিনি ২০২১ সালে ইংল্যান্ডের ভারত সফরের সময় দলে যুক্ত হওয়া শুভমন গিলের উদাহরণ তুলে ধরেন। আমেদাবাদে, ২০২১ সালের মার্চে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ টেস্টের সময়, শুভমনের সঙ্গে একই রকম হতে থাকে। ফিল্ডিং নিয়ে সমস্যায় পড়ে শুভমন। আমি রবির সাথে এটির সম্পর্কে কথা বলার চিন্তা করেছিলাম। তবে কথা বলতে হয়নি। তাকে একদিন দুপুরের খাওয়ারের জন্য নিয়ে গিয়েছিলাম।’

তিনি বইতে আরও লিখেছেন, ‘খাওয়ার টেবিলে বসে আমি গিলকে বলেছিলাম, তোমাকে পরবর্তীকালের বড় ক্রিকেটার হিসাবে বিবেচনা করা হয়। লোকেরা তোমাকে নেতৃত্বের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছে। একজন ভবিষ্যৎ নেতা হিসাবে ভাবা হচ্ছে। তোমাকে এমন কিছু করতে হবে যেটা লোকের কাছে উদাহরণস্বরূুপ হয় । এটি শুধুমাত্র দলের স্বার্থে করা নয়। নিজের জন্য এটি করো। তোমার সন্তুষ্টির জন্য এটি করো।’

দিন বদলেছে। ২০২১ সালের থেকে বর্তমানে দলে শুভমনের দাপট অনেক বেশি। নিজের মজবুত জায়গা তৈরি করেছেন তিনি। সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম একদিনের ম্যাচে ডবল সেঞ্চুরিও করেছেন। শ্রীধরের পরামর্শ মেনে তাঁর ক্ষতি হয়নি দেখাই যাচ্ছে। 

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

For all the latest Sports News Click Here 

Read original article here

Denial of responsibility! TechAI is an automatic aggregator around the global media. All the content are available free on Internet. We have just arranged it in one platform for educational purpose only. In each content, the hyperlink to the primary source is specified. All trademarks belong to their rightful owners, all materials to their authors. If you are the owner of the content and do not want us to publish your materials on our website, please contact us by email – [email protected]. The content will be deleted within 24 hours.