প্রিয়াঙ্কা চোপড়া বলিউডে কাজের সংখ্যা কমিয়েছেন বিগত ১০ বছরে। এখন তাঁর হাতে ভর্তি হলিউড প্রোজেক্ট। এরপর তাঁকে দেখা যাবে দ্য রুশো ব্রাদার্স পরিচালিত সিটাডেলে রিচার্ড ম্যাডেন এবং স্ট্যানলি টুকির সঙ্গে। তবে তাঁর আগে খবরে অভিনেত্রী। বলা ভালো, বলিউড নিয়ে একের পর এক বোমা ফাটিয়ে যাচ্ছেন।
এর আগে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন যে বলিপাড়ার নোংরা রাজনীতি বিরক্ত হয়ে গিয়েই তিনি ভারত ছেড়েছিলেন। হলিউডে কেরিয়ার গড়তে চলে যান। এরপর সাফ জানালেন, তাঁর জীবনে এর আগে আসা পুরুষেরা ছিল ‘নিরাপত্তাহীন’।
প্রসঙ্গত, হলিউডের গায়ক নিক জোনাসকে বিয়ে করেন প্রিয়াঙ্কা ২০১৮ সালে। তাঁদের মধ্যে বয়সের ফারাক পুরো ১০ বছরের। বরের থেকে তিনি বছর দশকের বড়। তবে বয়সের থেকে এই পার্থক্য কখনওই সম্পর্কে যে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি, তা তাঁদের দাম্পত্যের সমীকরণই বুঝিয়ে দেয়।
সম্প্রতি এর সাক্ষাৎকারে প্রিয়াঙ্কাকে বলতে শোনা যায় তিনি এমন পুরুষদের দেখেছেন জীবনে যারা অনিশ্চয়তায় ভুগেছে তাঁর সাফল্য দেখে। অভিনেত্রীর কথায়, ‘আসলে সংসারের জন্য রোজগার করে পুরুষরা স্বাধীনতা আর গর্ব বোধ করে। কিন্তু আমাদের উচিত আমাদের ছেলেকে শেখানে এই দায়িত্ব তোমাক বোন, মা, দিদি, প্রেমিকা, বউ বা মেয়ের সঙ্গে ভাগ করে নিতে লজ্জিত হওয়ার কিছু নেই।’
বলিউডের ‘নোংরা রাজনীতি’ প্রসঙ্গে হলিউডের এক পডকাস্ট শো-তে তিনি সাফ জানিয়ে দেন একসময় বলিউডে তাঁকে কোনঠাঁসা করার চেষ্টা করছিল। যা দেখে মনে আঘাতও পেয়েছিলেন খুব। তারপরই এই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে হলিউডে চলে যাওয়ার মতো বড় ঝুঁকি নেন। প্রিয়াঙ্কা প্রমাণ করেছেন, মেধা থাকলে আর পরিশ্রম করলে কোনও কিছুই অসম্ভব নয়। তাই তো তাঁর পরিচিতি গ্লোবাল স্টার হিসেবে। সিটাডেলের ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠানেও তিনি জানিয়েছেন, এমন মানুষদের সঙ্গে আর কাজ করতে চান না যাদের ব্যক্তিগতভাবে তাঁর পছন্দ নয়।
বসিউড প্রোজেক্ট জি লে জারা-তে কাজ করার কথা রয়েছে প্রিয়াঙ্কার। তাঁর শেষ হিন্দি ছবি সেই ২০১৫ সালে বাজিরাও মস্তানি, দীপিকা পাড়ুকোন আর রণবীর সিং-এর সঙ্গে। জি লে জারার-তে স্ক্রিন শেয়ার করবেন আলিয়া ভাট আর ক্যাটরিনা কাইফ। পরিচালনায় জোয়া আখতার। যদিও কবে ছবিটি ফ্লোরে যাবে সে সম্পর্কে কোনও নিশ্চিত তথ্য মেলেনি।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)
For all the latest entertainment News Click Here
