অধিনায়কদের স্বেচ্ছাচারিতার অধিকার কে দিল? অশ্বিন বাদ নিয়ে সরব ইংরেজ প্রাক্তনী
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকেই বিরাট কোহলি এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ঝামেলার খবর প্রকাশ্যে এসে পড়েছিল। ভারতীয় দলের দুই তারকার মধ্যে ঝামেলা এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল যে, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একটি টেস্টেও অশ্বিনকে প্রথম একাদশে রাখেননি বিরাট। এ বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও একই ধারা বজায় রয়েছে। পাকিস্তানের কাছে ১০ উইকেটে হারের পরেও শিক্ষা হয়নি ভারত অধিনায়কের। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধেও অশ্বিনকে বাদ দিয়ে প্রথম একাদশ তৈরি করেছিলেন তিনি। আর অশ্বিনকে বাদ দেওয়া নিয়েই এ বার কোহলির তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। সরব হয়েছেন প্রাক্তন ব্রিটিশ ক্রিকেটার নিক কম্পটন।
কোহলির ভারতকে এ বার বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অন্যতম দাবীদার বলে মনে করা হয়েছিল। ভারতীয় স্কোয়াডের সমস্ত সদস্যরা টুর্নামেন্ট শুরুর আগে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে আইপিএল খেলেছেন। এখানকার পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য অনেকটাই সময় পেয়েছেন ভারতের ক্রিকেটাররা। তবু তারা বিশ্বকাপে ব্যর্থ।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে হারের পর ভারতের ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রোহিত শর্মাকে তিন নম্বরে খেলানো নিয়ে চলছে তীব্র সমালোচনা। এর মাঝেই অশ্বিনকে দলে না রাখা নিয়ে ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার নিক কম্পটনও প্রশ্ন তুলেছেন। প্রস্তুতি ম্যাচে ভালো ছন্দে থাকার পরেও অশ্বিনকে কেন প্রথম একাদশে রাখা হচ্ছে না, সেই প্রশ্ন তুলেই কোহলির তীব্র সমালোচনা করেছেন কম্পটন।
একটি টুইটে কম্পটন লিখেছেন, ‘আমি ঠিক বুঝতে পারছি না যে অশ্বিনের সঙ্গে কোহলির কতটা খারাপ সম্পর্ক যে তাকে ভারতীয় দলের বাইরে রাখা হচ্ছে? একজন অধিনায়ক কি সত্যিই এ রকম স্বেচ্ছাচারিতা করতে পারে?’
অশ্বিনকে প্রথম একাদশে না রাখা নিয়ে এই বারই প্রথম নয়, আগেও কোহলিকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। তবে তাতে অবশ্য ভারত অধিনায়কের কিছু যায় আসে না। অগস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের সময় কোহলি একই ধরনের আচরণ করার জন্য সমালোচিত হয়েছিল।
যাইহোক কম্পটনের এই টুইটের জন্য তাঁর সমালোচনা করে এক কোহলি ভক্ত পাল্টা লিখেছেন, ‘ভারতীয় ক্রিকেট এখন একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।’ যার উত্তরে কম্পটন পাল্টা লিখেছেন, ‘সেটা যাওয়ার কথা নয় কী?’ এর সঙ্গেই তিনি যোগ করেছেন, ‘(শার্দুল) ঠাকুর টেস্টে ক্রিকেটে বা এই ম্যাচে খেলেন কী ভাবে? ক্রিকেট বিশ্ব মানবেই না, ও অশ্বিনের চেয়ে ভাল ক্রিকেটার।’
প্রস্তুতি ম্যাচে কিন্তু অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডকে দাপটের সঙ্গে হারিয়েছিল ভারত। কিন্তু সুপার টুয়েলভে একেবারে ছন্নছাড়া দশা কোহলির টিমের। প্রথমে পাকিস্তানের কাছে ১০ উইকেটে হার। তার পরের নিউজিল্যান্ডের কাছে ৮ উইকেটে হার। পরপর দুই ম্যাচে হেরে রীতিমতো চাপে পড়ে গিয়েছে বিরাট কোহলি বাহিনী। তাদের সেমিফাইনালে যাওয়ার আশা কি তবে এখানেই শেষ? চলছে নানা জল্পনা। তবে জটিল এক অঙ্কের হিসেবে ভারত এখনও সেমিফাইনালে যেতে পারে। তবে সেই অঙ্কের সমাধান করাটা পুরোটা ভারতের হাতে আর নেই। কারণ নিজেদের জয়ের পাশাপাশি ভারতকে এখন নিউজিল্যান্ডের পয়েন্ট নষ্টের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে।
ভারতের হাতে এখনও তিনটি ম্যাচ রয়েছে। আর এটা পরিষ্কার, ভারতকে তিনটি ম্যাচই জিততে হবে। কিন্তু রানরেটের যা পরিস্থিতি, তাতে ভারতকে তিনটি ম্যাচই বিশাল বড় ব্যবধান জিততে হবে। আর আফগানিস্তানের কাছে নিউজিল্যান্ডকে হারতে হবে।
For all the latest Sports News Click Here