WTC ফাইনালের উত্তাপ অনুপস্থিত, এখনও IPL সতীর্থদের প্রশংসায় ভরাচ্ছেন হ্যাজেলউড
আর কদিন বাদেই শুরু WTC ফাইনাল। টেস্ট ক্রিকেটের সর্বোচ্চ শিরোপা জেতার লড়াই। মাঠের ভিতরে লড়াই হাড্ডাহাড্ডি হবে, সেটা আশা করাই যায়। কিন্তু মাঠের বাইরে এখনও সদ্য শেষ হওয়া আইপিএলের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থেকে গিয়েছে। গত দুই মাস ধরে ভারতীয় ও বিদেশিরা একসঙ্গে খেলেছেন, একই ড্রেসিংরুমে সময় কাটিয়েছেন। ফলে ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ মানেই অতীতে যে স্লেজিং শুরু হয়ে যেত, দুতরফ থেকেই গরম গরম উক্তি আসত, সে সবের বালাই নেই এখানে। অনেকটাই পানসে পুরো বিষয়টি। সেই কারণেই ফাইনালের আগে আরসিবি সতীর্থ মহম্মদ সিরাজকে প্রশংসায় ভরালেন অজিদের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ জোশ হ্যাজেলউড।
এবার আরসিবি হয়তো প্লে-অফে যেতে পারেননি, কিন্তু ব্যাঙ্গালোর দলের যেসব খেলোয়াড়রা মন জয় করেছিলেন, তাদের অন্যতম ছিলেন সিরাজ। প্রথম থেকেই নির্ভুল লাইন ও লেংথে বল করে বিপক্ষের ব্যাটারদের চাপে ফেলে দেন তিনি। সেই কথা বললেন হ্যাজেলউডও যিনি চোটের জন্য অনেকটা আইপিএল মিস করেছেন এবার। আইসিসি-কে তারকা অজি পেসার জানান যে সিরাজ অনবদ্য বল করেছেন দারুণ নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে। যেভাবে চিন্নাস্বামীর মতো হাই স্কোরিং মাঠেও অত কম রান দিয়ে ধারাবাহিক ভাবে বল করেছেন সিরাজ, সেটারও প্রশংসা করেন তিনি। অন্যদিকে বিরাট কোহলির পরিশ্রম করার ক্ষমতারও ভূয়সী প্রশংসা করেন জশ। তিনি বলেন যে কোহলি যেভাবে নেটে ঘাম ঝরান, তা রীতিমত শিক্ষামূলক। প্রায় দুই মাস ধরে আরসিবিতে একসঙ্গে অনুশীলন করেছেন সবাই, ফলে অন্যান্য ক্রিকেটারদের অভ্যাস সম্বন্ধে সম্যক ভাবে ওয়াকিবহাল তিনি।
অতীতে বেশি কিছু আইপিএল অত্যন্ত মার খেয়েছেন সিরাজ। তার জন্য কথাও শুনতে হয়েছে তাঁকে, পড়েছেন ট্রোলিংয়ের মুখে। কিন্তু এবার প্রথম থেকেই লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন। সেই কারণেই বেগুনি টুপির তালিকায় নয় নম্বরে শেষ করেছেন তিনি, ১৯ উইকেট নিয়ে। ৫০ ওভার বল করেছেন মাত্র ৩৭৫ রান দিয়ে, সেরা স্পেল ১৯ রানে ৪ উইকেট। প্রথম দশ উইকেট সংগ্রহকারীর তালিকায় তার থেকে কম রান দিয়েছেন শুধু পাথিরানা।
তবে এবার বড় লড়াই লাল বলে। সেখানে ইতিমধ্যেই ১৮টি টেস্টে ৪৭ উইকেট নিয়েছেন সিরাজ। এরমধ্যে ২১টি নিয়েছেন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে, ১৪টি অজিদের বিরুদ্ধে। তাঁর টেস্ট জীবনের প্রথম পাঁচ উইকেট সিরাজ নেন অজিদের বিরুদ্ধে। তাই এটা সহজেই বোঝা যাচ্ছে যে বড় দলগুলির বিরুদ্ধে জ্বলে ওঠার ক্ষমতা ধরেন এই হায়দারাবাদের তরুণ। তবে বুমরাহ নেই এবারের ফাইনালে। তাই শামির সঙ্গে সঙ্গে সিরাজকেই নতুন বলের দায়িত্ব নিতে হবে ওভালের পিচে। সেই চ্যালেঞ্জটি কতটা উপভোগ করেন সিরাজ, সেটাই দেখার। অন্যদিকে অতীতে সফল হলেও হ্যাজেলউড প্রথম একাদশে থাকবেন, তেমন কোনও গ্যারান্টি নেই। বরং অনেক অজি বিশেষজ্ঞদের অভিমত, স্কট বোলান্ডকে খেলানো বুদ্ধিমানের কাজ হবে। ওভালের পিচ পাটা হতে পারে। সেখানে লেংথ ও লাইন বজায় রেখে একটা দিক ধরে রাখতে পারেন এই অজি পেসার। প্রথম একাদশ নিয়ে টস হওয়া অবধি জল্পনা চলবে, সেটা বলেই দেওয়া যায়। যাবতীয় উত্তর পেতে অপেক্ষা করতে হবে সাত জুন অবধি। তবে সৌরভ-স্টিভের দ্বৈরথ যে এবার দেখা যাবে না, তা কার্যত গ্যারান্টি।
For all the latest Sports News Click Here