WPL-র মঞ্চে শুরু, ৩ মাসের লড়াইয়ে কীভাবে ইডেনে বিশ্বকাপের সেমি আনলেন স্নেহাশিস?
সাদা বলের দুটি বিশ্বকাপের ফাইনালের আয়োজন করেছে, ভারতের অন্যতম সেরা মাঠ- সেই মাঠই কিনা ২০২৩ সালের একদিনের বিশ্বকাপে কোনও নক-আউট ম্যাচ পাবে না? বিষয়টা মেনে নিতে পারেননি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল (সিএবি) স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। বরং লড়াই করেছেন। আর যে পরিবারের ‘রক্ত’ তাঁর শরীরে বইছে, সেই ‘রক্ত’ তো কোনও বিনা যুদ্ধে হাল ছাড়তে শেখায়নি। শুধু লড়াই তো নয়, লড়াই করে জয় ছিনিয়ে আনতে শিখিয়েছে সেই ‘রক্ত’- সেটা ক্রিকেটের মাঠে ভাই সৌরভ হোক বা ক্রিকেট প্রশাসনে দাদা স্নেহাশিস হোক। আর সেই লড়াইয়ের উপর ভর করেই বাজিমাত করেছে ইডেন গার্ডেন্স, বাজিমাত করেছে কলকাতা। সেমিফাইনাল-সহ পাঁচটি ম্যাচ ছিনিয়ে এনেছে ইডেন। যে তালিকায় ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ আছে। রয়েছে পাকিস্তান-বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড-পাকিস্তানের মতো ম্যাচও। আর সেই যুদ্ধ জয়ের সন্ধ্যায় সিএবি প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিসের চোখে-মুখে এক আলাদাই পরিশ্রান্তি, এক আলাদাই জয়ের অনুভূতি ধরা পড়েছে। আর সেই পরিতৃপ্তির সঙ্গে স্নেহাশিস জানালেন যে কীভাবে অসাধ্য সাধন করেছেন।
আরও পড়ুন: ICC World Cup Matches at Eden: বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল পেল ইডেন; কলকাতায় খেলবে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশও
স্নেহাশিস বলেন, ‘মুম্বইয়ে উইমেন্স প্রিমিয়র লিগের (গত মার্চে) সময় যখন মিস্টার শাহের (ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট জয় শাহ) সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল, তখন ইডেন গার্ডেন্সের দুর্দান্ত পরিকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে জানিয়েছিলাম। কী কী সংস্কার করা হচ্ছে, কোন কোন পরিকাঠামো আরও উন্নত করা হচ্ছে, (সেটাও জানিয়েছিলাম) আমি। আমি তাঁকে আশ্বস্ত করেছিলাম যে বিশ্বকাপের ঢের আগেই সংস্কারের কাজ শেষ হয়ে যাবে। তাঁকে নকশাও দেখিয়েছিলাম আমি। সেইসঙ্গে স্টেডিয়ামের কয়েকটি অংশ কীরকম ভাবে গড়ে তুলছি আমরা, সেটাও দেখিয়েছিলাম।’
আরও পড়ুন: ICC ODI WC 2023: এখনও ইডেনে হতে পারে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ! শুধু মিলতে হবে এই অঙ্ক
সিএবি প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আমাদের (ইডেনের) অগ্রগতি দেখে উনি (শাহ) সন্তোষপ্রকাশ করেছিলেন। উনি আশ্বস্ত করেছিলেন যে বড় এবং হাই-প্রোফাইল ম্যাচ পাব আমরা। ওঁনাকে আমি আবারও ধন্যবাদ জানাতে চাই এবং ইডেনের সব ম্যাচগুলি যাতে ব্যাপক সাফল্য পায়, সেই (চেষ্টা করব)।’ সূত্রের খবর, স্নেহাশিসের পাশাপাশি ইডেনে একাধিক ব্লকবাস্টার ম্যাচ আনার ক্ষেত্রে হাত আছে প্রাক্তন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ এবং সিএবির প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট তথা আইপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য অভিষেক ডালমিয়ার।
তবে প্রাথমিক যুদ্ধে জয় এলেও বড় যুদ্ধের কথা ভুলে যাননি স্নেহাশিস। ইডেনে যেহেতু পাকিস্তানের দুটি ম্যাচ আছে, তাই নিরাপত্তার উপর বাড়তি জোর দিতে হবে। স্নেহাশিস বলেন, ‘আমরা আগেও পাকিস্তানের ম্যাচ আয়োজন করেছি। তাই আমাদের কাছে এটা কোনও নতুন বিষয় নয়। এবারও আমরা চ্যালেঞ্জ নিতে মুখিয়ে আছি।’
For all the latest Sports News Click Here