W-1-2-7nb-1w-3b-W-1w-1-টেনশনের শেষ ওভার, হৃদস্পন্দন বন্ধ হয় হয়, শেষ হাসি ভারতের
ভারত-পাকিস্তান মানেই হাইভোল্টেজ ম্যাচ। তার উপর সেই ম্যাচ যদি লাস্ট বল পর্যন্ত গড়ায়, তা হলে তো কথাই নেই। কী উত্তেজনা- হৃদস্পন্দন একেবারে বন্ধ হওয়ার জোগাড়। শেষ ওভারের গল্প খানিকটা এ রকম: উইকেট-১-২-৭নোবল-১ওয়াইড-৩বাই-উইকেট-১ওয়াইড-১। এই পরিসংখ্যান থেকেই বোঝা যাচ্ছে, টেনশনের পারদটা ঠিক কোন পর্যায়ে গিয়েছিল।
শেষ ওভারে বল করতে এসেছিলেন মহম্মদ নওয়াজ। জিততে হলে শেষ ওভারে ভারতের প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। প্রথম বলেই নওয়াজ ফেরান হার্দিক পাণ্ডিয়াকে। বড় শট খেলতে গিয়ে ঠিক করে ব্যাটে-বলে লাগাতে পারেননি। বাবরের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন হার্দিক (৩৭ বলে ৪০)। ব্যাট করতে নামেন দীনেশ কার্তিক। তার পরের বলে কার্তিক ১ রান নিয়ে বিরাট কোহলিকে স্ট্রাইক দেন। কোহলি পরের বলে নেন ২ রান। এই পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। এর পরেই চূড়ান্ত নাটক।
আরও পড়ুন: পাক ওপেনিং জুটিকে ফিরিয়ে রেকর্ড আর্শদীপের,বাবর-রিজওয়ানের লজ্জার নজির
১৯.৪ ওভারে ঘটল বিপদ। যেটা ম্যাচের টার্নিং পয়েন্টও বটে। সেই বলে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। কিন্তু ছক্কা মারার পরে বিরাট আম্পায়ারের কাছে দাবি জানান, বলটি নো ছিল বলে। আম্পায়ার চেক করে নো-বল দেন। ফ্রি-হিট পান বিরাট। যেটা ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। আর এই বলটি নো দেওয়া নিয়ে পাক অধিনায়ক বাবর আজমের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ও চলে আম্পায়ারের।
তার পরের বলটাই ওয়াইড করেন নওয়াজ। ফলে ফের আরও একটি বল করতে হয় তাঁকে। সেই বলেও ফ্রি-হিট বজায় থাকায় কোহলি বোল্ড হলেও, রক্ষা পেয়ে যান।নাওয়াজের একটি নো বলেই যেন খেলার অঙ্ক সবটাই বদলে গেল। ১৯.৪ ওভারের শেষ বলে ৩ রান বাই পায় ভারত।
এর পর ভারতের জয়ের জন্য ২ বলে দাঁড়ায় ২ রান। কিন্তু পঞ্চম বলে ধাক্কা অপেক্ষা করছিল ভারতের জন্য। আউট হন কার্তিক। ষষ্ঠ বলে ফের ওয়াইড করেন নওয়াজ। ম্যাচ টাই হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত অতিরিক্ত বলে ১ রান নেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। টেনশনের পর্দা সরিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলেন ভারতীয় ক্রিকেট ভক্তরা। শেষ বলে ম্যাচ জিতে শেষ হাসি হাসে রোহিত শর্মার টিম ইন্ডিয়া।
আরও পড়ুন: T20 WC-এ নয়া নজির ৩৭-এর ‘তরুণ’ দীনেশ কার্তিকের
এ দিন টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান ৮ উইকেটে ১৫৯ রান করে। দুই ওপেনার চূড়ান্ত ব্যর্থ হলেও, শান মাশুদ এবং ইফতিকর আহমেদ দলের হাল ধরেন। শান মাশুদ ৪২ বলে অপরাজিত ৫২ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন। ইফতিকার আহমেদ করেন ৩৪ বলে ৫১ রান। আর টেল এন্ডারে নেমে শাহিন আফ্রিদি ৮ বলে ১৬ করেছিলেন। বাকিরা কেউ দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাননি। নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫৯ রান করে পাকিস্তান।
ভারতের আর্শদীপ সিং এবং হার্দিক পাণ্ডিয়া নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট। ভুবনেশ্বর কুমার এবং মহম্মদ শামি নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।
জবাবে ব্যাটে করতে নেমে ভারতের দুই ওপেনারও ব্যর্থ হন। তবে হাল ধরেন বিরাট কোহলি। কিং কোহলি এশিয়া কাপ থেকেই ছন্দে রয়েছেন। এ দিন একা দায়িত্ব নিয়ে ভারতের হাল ধরেন। ৫৩ বলে ৮২ রানের দুরন্ত ইনিংস একাই খেলেন কোহলি। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করেছিলেন হার্দিক। তবে ম্যাচ শেষ ওভারের নাটক পর্যন্ত গড়ায়। শেষ বলে ম্যাচ জিতে গত বিশ্বকাপের বদলা নিল ভারত। নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬০ রান করে টিম ইন্ডিয়া। ৪ উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় ভারত।
For all the latest Sports News Click Here