Viral: প্রতারক ব্যবসায়ীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ জ্যাকলিন,ছবি ফাঁস হতেই অস্বস্তিতে নায়িকা
হাতে আইফোন, আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের গালে চুমু খাচ্ছেন এক ব্যক্তি। এমনই ছবি ঘিরে তোলপাড় নেটদুনিয়া। কারণ এই ব্যক্তি আর কেউ নন, কয়েক হাজার কোটির আর্থিক তছরূপের মামলার মূল অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখর। এই ছবি ভাইরাল হতেই ফের চর্চায় জ্যাকলিনের সঙ্গে সুকেশের ব্যক্তিগত সম্পর্ক। এই মামলায় বারবার ইডির জেরার মুখে পড়েছেন জ্যাকলিন। তবে কনম্যান সুকেশের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই তাঁর, মিডিয়ায় বিবৃতি জারি করে এমনটাই জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী।
ইন্ডিয়া টুডে-র এক প্রতিবেদনে ছবি দাবি করা হয়েছে জ্যাকলিন-সুকেশের এই অন্তরঙ্গ ছবিটি চলতি বছর এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে তোলা হয়েছে। এবং সুকেশের হাতে যে ফোনটি রয়েছে, সেটির মাধ্যমেই বিরাট অঙ্কের প্রতারণার যাবতীয় কাজ সেরেছেন সুকেশ।
তোলাবাজির মামলায় অভিযুক্ত জালিয়াত সুখেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইডি। জালিয়াতি করে সুকেশ চন্দ্রশেখর টাকা বিদেশে পাচার করে এবং সেই টাকা বেআইনিভাবে বিদেশে বিনিয়োগ করে- এমনটাই প্রাথমিক তদন্তে মনে করছে ইডি। দিল্লি পুলিশের তরফে আগেই সুকেশ এবং তাঁর স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই মামলায় ইডির সাক্ষী তালিকায় নাম রয়েছে জ্যাকলিনের। অভিনেত্রীকে জেরাও করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
অভিযুক্ত সুকেশের আইনজীবী অনন্ত মালিক দাবি করেছেন, জ্যাকলিনের সঙ্গে প্রেম সম্পর্ক ছিল বিবাহিত সুকেশের। যদিও জ্যাকলিনের মুখপাত্র জানান, ‘তদন্তকারীদের সঙ্গে সবরকম সহযোগিতা করছেন জ্যাকলিন, উনি এই মামলার অভিযুক্ত নন। ওনাকে সাক্ষী দেওয়ার জন্য ডাকা হয়েছে। জ্যাকলিনের সঙ্গে অভিযুক্তের ব্যক্তিগত সম্পর্কের খবর ভুয়ো ও ভিত্তিহীন’। কিন্তু এই ছবি ভাইরাল হতেই অস্বস্তিতে অভিনেত্রী।
ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে চারবার চেন্নাইতে জ্যাকলিনের সঙ্গে দেখা করেছেন সুকেশ, এমনকি অভিনেত্রীর জন্য প্রাইভেট জেটের বন্দোবস্তও করে দেন তিনি। এমনটাও জানা গিয়েছে তিহার জেল থেকে জ্যাকলিনকে ফোন করতেন সুকেশ, পাঠাতেন চকোলেট, ফুলের তোড়াও। কিন্তু সুকেশের আসল পরিচয় জানা ছিল না জ্যাকলিনের। অভিনেত্রীর সঙ্গেও প্রতারণা করেছেন সুকেশ।
সূত্রের খবর, প্রায় ১০০ জনেরও বেশি মানুষকে ঠকিয়ে তাঁদের থেকে কোটি কোটি টাকা তুলেছে চন্দ্রশেখর ওরফে বালাজি। সুকেশ এবং স্ত্রী লীনা পালও এর আগে ২০১১ সালে এক ব্যাঙ্ক জালিয়াতির মামলার অভিযুক্ত। গ্রেফতারও হয়েছিলে তারা, পরে জামিনে ছাড়া পায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও স্বভাব পালটায়নি দুজনের।
For all the latest entertainment News Click Here