US-তেও পিছু ছাড়ল না ব্যর্থতা, সুপার কিংসের কাছে ৬৯ রানে হেরে MLC শুরু নাইটদের
মহাদেশ পালটে গেলেও ভাগ্য পালটাল না নাইট রাইডার্সের। এশিয়ায় আইপিএল এবং ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টির মতো মেজর লিগ ক্রিকেটে মুখ থুবড়ে পড়ল নাইট ব্রিগেড। বৃহস্পতিবার (স্থানীয় সময় অনুযায়ী) আমেরিকার ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগ মেজর লিগ ক্রিকেটের উদ্বোধনী ম্যাচে টেক্সাস সুপার কিংসের কাছে লস অ্যাঞ্জেলস নাইট রাইডার্স ৬৯ রানে হেরে গেল। সুপার কিংসের ১৮২ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে গিয়ে প্রথম ম্যাচেই নাইট রাইডার্সের ব্যাটিংয়ের কঙ্কালসার ছবিটা বেরিয়ে এল। একমাত্র আন্দ্রে রাসেল কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু দলের বাকি ব্যাটাররা এমনই ডুবিয়েছেন যে তাঁর ৩৪ বল ৫৫ রানের ইনিংস কোনও কাজে আসেনি।
আরও পড়ুন: MLC 2023: IPL-এ ফ্লপ হলেও MLC-তে নারিনকে ক্যাপ্টেন ঘোষণা নাইট রাইডার্সের, ২০২৪-তেও KKR খেলাবে?
বৃহস্পতিবার টেক্সাসে টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক সুনীল নারিন। শুরুটা দারুণ করে নাইট রাইডার্স। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই ফ্যাফ ডু’প্লেসিকে আউট করে দেন লকি ফার্গুসন। যা মেজর লিগ ক্রিকেটে ফার্গুসন এবং ডু’প্লেসির প্রথম বল ছিল। তবে নাইট রাইডার্সের সেই আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে দেননি ডেভন কনওয়ে। আইপিএলের দুরন্ত ফর্ম বজায় রেখে নাইট রাইডার্সকে পালটা দিতে থাকেন। ষষ্ঠ ওভারে লাহিরু মিলানথা (১৪ বলে ১৭ রান) আউট হয়ে গেলেও তাঁর উপর তেমন প্রভাব পড়েনি। বরং ডেভিড মিলারের সঙ্গে খেলতে থাকেন।
আরও পড়ুন: Sunil Narine: দুই মহাদেশে ৭৫ ঘণ্টায় ৪ ম্যাচ! ভাইটিলিটি ও MLC-তে খেলতে ১৪,৫০০ কিমি যাবেন নারিন
আর মিলার তো দর্শক হয়ে থাকার ক্রিকেটার নন। বেধড়ক মারতে থাকেন তিনি। তৃতীয় উইকেটে কনওয়ে এবং মিলারের জুটিতে ৪৯ বলে ৭৭ রান ওঠে। যে জুটির সৌজন্যে নির্ধারিত ২০ ওভারে ছয় উইকেটে ১৮১ রান তোলে সুপার কিংস। ৪২ বলে ৬১ রান করেন মিলার। ৩৭ বলে ৫৫ রান করেন কনওয়ে। সাতে নেমে ছয় বলে ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন ডোয়েন ব্র্যাভো। নাইট রাইডার্সের হয়ে চার ওভারে ২৩ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন ফার্গুসন। চার ওভারে ৪০ রান দিয়ে দুটি উইকেট পান আলি খান। সুনীল নারিন ও অ্যাডাম জাম্পা একটি করে উইকেট পান। রাসেল তিন ওভারে ৩৭ রান খরচ করেন।
রানটা খুব একটা বেশি না হলেও শেষ দুই ওভারে ৩০ রান তোলার ফলে ‘মোমেন্টাম’ পেয়ে যায় সুপার কিংস। যা বল হাতেও বজায় রাখেন ব্র্যাভোরা। প্রথম ওভারেই নাইট রাইডার্সের জোড়া উইকেট তুলে নেন রাস্টি থেরন। তিন বলে শূন্য রান করেন মার্টিন গাপ্তিল। তিন বলে চার রান করে ড্রেসিংরুমে ফিরে যান রিলি রসৌউ। তারপর যে নীতীশ কুমার এবং উন্মুক্ত চাঁদ ইনিংসের হাল ধরবেন, সেটা একেবারেই পারেননি। দু’জনেই কিছুক্ষণের মধ্যে ড্রেসিংরুমের রাস্তা ধরেন। তার ফলে ৩.১ ওভারে নাইট রাইডার্সের স্কোর দাঁড়ায় চার উইকেটে ২০ রান।
যে ধাক্কা থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি নাইট রাইডার্স। রাসেল চেষ্টা করলেও কাউকে সঙ্গী পাচ্ছিলেন না। জসকরণ মলহোত্রা এবং সুনীল নারিনকে নিয়ে লড়াই করলেও লাভ হয়নি। শেষপর্যন্ত মাত্র ১৪ ওভারে ১১২ রানে গুটিয়ে যায় নাইট রাইডার্সের ইনিংস। ৩৪ বলে ৫৫ রান করেন রাসেল (সাতটি চার এবং তিনটি ছক্কা)। জসকরণ করেন ১১ বলে ২২ রান। নারিন ১৩ বলে ১৫ রান করেন। বাকিরা তো দুই অঙ্কের রান তো দূরের কথা, পাঁচ রানও করতে পারেননি। সুপার কিংসের হয়ে চারটি উইকেট নেন মহম্মদ মহসিন (তিন ওভারে আট রান। দু’ওভারে ১৬ রান দিয়ে দু’উইকেট নেন থেরন। দুটি উইকেট পান জেরাল্ড কোটজেও। একটি করে উইকেট নেন ব্র্যাভো এবং কেলভিন স্যাবেজ।
For all the latest Sports News Click Here