UEFA CHAMPIONS LEAGUE: হাভার্টজ- পুলিসিচের গোলে লিলিকে সহজে হারিয়ে এগিয়ে চেলসি
লুকাকুর জায়গায় সুযোগ পাওয়া কেই হাভার্টজ ও ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিচের গোলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ১৬’র প্রথম লেগে জিতল চেলসি। এদিনের ম্যাচে লিলিকে ২-০ গোলে পরাজিত করল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। স্ট্যামফোর্ড ব্রীজে ম্যাচের আট মিনিটেই হাভাটর্জের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল চেলসি। ৬৩ মিনিটে দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে ব্যবধান দ্বিগুন করার পাশাপাশি দলের জয় নিশ্চিত করেন যুক্তরাষ্ট্রের তরুন মিডফিল্ডার ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিচ। আগামী ১৬ মার্চ দ্বিতীয় লেগের ম্যাচ খেলতে ফ্রান্সে যাবে চেলসি।
আবু ধাবিতে মাসের শুরুতে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব পালমেইরাসকে ২-১ গোলে পরাজিত করে প্রথমবারের মত ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলেছে চেলসি। এদিন ম্যাচের শুরুতেই সিজার আজপিলিকয়েটার লো ক্রসে জার্মান ফরোয়ার্ড হাভার্টজ মাত্র ৬ গজ দুর থেকে বল বারের উপর দিয়ে বাইরে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু আট মিনিটে কর্ণার থেকে এই হাভার্টজই দলকে এগিয়ে দেন। লিলিও রক্ষনভাগের ব্যর্থতায় হাকিম জিয়েচের কর্ণার থেকে হাভার্টজের হেডে লিড পায় চেলসি। মরশুমে এটি হাভার্টজের সপ্তম গোল। গোল হজম করে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা কিছুটা নড়েচড়ে বসে। তারই ধারাবাহিকতায় বেঞ্জামিন আন্দ্রের দুর পাল্লার শট কোনমতে রুখে দেন এডুয়ার্ড মেন্ডি। প্রথমার্ধে আর কোন গোল না হওয়া বেশ হতাশা নিয়েই বিরতিতে যান টাচেল। কিন্তু বিরতির সময় দলকে যথাযোগ্য বার্তা দেন তিনি।
বিরতির পর অনেকটাই আক্রমনাত্মক মেজাজে খেলতে থাকে চেলসি। মার্কো আলোসনোর শট ক্লিয়ার করেন লিরি টার্কিশ ডিফেন্ডার জেকি সেলিক। জিয়েচ ও মাতেও কোভাচিচও বদলী বেঞ্চে পাঠাতে বাধ্য হন টাচেল। শেষ পর্যন্ত কাউন্টার অ্যাটাক থেকে ব্যবধান দ্বিগুন হয় চেলসির। ৬৩ মিনিটে থিয়াগো সিলভার দুদান্ত পাস পেয়ে যান এন’গোলো কান্তে। লিলির এরিয়ার মধ্যে কান্তে সেই পাস বাড়িয়ে দেন পুলিসিচের দিকে। দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে মাত্র ১০ গজ দুর থেকে লিও জার্দিমকে পরাস্ত করেন পুলিসিচ।
লিলির বিরুদ্ধে জয়ী হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালের পথে এক পা এগিয়ে রাখল ব্লুজরা। এদিনের ম্যাচের পরে লুকাকু বিহীন চেলসির রুপ আরো ভালো ভাবে দৃশ্যমান হলো। রবিবার লিগ কাপের ফাইনালে লিভারপুলের বিরুদ্ধে এই অভিজ্ঞ স্ট্রাইকারকে টাচেল খেলান কিনা সেটাই এখন মূল প্রশ্ন। এদিনের ম্যাচ শেষে টাচেল বলেছেন, ‘কেইকে নিয়ে আমি খুবই সন্তুষ্ট। বেশ কিছু সপ্তাহ জুড়ে কেই কঠোর পরিশ্রম করছে যার প্রভাব ম্যাচে ধরা পড়েছে। মাঠে যে এরিয়াগুলোতে সে খেলছে তাতে দলের দারুন সহযোগিতা হচ্ছে। গত ম্যাচে লুকাকু খেলতে পারেনি। সে শুধুমাত্র মানসিক ভাবে নয়, শারিরীক ভাবেও বেশ পরিশ্রান্ত। আমি তা বুঝতে পারছি। এই মুহূর্তে তাকে সকলের সহযোগিতা করতে হবে। এদিন আমরা অন্য খেলোয়াড়দের ওপর আস্থা রেখেছি। রবিবারের ম্যাচের আগে আমাদের হাতে চারদিন সময় আছে। দেখা যাক ঐ ম্যাচে কে খেলতে পারে।’
For all the latest Sports News Click Here