T20-তে তরুণদের মানসিকতার সঙ্গে খাপ খাওয়ানো হবে কোহলির বড় পরীক্ষা
টি২০ বিশ্বকাপের পর এখনও পর্যন্ত মাত্র একটি ম্যাচ খেলেছেন কোহলি। ফেব্রুয়ারির সেই ম্যাচের পর যদিও অনেকটাই বদলে গিয়েছে ভারতীয় দল। দীনেশ কার্তিক থেকে দীপক হুডা, বিভিন্ন টি২০ স্পেশ্যালিস্টদের দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই বিন্যাস বদলের সঙ্গে নিজেদের খেলার স্টাইলও বদলেছে দল। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজে দলে ঢুকে দ্রুত তাই খাপ খাওয়াতে হবে কোহলিকে।
এখানে সমস্যা দুটো। এক তো তিনি দীর্ঘদিন ধরে ফর্মে নেই। তাই আত্মবিশ্বাস তলানিতে। অন্যদিকে কখনোই তিনি শুরুতেই চালিয়ে খেলেননি। কিছু বল লাগে থিতু হতে। অন্যদিকে যে নতুন সংস্কৃতি অনুযায়ী ভারত খেলছে, তার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে উইকেট পড়ুক বা থাকুক, অ্যাটাকিং ব্যাটিং বন্ধ হবে না। যেটাকে ইংলিশে বলা হচ্ছে ইন্টেন্ট। অর্থাৎ মনের ইচ্ছে থাকতে হবে খাপ খুলে মারার। রোহিত শর্মা প্রথম ম্যাচের পর বলেছেন যে সবাইকে মারতে হবে, একজন দুইজন করলে চলবে না। এই বার্তা কী বিশেষ কাউকে লক্ষ্য করে, সেই নিয়েও চলছে জল্পনা।
আরেকটি বিষয় হল যে ঠিক কার স্থানে দলে আসবেন কোহলি। দীপক হুডা দারুণ খেলছেন। আগের ম্যাচে পুরো ইংল্যান্ডের ছন্দ নষ্ট করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নেন তিনি। সেখানে তাঁকে কী বসাতে পারবে দল। আরেক বিকল্প হচ্ছে ইশান কিষানের জায়গায় খেলা। কিন্তু ওপেনিংয়ে কী শুরু থেকেই ইন্টেন্ট দেখাতে পারবেন কোহলি, যেটা রোহিত চান।
তবে এমন নয় যে এইসব কঠিন প্রশ্নের উত্তর কোহলির কাছে নেই। টি২০-তে তাঁর গড় ৫১.৫। স্ট্রাইক রেট ১৩৭.৬৮। অর্থাৎ ব্যাসরা যে ইনডেক্স ধরা হয়, ( ব্যাটিং অ্যাভারেজ ও স্ট্রাইক রেটের যোগফল) সেটা ১৮৯, যা রীতিমত সমীহ করার মতো। কিং কোহলি যদি তাঁর আগের ফর্মের সিকিভাগও দেখাতে পারেন দ্বিতীয় টি-২০তে, তাহলে কেটে যাবে যাবতীয় সংশয়ের মেঘ। কিন্তু ধারাবাহিক ভাবে যদি তিনি টি২০ সিরিজ থেকে অনুপস্থিত থাকেন ও বাকি সময় ব্যর্থ হন, তাহলে ক্রমশই ক্রিকেটের সবচেয়ে সংক্ষিপ্তি ফর্ম্যাট থেকে দূরে সরে যাবেন তিনি। ভারতীয় তথা বিশ্ব ক্রিকেটের জন্য যেটা আদৌ হিতকর হবে না।
For all the latest Sports News Click Here