বাংলার জামাই সুনীল ছেত্রীর বর্তমান ঠিকানা বেঙ্গালুরু। গত দশবছর ধরে সুনীল ছেত্রীর বেঙ্গালুরুতেই থাকেন। ২০১৩ সালে বেঙ্গালুরুতে চলে গিয়েছিলেন সেখানেই নিজের বাড়ি রয়েছে বারতের ক্যাপ্টেনের। নিজেকে কি এখন ব্যাঙ্গালোরের ছেলে মনে করেন সুনীল ছেত্রী? সুনীল বলেছেন, তাঁকে যদি কেউ প্রথম দেখেন সেক্ষেত্রে নর্থইস্টের বাসিন্দা মনে করবেন। ১০ বছর আগের তাঁকে দেখলে দিল্লির ছেলে বলে মনে হত। হিন্দি, ইংরেজি, পঞ্জাবি এবং বাংলা ভালো করেই কথা বলতে পারেন। সুনীলের স্ত্রী বলেন তাঁর মধ্যে নাকি সবকিছুর মিশ্রণ রয়েছে। গত দশবছরে সুনীলের মধ্যে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। বেঙ্গালুরু সম্পর্কে তাঁকে অনেক কিছু বলতে শোনা যায়। তবে তিনি ভাগ্যবান যে দেশের বিভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে থেকে বড় হয়েছেন।
সুনীল ছেত্রী বলেছেন, ‘এই বিষয়টা ব্যাখ্যা করা মুশকিল। আমাকে যদি কেউ প্রথম দেখেন সেক্ষেত্রে নর্থইস্টের বাসিন্দা ভাববেন। ১০ বছর আগের আমাকে দেখলে দিল্লির ছেলে বলে মনে হত। হিন্দি, ইংরেজি, পঞ্জাবি বা হয়তো বাংলায় কথা বলি। স্ত্রী বলে আমার মধ্যে সবকিছুর মিশ্রণ আছে। গত দশবছরে বেঙ্গালুরুতে থেকে আমার মধ্যে অনেক পরিবর্তন এসেছে। বেঙ্গালুরু সম্পর্কে আমাকে অনেক কিছু বলতে শোনা যায়। তবে আমি ভাগ্যবান যে দেশের বিভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে থেকে বড় হয়েছি।’
সুনীল ছেত্রীর বাবা কেবি ছেত্রী ভারতীয় সেনার ইঞ্জিনিয়র ছিলেন। মা সুশীলা ছেত্রী ছিলেন ফুটবলার। বাবার বদলির চাকরির জন্য তাঁকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরতে হয়েছে। সুনীলের জন্ম তেলেঙ্গানার (তৎকালীন অন্ধ্রপ্রদেশ)। এরপর ছেলেবেলার কিছুটা সময় কাটিয়েছেন সিকিমে। সুনীল যখন ক্লাস টু-য়ে পড়েন তখন তাঁর পরিবার চলে এসেছিল কলকাতায়। প্রায় ১২ বছর পর্যন্ত কলকাতাতেই থাকতেন তিনি। একানেই পড়াশোনা করেছিলেন। তবে স্কুল জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়টা দিল্লিতে কাটিয়েছেন সুনীল। ক্লাস ৬ থেকে ১২ পর্যন্ত দিল্লিতে পড়াশোনা ও ফুটবল দুটোই একসঙ্গে চালিয়ে গিয়েছেন সুনীল ছেত্রী।
শুধুমাত্র ফুটবল খেলবেন বলে বাবা-মার সঙ্গে লড়াই করেছিলেন, সেনা স্কুল থেকে ট্রান্সফার নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন সাধারণ স্কুলে। কলকাতা থেকেই ফুটবলের ভালোবাসা শুরু হয়েছিল সঙ্গে রক্তে তো ফুটবলটা ছিলই। সেভাবেই এগিয়ে চলা। পরে বিয়ে হয় সুব্রত ভট্টাচার্যের মেয়ের সঙ্গে। ফলে বাংলার জামাই হয়ে যান সুনীল ছেত্রী। এবার নিজের পছন্দের শহরের নাম জানালেন সুনীল ছেত্রী। ভারতীয় ক্যাপ্টেন বলেছেন তিনি ভাগ্যবান যে দেশের বিভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে থেকে বড় হয়েছেন। সত্যি বলতে সুনীল ছেত্রী কোনও একটি শহরের হতে পারেন না। সুনীল ছেত্রী হলেন গোটা দেশের। সুনীল যে ভারতের গর্ব।
For all the latest Sports News Click Here
