Sohini Sarkar Exclusive: রাহুলদার কলকাতা ৯৬ একটি ফিল গুড ছবি
পরিচালক হিসেবে এবার হাতেখড়ি হতে চলেছে অভিনেতা রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়-এর। রাহুলের পরিচালনায় এই ছবিতে মুখ্য চরিত্রে দেখা যাবে অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী ও সোহিনী সরকার-কে। ছবির নাম ‘কলকাতা ৯৬’। ছবির প্রযোজনা করছেন ‘জাতিস্মর’ খ্যাত প্রযোজক রানা সরকার। ‘বিবাহ ডায়েরিজ’ এর পর ফের পর্দায় জুটি বাঁধতে দেখা যাবে ঋত্বিক-সোহিনীকে। এই দু’জন ছাড়াও ‘কলকাতা ৯৬’-এ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যাবে কৌশিক সেন, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় এবং লামা হালদারকে। এবার এই ছবি নিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা-এর মুখোমুখি সোহিনী সরকার।
‘কলকাতা ৯৬’-তে দর্শক কীভাবে পাবে সোহিনীকে?
ছবির কেন্দ্রে রয়েছে একটি নিম্ন মধ্যবিত্ত পাড়া এবং সেখানকার একটি পরিবার। আমার চরিত্রটি সংসার চালানোর জন্য একধারে যেমন টিউশনি করে তেমন আবার অভিনয় ভালোবাসে বলে স্বামীর থিয়েটার গ্ৰুপে চুটিয়ে অভিনয়ও করে। আর নব্বইয়ের দশকে একটি ছাপোষা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার যে যে ছোট ছোট অসুবিধে- অভাবের মুখোমুখি হতেন, তাঁদের চারপাশে যেরকম পরিবেশ দেখা যেত ঠিক সেরকমটাই এই ছবিতে উঠে আসবে।
অভিনেতা হিসেবে পুরনো হলেও পরিচালক হিসেবে রাহুল নবাগত। কেন রাজি হলেন এই ছবির প্রস্তাবে?
প্রথমত,নতুন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করার ইচ্ছে সব শিল্পীর থাকে। আর এই ছবির চিত্রনাট্য প্রথমবার পড়েই দারুণ ভালো লেগেছিল। আমার যেহেতু নব্বইয়ের দশকে বেড়ে ওঠা, তাই চিত্রনাট্যের বহু ছোট ছোট ব্যাপারের সঙ্গে একাত্ম বোধ করেছি। তাছাড়া রাহুলদা তো দারুণ লেখেন। অভিনেতা হিসেবে তো বটেই, লেখক রাহুলকেও আমি খুবই পছন্দ করি। ওঁর সাহিত্যবোধ প্রবল। ‘কলোনী’ নিয়ে রাহুলদার একটি লেখা একসময়ে এক বাংলা দৈনিকে নিয়মিত প্রকাশিত হত। গোগ্রাসে গিলতাম। এছাড়াও ওঁর লেখা যখন যেখানে পেয়েছি, পড়েছি। এমনও হয়েছে মাঝেমধ্যে হয়ত কোনও অনামি পত্রিকায় রাহুলদা লিখেছে, সেটি আমাকে হোয়াটস অ্যাপ করে পাঠিয়ে দিয়েছে। কারণ জানে আমি ওঁর লেখা ভালোবেসে পড়ব। এবং সেসব পড়িও। আরও একটি কথা বলব?
নিশ্চয়ই!
দেখুন বহু নবাগত পরিচালকের প্রথম ছবিতেই আমি কাজ করেছি। ‘ফড়িং’, ‘ওপেন টি বায়োস্কোপ’…উমম এরকম আরও ছবি রয়েছে। সেখানে রাহুলদাকে এতদিন ধরে চিনি, ওঁর সিনেমার প্রতি ভালোবাসা, সিনেমার প্রতি কতটা জ্ঞান আছে তার ধারণা রয়েছে আমার। অনেক সময় আড্ডা মারার সময়ে দেখেছি সিনেমার বেশ কিছু জটিল ব্যাপার এত সহজভাবে বুঝিয়ে দিতে পারে রাহুলদা যে তাতে মুগ্ধ না হয়ে পারিনি। এক কথায়, রাহুলদার উপর আস্থা রয়েছে আমার।
আবার পর্দায় ঋত্বিকের সঙ্গে?
(হাসি) হ্যাঁ। আমার ভীষণ প্রিয় অভিনেতা ঋত্বিকদা। আমার প্রথম ছবি ‘ফড়িং’-এও তো ছিল। তার আগে ওঁর সঙ্গে টেলিফিল্মও করেছি। সেটাই ছিল ঋত্বিকদার সঙ্গে আমার প্রথম স্ক্রিন শেয়ারিং। একটি ত্রিকোণ প্রেমের গল্প নিয়ে ছিল টেলিফিল্মটা। সেখান থেকেই ঋত্বিকদার সঙ্গে আমার আলাপ। এরপর তো বহু ছবিতেই একসঙ্গে কাজ করেছি। ব্যোমকেশ, বিবাহ ডায়েরিজ, ভিঞ্চিদা ….এই তো কৌশিকদার ‘কাব্বাডি কাব্বাডি’ ছবিতেও ওঁর সঙ্গে কাজ করলাম। সেই ছবিতে ঋত্বিকদার বোনের চরিত্রে রয়েছি।
তবে বিবাহ ডায়েরিজ-এর পর তো ফের এই ‘কলকাতা ৯৬’-এ ওঁর সঙ্গে জুটি বাঁধছেন?
হ্যাঁ। এই ছবিতে আমি ওঁর স্ত্রী। তবে ‘বিবাহ ডায়েরিজ’ এ আমাদের সেই জুটির সঙ্গে কিন্তু ‘কলকাতা ৯৬’-র ঋত্বিক-সোহিনী জুটির কোনও মিল নেই। এই ছবির জঁর একেবারে আলাদা।
কতটা আলাদা ‘কলকাতা ৯৬’?
দেখুন, এই ছবি মোট তিন দিনের গল্প। দক্ষিণ কলকাতার এক কলোনী পাড়ার একটা পরিবারে ২০ জুন থেকে ২২ জুনের মধ্যে কী কী হয়, তা নিয়েই এই ছবি। তাঁদের দৈনন্দিন সমস্যার কথা থাকবে। এরপর ১৯৯৬-এর ২২ জুন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় লর্ডসের মাঠে সেঞ্চুরি করেন, যা ছবির অন্যতম বিষয়। সেই ঘটনার পর ওই পরিবারের উপর তার কী প্রভাব পড়েছিল, তা নিয়েই এগোবে এই ছবির গল্প। তাছাড়া, এই ছবিতে পরিচালকের নিজেরও শৈশবের ছায়া রয়েছে। রাহুলদাও যেহেতু ওরকম সময়ে ঠিক ওরকম একটি পাড়ায় বড় হয়েছে, তাই স্বভাবতই গল্প-চিত্রনাট্যে সেসব ঘুরেফিরে এসেছে।এককথায়, ‘কলকাতা ৯৬’ একটি ফিল গুড মুভি’।
For all the latest entertainment News Click Here