Santosh Trophy: নাটকীয় ফাইনালে পেনাল্টিতে বাংলাকে হারিয়ে ট্রফি ঘরে তুলল কেরল
সন্তোষ ট্রফি রেকর্ড চ্যাম্পিয়ন বাংলা, নিজেদের ৩৩তম সন্তোষ ট্রফি জয়ের উদ্দেশ্যে মাঠে নেমেছিল আরেক ভারতীয় ফুটবল পাওয়ার হাউস কেরলের বিরুদ্ধে। সেমিফাইনালে যেখানে কর্ণাটককে ৭-৩ মাত দিয়ে ফাইনালে পৌঁছেছিল কেরল, সেখানে বাংলা মণিপুরকে হারিয়েছিল ৩-০ গোলে। দাপটের সঙ্গেই দুই দলই সেমিতে জেতার পর, ফাইনালেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের অপেক্ষায় ছিলেন দর্শকরা।
২৫ হাজারের অধিক দর্শকের উপস্থিতিতে, ম্যাচের প্রথম মিনিটেই বাংলার হয়ে সেমিতে গোল করা ফার্দিন আলি মোল্লা বক্সের মধ্যে একটি ভাল ক্রস পেয়েছিলেন বটে, তবে তিনি তা দখলে আনতে পারেননি। গত ম্যাচে দুর্ধর্ষ খেলেছিলেন ফার্দিন, এই ম্যাচেও শুরু থেকেই তাঁকে ছন্দে দেখাচ্ছিল, ক্রসিং, পাস দেওয়া, সবই বেশ ভাল ছিল। বাংলাও ভাল খেলছিল। কিন্তু প্রথমার্ধে রঞ্জন ভট্টাচার্যের দল একাধিক ভাল সুযোগ নষ্ট করে।
কেরলও কিন্তু প্রতিআক্রমণে ভালই সুযোগ তৈরি করছিল। তবে গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে বাংলার ত্রাতা হয়ে ওঠা গোলরক্ষক প্রিয়ন্ত সিং, এই ম্যাচেও টপ ফর্মে ছিলেন। প্রথমার্ধে বেশ কয়েকটি দারুণ সেভ দেন তিনি। কেরলও সুযোগ বুঝে সেমিতে পাঁচ গোল করা জেসিনকে প্রথমার্ধেই সাবস্টিটিউট হিসাবে নামিয়ে দেয়। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে ফার্দিন আবারও নাবি হুসেনের একটি ক্রস থেকে গোল করতে ব্যর্থ হওয়ার পর গোলশূন্য শেষ হয় অর্ধ।
দ্বিতীয়ার্ধে একেবারে ম্যাচের এক ঘণ্টার মাথায় বাংলা রক্ষণের বোঝাপড়ায় বড় ভুলের সুবাদে, কেরলের হয়ে গোল করার সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন জিও জোসেফ, তবে তাঁর শট গোলেই রাখতে পারেননি তিনি। প্রথমার্ধে বাংলা দাপট দেখালেও, দ্বিতীয়ার্ধে কিন্তু কেরলই বেশি ভাল খেলে এবং বল দখলের লড়াইয়েও তারা অনেকটাই এগিয়ে ছিল। তবে প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধেও কোনো গোল হয়নি। ফলে ম্যাচ গড়ায় এক্সট্রা টাইমে।
এক্সট্রা টাইমে গিয়ে অবশেষে ম্যাচের প্রথম গোলের দেখা মেলে। ম্যাচের ৯৭ মিনিটে, গত ম্যাচে বাংলার হয়ে গোল করা দিলীপ ওঁরাও, সূর্য পন্ডিতের ক্রস থেকে সুন্দর হেডারে দলকে এগিয়ে দেন। একস্ট্রা টাইমের দ্বিতীয়ার্ধে, ১১৭ মিনিটে নাটকীয়ভাবে এক দুর্ধর্ষ হেডারে কেরলের হয়ে সমতা ফেরান বিবিন অজয়ন। এক্সট্রা টাইমও শেষ হয় ১-১ সমতায়।
পেনাল্টিতেও চরম উত্তেজনার মাঝে বাংলার হয়ে দুর্ভাগ্যবশত সজল বাগ, দ্বিতীয় কিকে বল গোলের বেশ খানিকটা বাইরে মারেন। লম্বার ম্যাচের পর টান ধরায় দুই দলের গোলরক্ষককেই বদল করেন দলের কোচেরা। তবে কেউই কোনো পেনাল্টি বাঁচাতে পারেননি। শেষমেশ ৫-৪ ব্যবধানে পেনাল্টিতে জিতে খেতাব নিজেদের নামে করে কেরল।
For all the latest Sports News Click Here