Sa Re Ga Ma Pa: ধামাকা হিমেশ-শঙ্করের, জিতলেন নীলাঞ্জনা, আর কী কী হল ফাইনালে?
শুরুটা ঠিক যতটা ধামাকা দিয়ে হয়েছিল, শেষটাও হল একইভাবে। ৬ ফাইনালিস্টের সুরেলা পারফরমেন্স মন কেড়ে নিল দর্শকদের। এদিন সারেগামাপা-র জাতীয় মঞ্চে তিন বিচারক বিশাল দাদলানি, হিমেশ রেশামিয়া, শঙ্কর মহাদেবনের সাথে দেখা মিলল উদিত নারায়নের। হাজির ছিলেন প্রয়াত সুরকার-গায়ক বাপ্পি লাহিড়ির পরিবারের সদস্যরাও!
সারেগামাপা-র মঞ্চ থেকে এদিন শ্রদ্ধা জানানো হল দুই প্রয়াত শিল্পী বাপ্পি লাহিড়ি আর লতা মঙ্গেশকরকে। বাপ্পিদার গান গেয়ে মঞ্চ মাতালেন বাংলার ছেলে স্নিগ্ধজিৎ ভৌমিক। প্রসঙ্গত, একদম প্রথম দিকে বাপ্পিদা এসেছিলেন অতিথি বিচারক হয়ে। আর তখন স্নিগ্ধজিতের গানে মুগ্ধ হয়ে উপহার দিয়েছিলেন সোনা। বাপ্পিদার ‘ইয়াদ আ রাহা হে/তেরা প্যায়ার’, ‘ডিস্কো ডান্সার’, ‘চাহিয়ে থোরা প্যায়ার’ গাইতে শোনা গেল তাঁকে।
সারেগামাপা-র মঞ্চ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয় সুরের ‘সরস্বতী’ লতা মঙ্গেশকরকে। লতার গান মঞ্চে তুলে ধরেন রাজশ্রী বাগ। ‘মেরি আওয়াজ হি পহেচান হ্যায়’, ‘তেরে বিনা জিয়া জায়ে না’-র মতো গান গেয়ে তিনি ট্রিবিউট দেন সুর-সম্রাজ্ঞীকে।
অনন্যা পারফর্ম করেন ‘ঢোলি রা’, ‘মনটা রে’, ‘শামি শামি’ গানে। নীলাঞ্জনা গান ‘চাকা চাক’, ‘রোমিও রোমিও’ গান।
এদিন মঞ্চে পারফর্ম করেন শঙ্কর মহাদেবন। তাঁর গলায় ‘ব্রেথলেস’ শুনে উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি দেয় অডিটোরিয়ামে উপস্থিত সকলে। মঞ্চে উঠে সহ-বিচারককে বাহবা জানান হিমেশ আর বিশালও! আর হিমেশকে গাইতে শোনা যায় ‘ও পিয়া মে তেরা জিয়া’, ‘তেরে আঁখিয়ো কা ওয়ার’। শুধু গান গান না, এরিয়াল স্টান্ট করে মঞ্চে এন্ট্রিও ছিল মারকাটারি।
ট্রফি জিতলেন বাংলার মেয়ে নীলাঞ্জনা রায়। আলিপুরদুয়ারের এই মেয়েটি এবছর সারেগামাপা-র সবথেকে কনিষ্ঠ প্রতিযোগী ছিলেন। মাত্র ১৮ বছর বয়সেই এত বড় সম্মান পুড়লেন ঝুলিতে। সঙ্গে একটি মারুতি সুজুকি সেলেরিও। দ্বিতীয় স্থানে বাংলার আরেক মেয়ে সঞ্জনা বাগ। তৃতীয় হয়েছেন মধ্যপ্রদেশের ছেলে শরৎ শর্মা। স্নিগ্ধজিৎ ভৌমিক, অনন্যা চক্রবর্তীরা প্রথম তিনে না থাকায় মন খারাপ অনেকেরই!
বাংলার চার ছেলে-মেয়ে এই প্রথম কোনও জাতীয় মঞ্চের ফাইনালে একসাথে। নীলাঞ্জনা, সঞ্জনা, অনন্যা আর স্নিগ্ধজিতের জন্য তাই প্রার্থনা হয়েছিল ঘরে ঘরে।
For all the latest entertainment News Click Here