RCB vs LSG: ব্যাটে ফ্যাফ, বলে হ্যাজেলউড, কপাল পুড়ল লখনউয়ের, ১৮ রানে জয় কোহলিদের
প্রথমে ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন ফ্যাফ ডু’প্লেসি। পরে বল হাতে আগুনে পারফরম্যান্স জস হ্যাজেলউডের। আর তাতেই শেষ লখনউ সুপার জায়ান্টসের সব জারিজুরি। মঙ্গলবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে রানে হারতে হল কেএল রাহুলের লখনউকে।
ব্যাট হাতে লড়াই করে প্রথমে ব্যাঙ্গালোরকে ১৮১ রানে পৌঁছে দিয়েছিলেন আরসিবি অধিনায়ক। পরে বল হাতে জোস হ্যাজেলউড কুইন্টন ডি’কক, মণিশ পাণ্ডে, আয়ুশ বাদোনি এবং মার্কাস স্টোইনিসের মতো গুরুত্বপূর্ণ ৪ উইকেট তুলে নিয়ে লখনউয়ের ব্যাটিং লাইন আপের কোমর ভেঙে দিয়েছিলেন। মজার বিষয় হল, হ্যাজেলউড তাঁর ৪ ওভারে ৪ উইকেট নেন।
এ দিন লখনউ সুপার জায়ান্টস অধিনায়ক কেএল রাহুল টসে জিতে আরসিবি-কে ব্যাট করতে পাঠায়। প্রথমে ব্যাট করতে নেমেই পরপর দু’টো বড় ধাক্কা খায় ব্যাঙ্গালোর। দলের ৭ রানের মাথায় অনুজ রাওয়াতের উইকেট হারায় তারা। প্রথম ওভারের পঞ্চম বলেই ৪ করে (৫ বল) দুষমন্ত চামেরার বলে রাহুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন অনুজ। এর পর তিনে ব্যাট করতে আসলে প্রথম বলেই আউট হন কোহলি। দুষমন্তের ওভারের শেষ বলে দীপক হুডার হাতে ক্যাচ দেন কোহলি। লজ্জার গোল্ডেন ডাক করে তাঁকে সাজঘরে ফিরতে হয়।
আরও পড়ুন: ফের গোল্ডেন ডাক, এই নিয়ে কতবার এমন লজ্জার নজির হল কোহলির?
আরও পড়ুন: দিন তিনেক আগে ফ্যাফের রেকর্ড ভেঙেছিলেন রাহুল, মঙ্গলে হল শোধবোধ
প্রথম ওভারেই ২ উইকেট হারিয়ে যখন মারাত্মক চাপে আরসিবি, তখন ঠাণ্ডা মাথায় দলের হাল ধরেন ফ্যাফ ডু’প্লেসি। একদিকে উইকেট পড়তে থাকলেও, ফ্যাফ কিন্তু দাঁতে দাঁত চেপে ক্রিজ আঁকড়ে লড়াই করতে থাকেন। কোহলি আউট হলে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল নামেন। শুরুটা খারাপ করেননি ম্যাক্সি। কিন্তু ১১ বলে ২৩ করেই সাজঘরে ফিরতে হয় তাঁকে। এর পর ৯ বলে ১০ রান করে সুয়াশ প্রভুদেশাইও আউট হন। শাহবাজ আহমেদ অবশ্য ২২ বলে ২৬ করে কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করেছিলেন। তবে তিনিও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ফ্যাফ যদি ৬৪ বলে ৯৬ রান না করতেন, তবে আরসিবি লড়াই করার মতো পুঁজিই সংগ্রহ করতে পারত না।
খেলার আরও বিস্তারিত ফল দেখতে ক্লিক করুন এখানে:
এ দিকে মাত্র ৪ রানের জন্য এ দিন সেঞ্চুরি মিস করেন ফ্যাফ। ইনিংসের একেবারে শেষে ১৯.৫ ওভারে জেসন হোল্ডারের বলে মার্কাস স্টোইনিসের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। সেঞ্চুরি না হওয়ার আফসোসটা নিঃসন্দেহে থাকবে ফ্যাফের। এ দিকে একেবারে শেষের দিকে দীনেশ কার্তিক ৮ বলে অপরাজিত ১৩ রান করে কিছুটা সঙ্গত করার চেষ্টা করেছিলেন আরসিবি অধিনায়ককে। লখনউয়ের দুষমন্ত চামেরা এবং জেসন হোল্ডার ২টি করে উইকেট নিয়েছেন। ১ উইকেট নিয়েছেন ক্রুনাল পাণ্ডিয়া।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দলের ৩৩ রানের মাথায় ২ উইকেট হারিয়ে বসে লখনউ। কুইন্টন ডি’কক ৩ রান করে আউট হন। মণিশ পাণ্ডে আবার ৮ বলে মাত্র ৬ করে সাজঘরে ফেরেন। তবে প্রথমে কেএল রাহুল কিছুটা হাল ধরার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি ২৪ বলে ৩০ করে সাজঘরে ফিরলে ম্যাচ বাঁচানোর লড়াই শুরু করেন ক্রুনাল পাণ্ডিয়া। তবে ২৮ বলে ৪২ রান করে আউট হয়ে যান ক্রুনালও। ১৪ বলে ১৩ করে সাজঘরে ফেরেন দীপক হুডা। মার্কাস স্টোইনিস কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ১৫ বলে ২৪ করে হ্যাজেলউডের বলে বোল্ড হন তিনি। এর পর জেসন হোল্ডারও ৯ বলে ১৬ করে আউট হন। মূলত স্টোইনিস আউট হওয়ার পরেই জয়ের ক্ষীণ আশাটুকুও লখনউয়ের শেষ হয়ে যায়। নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৬৩ রান করে লখনউ। ১৮ রানে ম্যাচ হারে কেএল রাহুলের টিম।
আরসিবি-র হ্যাজেলউডের ৪ উইকেট ছাড়াও হার্ষাল প্যাটেল নিয়েছেন ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এবং মহম্মদ সিরাজ।
For all the latest Sports News Click Here