Ranji Final: বাংলার ব্যাটারদের ভুলটা করেননি সরফরাজ, তাঁর শতরানে স্বস্তিতে মুম্বই
যশস্বী জয়সওয়াল যে কাজটা অসামপ্ত রেখে ড্রেসিংরুমে ফিরে গিয়েছিল, বৃহস্পতিবার লাঞ্চের আগেই সে কাজটি পূরণ করে ফেলেন সরফরাজ খান। একেবারে ঠাণ্ডা মাথায় টুকটুক করে মুম্বই স্কোরবোর্ডে রান তোলার সঙ্গে সঙ্গে, সরফরাজ নিজের শতরানও পূরণ করেন।
মধ্যপ্রদেশের বোলারদের ট্যাকটিস ধরে নিয়ে মাথা ঠাণ্ডা রেখে স্কোর যোগ করার আসল কাজটি করেছেন সরফরাজ। বাংলার ব্যাটাররা মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে যে বড় ভুলটি করেছিলেন, সেটা কিন্তু করেননি সরফরাজ। মধ্যপ্রদেশের আঁটোসাঁটো বোলিং-ই সবচেয়ে বড় অস্ত্র তাদের। গুরু চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের স্ট্র্যাটেজি, সঠিক লাইন লেন্থে বল করে বিপক্ষের রানের গতি স্লো করে দেওয়া। যাতে বিরক্ত হয়ে ভুল শট খেলে ব্যাটাররা আউট হয়ে যান।
এস স্ট্র্যাটেজির ফাঁদে পা-ও দিয়েছিল মুম্বই। যে কারণে সরফরাজের শতরান ছাড়া যশস্বীক ৭৮ এবং পৃথ্বী শ’-র বাদ দিলে মুম্বইয়ের বাকি ব্যাটারদের দশা কিন্তু তথৈবচ। যাইহোক সরফরাজ কিন্তু একেবারেই চার-ছয় হাঁকানোর স্ট্র্যাটেজি নেয়নি। এমনিতে তিনি চার-ছয় হামেশাই হাঁকাতে থাকেন। কিন্তু এ দিন তিনি টানা ১১২ বল খেলে ফেললেও কোন চার ছয় মারেননি। বরং খুচরো রান নিয়ে স্কোরবোর্ড সচল রেখেছিলেন। ১১৩তম বলে গিয়ে তিনি একটি ছক্কা হাঁকান। তাও একটি লুস বল পেয়ে।
বাংলার ব্যাটাররা কিন্তু ধৈর্য্য ধরে ক্রিজে টিকে থাকার চেষ্টা করেননি। বরং চার-ছয় মারত গিয়ে উইকেট হারিয়েছেন। কিন্তু সেই ভুল না করে সংযত থেকে একদিকে যেমন নিজে সেঞ্চুরি করেছেন সরফরাজ, অন্যদিকে লাঞ্চের আগে মুম্বইকে সাড়ে তিনশোর গণ্ডি টপকে দিয়েছেন। যা নিঃসন্দেহে স্বস্তি দিয়েছে মুম্বইকে।
লাঞ্চের আগে মুম্বইয়ের স্কোর: ৩৫১ /৮ (সরফরাজ অপরাজিত ১১৯ এবং তুষাড় দেশপাণ্ডে অপরাজিত ৬)
For all the latest Sports News Click Here