Ranji-তে মধ্যপ্রদেশ গাঁট পার করতে উজ্জয়িনীর মহাকাল মন্দিরে পুজো দিলেন মনোজরা
এ বার রঞ্জিতে বেশ দাপট দেখিয়েই সেমিফাইনালে পৌঁছেছে বাংলা। সেমিতে অবশ্য বাংলার সামনে তাদের বড় গাঁট। গত বছর যে দলের বিরুদ্ধে শেষ চারের ম্যাচে হেরে রঞ্জি থেকে ছিটকে গিয়েছিল বাংলা, সেই দলের বিরুদ্ধে আরও একবার সেমিফাইনাল খেলতে নামবে বাংলা। তার আগে উজ্জয়িনীর মহাকাল মন্দিরে গিয়ে পুজো দিলেন কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা, অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি, বোলিং কোচ শিবশঙ্কর পালরা। হয়তো মধ্যপ্রদেশ গাঁট কাটাতেই পুজো দিতে গিয়েছিলেন লক্ষ্মীরা।
আগামী বুধবার থেকে রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনাল ম্যাচে খেলতে নামবে বাংলা। রবিবারই ইন্দোরে পৌঁছে গিয়েছে বাংলা। আর সোমবার দলের কয়েকজন সদস্য মহাকাল মন্দিরে গিয়ে পুজো দিয়ে আসেন।
আরও পড়ুন: কিছু বছরে বন্ধ হতে পারে অনেক T20 লিগ, সতর্কবার্তা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের
বাংলা দলের বড় ভরসা অভিমন্যু ঈশ্বরণ। তিনি এ বারের রঞ্জিতে ৬ ম্যাচে ৭৩৮ রান করে ফেলেছেন। রয়েছে তিনটি শতরান। গড় ৯২.২৫। এ বারের রঞ্জিতে বোলাররা ভালো খেলছেন। বাংলার পেস আক্রমণ সামলাতে রয়েছেন মুকেশ কুমার, ইশান পোড়েলরা। রয়েছেন অলরাউন্ডার শাহবাজ আহমেদ। এ ছাড়া মনোজ তিওয়ারি, অনুষ্টুপ মজুমদারদের অভিজ্ঞতা তো রয়েছেই। সৌরাশিস আনন্দবাজারকে বলেছেন, ‘আমাদের দলের প্রতিটি বিভাগের ক্রিকেটাররা ছন্দে রয়েছে। অভিমন্যু, সুদীপ, অনুষ্টুপরা রান পাচ্ছে। দুই আকাশ, মুকেশ, ইশানরা উইকেট নিচ্ছে। সঙ্গে শাহবাজ রয়েছে। ব্যাটে, বলে ও ধারাবাহিক ভাবে সফল।’
আরও পড়ুন: টেস্টে দ্বিশতরান করতে চন্দ্রপলের লেগেছিল ১৩৬ ইনিংস, ছেলে ৫ ইনিংসেই বাজিমাত করলেন
এই নিয়ে পর পর তিনটি রঞ্জির সেমিফাইনালে উঠল বাংলা। ২০১৯-২০ সালে ফাইনালে হারতে হয়েছিল সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে। ২০২০-২১ সালে করোনার জন্য রঞ্জি হয়নি। গত বারে মধ্য প্রদেশের কাছে সেমিতে হেরেছে। এ বার আবার সেমিফাইনালে বাংলা। আর এই বছর বাংলার বদলা নেওয়ার পালা। সৌরাশিস অবশ্য বলেছেন, ‘লাল বলের ক্রিকেটে দেশের সব থেকে ধারাবাহিক দল বাংলা। আমরা সেমিফাইনাল, ফাইনাল খেলেছি। ট্রফি আসেনি। কিন্তু আমরা ধারাবাহিক ভাবে ভাল খেলেছি। গত বার সেমিফাইনালে মধ্যপ্রদেশ আমাদের কিছু চমক দিয়েছিল। কিন্তু এ বার আমরা জানি ওদের দলে কী কী শক্তি আছে। আমাদের দলেও পাল্টা উত্তর দেওয়ার মতো ক্ষমতা রয়েছে।’
যদিও বাংলা ওপেনিং জুটি নিয়ে কিছুটা চিন্তায়। কিছুতেই এই জুটি তৈরি করতে পারছে না বাংলা। একাধিক ক্রিকেটারকে খেলানো হলেও কেউ রান পাননি। সেমিফাইনালে তাই দলের আবার জুড়ে দেওয়া হল করণ লালকে। যিনি গ্রুপ পর্বে ওপেন করেছিলেন বাংলার হয়ে। এ দিকে মধ্যপ্রদেশে রয়েছেন রজত পতিদার, আবেশ খান, আদিত্য শ্রীবাস্তবের মতো ক্রিকেটাররা। সৌরাশিসের দাবি অবশ্য, ‘আমরা নিজেদের দল নিয়ে ভাবছি। মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে আমরা গত বার খেলেছি। জানি ওরা কেমন খেলে। চেনা দল। আমরা নিজেদের দল নিয়েই ভাবছি। মধ্যপ্রদেশকে নিয়ে নয়।’
For all the latest Sports News Click Here