ODI-এ বাংলাদেশের মহিলা ক্রিকেটারের প্রথম সেঞ্চুরি!
Farzana Haque’s historic century: বাইশ গজে ইতিহাস গড়লেন বাংলাদেশের মহিলা ক্রিকেটার ফারজানা হক পিঙ্কি। ভারত বনাম বাংলাদেশের ODI সিরিজের শেষ ম্যাচে নজির গড়লেন ফারজানা হক। ৫০ ওভারের ম্যাচে ওপেন করতে নেমে পুরো ইনিংসে একাই ব্যাট হাতে গোটা দলকে টেনে নিয়ে গেলেন ফারজানা। ম্যাচের একেবারে শেষ বলে রান আউট হয়ে তিনি সাজঘরে ফিরেছিলেন। তবে ততক্ষণে গড়ে ফেলেছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম বড় রেকর্ড। ওয়ানডেতে নিজের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান করার পাশাপাশি দেশের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডও গড়ে ফেললেন তিনি। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের মহিলা দল পেল প্রথম সেঞ্চুরিয়ান। তাঁর রেকর্ডময় সেঞ্চুরিতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে ভার। সিরিজ নির্ধারনী ম্যাচে ভারতের সামনে চ্যালেঞ্জিং রান ছুঁড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ।
আসলে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে জিতে ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশের মহিলা দল। ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম কোনও ওয়ানডে জেতার নজির গড়ে ছিল এই দল। দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজে ফিরে এসেছিল ভারত। তবে এই ভারতের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে আরেকটি কঠিন ম্যাচ খেলল বাংলাদেশের মহিলা দল। এই ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে মেয়েদের ক্রিকেটের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি করেছেন ফারজানা হক। ছেলেদের ক্রিকেটে যেমন মেহরাব হোসেন অপি ওয়ানডের প্রথম সেঞ্চুরিতে ইতিহাস গড়েছেন। ঠিক তেমনি ইতিহাসে নাম লেখালেন ফারজানা হক।
বাংলাদেশ বনাম ভারতের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচটি বাংলাদেশ জিতলেও দ্বিতীয় ওয়ানডে জিতে সিরিজে সমতায় ফিরিয়েছে ভারতীয় দল। ফলে এই ম্যাচটি হয়ে দাঁড়িয়েছে সিরিজ নির্ধারণকারী ম্যাচ। তবে দুই দলই মনে করছে, এই ম্য়াচ ও সিরিজের ভাগ্য নির্ধারণ করবে ব্যাটিং। সেই কারণেই মিরপুরে এদিন টস জিতে ব্যাট করতে নেমেছিল বাংলাদেশ। এরপরে দেখা যায় ফারজানার ঐতিহাসিক ইনিংস। ১৫৬ বলে নিজের সেঞ্চুরি সম্পূর্ণ করেন তিনি। তাঁর ব্যাটে ভর করেই স্কোর বোর্ডে ৪ উইকেটে ২২৫ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ দল।
আগের দুই ওয়ানডের ব্যাটিং ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এদিন শুরুটা দারুণ করেছিল বাংলাদেশ। ওপেনিং জুটিতে ফারজানা-শামিমা মিলে ৯৩ রান তোলেন। শামিমা হাফসেঞ্চুরির পর ৫২ রান করে আউট হয়ে যান। তাঁর ৭৮ বলের ইনিংসে ছিল ৫টি চার। তার পর ফারজানা ছিলেন ইনিংসের মূল চালিকা শক্তি। নিগারকে নিয়ে যোগ করেন ৭১ রান। অধিনায়ক নিগার ২৪ রানে ফিরলে রিতু মনি বিদায় নেন মাত্র ২ রানে। তার পর সোবহানা মোস্তারিকে নিয়ে ৫৬ রানের ইনিংসে ২০০ টপকে যায় বাংলাদেশ। ইনিংসের শেষ বলে ফারজানা আউট হলে ২২৫ রানে থেমে যায় বাংলাদেশ। এদিন ১৬০ বলে ৭টি চার মেরে ৬৬.৮৮ স্ট্রাইক রেটে ১০৭ রান করেন ফারজানা। ভারতের হয়ে স্নেহ রানা ২টি ও দেবিকা বৈদ্য ১টি উইকেট পান। ভারতকে ম্যাচ ও সিরিজ জিততে হলে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২২৬ রান তুলতে হবে।
For all the latest Sports News Click Here