NCA-তে নিয়মিত ১০-১২ ঘণ্টা বল করেছি- প্রত্যাবর্তনেই ৫ উইকেট, রহস্য ফাঁস জাড্ডুর
চোট সারিয়ে প্রত্যাবর্তনেই চমক। জাড্ডু তেজে ক্যাঙ্গারুরা ল্যাজেগোবরে। নাগপুর টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৭৭ রানেই গুটিয়ে যায় ভারতের ইনিংস। আর বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির প্রথম দিনে ভারতের পাল্লা ভারি হয় জাদেজার কারণেই।
বৃহস্পতিবার থেকে নাগপুরের বিদর্ভ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির প্রথম টেস্ট। এ দিন টস জিতে প্যাট কামিন্স প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। শুরুতে মহম্মদ সিরাজ এবং মহম্মদ শামির ধামাকা। দুই পেসার ৩ ওভারের মধ্যে দুই ওপেনারকে সাজঘরে ফেরান। বাকি কাজটা করেন রবীন্দ্র জাদেজা এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ২ জনে মিলে নেন মোট ৮ উইকেট।
আরও পড়ুন: ৩০ পেরিয়ে সূর্যোদয়, নজির স্কাইয়ের, টেস্টে অভিষেকে অবশ্য বিতর্ক থেকেই গেল
পাঁচ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন করেছেন রবীন্দ্র জাদেজা। আর ২২ গজে ফিরেই তিনি আগুনে মেজাজে। একাই তুলে নিলেন পাঁচ উইকেট। তাঁর স্পিনের ঘূর্ণিতেই আটকে যায় অজিরা।
শেষ বার অস্ট্রেলিয়া যখন ভারতে টেস্ট সিরিজ খেলেছিল, সেই সময়ে সর্বোচ্চ উইকেট নিয়েছিলেন ৩৪ বছরের এই অলরাউন্ডারই। এ বারও জাদেজা শুরুটা করলেন দুরন্ত ছন্দে। প্রথম দিনের খেলা শেষ হওয়ার পর জাড্ডু বলেছিলেন, ‘৫ মাস পর খেলছি, তাও টেস্ট ক্রিকেট। এটা খুবই কঠিন। তবে আমি এর জন্য প্রস্তুত ছিলাম এবং আমি আমার ফিটনেসের পাশাপাশি এনসিএ-তে আমার দক্ষতা বাড়ানোর জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছি। আমি অনেকদিন পর প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকটও (রঞ্জি) খেলেছি এবং সেখানে প্রায় ৪২ ওভার বল করেছি। টেস্ট ম্যাচ খেলতে নামার আগে যা আমাকে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে।’
আরও পড়ুন: খোয়াজা আউট হতে চেয়ার থেকে লাফিয়ে উঠে উল্লাস দ্রাবিড়ের,কোহলির ছোঁয়া লাগল!
তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘আমি যখন বেঙ্গালুরুর এনসিএ-তে ছিলাম, তখন আমি বোলিংয়ের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছিলাম। আমি প্রতিদিন ১০-১২ ঘণ্টা বোলিং করতাম এবং এটি আমাকে অনেক বেশি সাহায্য করেছে। আমি আমার ছন্দ ফিরে পাওয়ার জন্য খেটেছি। কারণ আমি জানতাম যে, আমাকে টেস্ট ম্যাচ খেলতে হবে এবং আমাকে লম্বা স্পেলে বল করতে হবে।’
নাগপুরের যে উইকেট নিয়ে টেস্ট শুরুর আগে থেকেই চলছিল বিতর্ক, সেই পিচ সম্পর্কে জাড্ডু বলেছেন, ‘উইকেটে কোনও বাউন্স ছিল না, আমি স্টাম্প-টু-স্টাম্প লাইন লক্ষ্য করে বল করেছি। কিছু বল ঘুরছিল আর কিছু বল সোজা যাচ্ছিল। একজন বাঁ-হাতি স্পিনার হওয়ায়, আপনি যদি ব্যাটসম্যানকে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন বা স্টাম্প আউট করেন, তখন বলকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। টেস্ট ক্রিকেটে আপনি যে উইকেটই পান না কেন, তাতেই খুশি হওয়া উচিত।’
For all the latest Sports News Click Here