NCA-এর নেটে দিনে ৭ ওভার বল করেছেন বুমরাহ, তবে জাতীয় দলে ফেরাটা এখনও অন্ধকারেই
চকবে ভারতীয় দলে ফিরছেন জসপ্রীত বুমরাহ? আহত পেসার বা যাঁদের কাঁধে বুমরাহকে ফিট করে তোলার দায়িত্ব রয়েছে, তাঁদের কাছেও এর কোনও সুনির্দিষ্ট উত্তর নেই।
তবে ভালো খবর হল যে, বুমরাহ জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির (এনসিএ) নেটে দিনে সাত ওভার করে বল করেছেন। এটি নিঃসন্দেহে এক চিলতে আলোর সন্ধান। ২০২৩ বিশ্বকাপের জন্য উন্মুখ ভারতীয় ভক্তদের মুখে এই খবর হাসি এনে দেবে। প্রসঙ্গত মঙ্গলবার মুম্বইয়ে বিশ্বকাপের সূচি প্রকাশ করা হয়।
মার্চ মাসে নিউজিল্যান্ডে গিয়ে পিঠের চোটের জন্য অস্ত্রোপচার করতে হয় বুমরাহকে। এবং তার পর থেকে তিনি রিহ্যাবের পথে রয়েছেন। বুমরাহ ভারতের হয়ে শেষ বার খেলেছিলেন ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হোম টি-টোয়েন্টিতে।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা হয়ে গেল, কিন্তু এখনও পাক সরকারের তরফে ভারতে আসার সবুজ সঙ্কেত অধরা PCB-র
এখন প্রশ্ন উঠেছে, বুমরাহ কি আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বা এশিয়া কাপে ফিরতে পারবেন? একটি সূত্র পিটিআই-এর কাছে দাবি করেছেন, ‘এই ধরনের চোটের জন্য কোনও টাইমলাইন সেট করা একেবারেই বুদ্ধিমানের কাজ নয়। কারণ ক্রমাগত পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে। তবে এটা বলা যেতে পারে যে, বুমরাহ দ্রুত সেরে উঠছেন এবং এনসিএ-র নেটে তিনি দিনে সাত ওভার বল করছেন।’
সঙ্গে সেই সূত্র যোগ করেছেন, ‘তিনি পরের মাসে কয়েকটি অনুশীলন ম্যাচ (এনসিএ-তে) খেলবেন, এবং তার পরে তাঁর ফিটনেসের একটি নিবিড় মূল্যায়ন করা হবে।’ টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন স্ট্রেন্থ এবং কন্ডিশনিং কোচ রামজি শ্রীনিবাসন বলেছেন, বুমরাহকে মাঠে ফেরাতে হলে, সেটা যত্ন সহকারে করতে হবে। তাড়াহুড়ো করে নয়।
আরও পড়ুন: দুধের স্বাদ ঘোলে,বিশ্বকাপে ভারতের ম্যাচ না পেলেও গা-ঘামানোর লড়াই হবে এই দুই স্টেডিয়ামে
রামজি পিটিআইকে বলেছেন, ‘ওর ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো করা উচিত নয়। এনসিএ-তে অনুশীলন ম্যাচ খেলা একটি ভালো পদক্ষেপ। কারণ এটি একটি ম্যাচের চাহিদার সঙ্গে ওর শরীরের বোঝাপড়াটাও ভালো ভাবে তৈরি হবে। তবে ওকে দলে আনার আগে কিছু ঘরোয়া ম্যাচে খেলার জন্য তৈরি করা উচিত। ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে এসে তার পরে শীর্ষ স্তরের ক্রিকেট খেলা উচিত ওর।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চাহিদা আলাদা। এবং সেই পরিমাণ কাজের চাপ নেওয়ার জন্য শরীরকে পুরোপুরি প্রস্তুত রাখা উচিত। স্ট্রেস ফ্র্যাকচার থেকে পুনরুদ্ধার করা বড় বিষয় এবং বুমরাহের পুনরুদ্ধারের জন্য যতটা সময় লাগুক না কেন, দেওয়া উচিত।’
কেএল রাহুল এবং শ্রেয়স আইয়ার, যাঁরা এনসিএ-তে সুস্থ হয়ে উঠেছেন, তাঁদেরও প্রত্যাশিত ভাবে অগ্রসর হচ্ছে। যদিও তাঁদের প্রত্যাবর্তনের জন্য কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি। উরুর অস্ত্রোপচারের জন্য রাহুল লন্ডনে গিয়েছিল। শ্রেয়সও লন্ডনে পিঠের চোটের অস্ত্রোপচার করান।
For all the latest Sports News Click Here