Mithai: ধারার গলায় মালা দিচ্ছে রুদ্র! ভেবেই হাউ হাউ করে কাঁদছে নিপা
গোপাল হেলেপ! এই পরিস্থিতি থেকে নিপাকে গোপাল ছাড়া আর কেউই উদ্ধার করতে পারবে না। রুদ্রদার প্রেমে পাগলপাড়া অবস্থা মোদক পরিবারের ছোট মেয়ের। এতদিনে নিজের স্বপ্নে শুধু রুদ্রদাকে দেখতে সে, কিন্তু এখন সেই স্বপ্ন, দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। বসুন্ধরার আগমনে নিপার সাজানো সংসার (মনে মনে) ভাঙার উপক্রম। মন না মানতে চাইলেও ধারার প্রতি রুদ্রদার টান চোখ এড়ায় না নিপার, এবার তো স্বপ্নে রুদ্র-ধারার বিয়েটাও দেখে ফেলল সে।
স্বপ্নে দেখা এই বিয়েই নিপার স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে দিচ্ছে। তাই চোখের জল বাধ মানছে না তাঁর। দিন কয়েক আগেই মিঠাই-এর সেট থেকে ভাইরাল হয়েছিল একটি ছবি, সেখানে বরবেশে দেখা মিলেছিল রুদ্রের। তখনই আমরা জানিয়েছিলাম, গল্পের নতুন এই টুইস্ট আদতে নিপার স্বপ্ন। এখনই সাত পাক ঘুরছেন না রুদ্র-ধারা। কিন্তু অদূর ভবিষ্যতে এই স্বপ্ন সত্যি হবে না, তেমন কোনও গ্যারেন্টি নেই।
রুদ্র-ধারার মিথ্যে বিয়ে দেখেই করুণ অবস্থা নিপা ওরফে ঐন্দ্রিলা সাহা। এসিপি রুদ্র ওরফে ফাহিমকে তো মনে মনে নিজের বর ভেবেই বসে আছে নিপা। কিন্তু বন্ধুর ছোট বোনকে দেখলে দশ হাত পিছিয়ে যায় রুদ্র। কিন্তু নিপার মন ভেঙে দিতেও পারে না, কারণ সিদ্ধার্থর ছোট বোন সে। কিন্তু মোদক বাড়িতে ধারা এন্ট্রি নেওয়ার পর থেকেই প্রতি মুহূর্তে রুদ্রকে হারিয়ে ফেলবার ভয় ঘিরে ধরেছে নিপাকে। ক্রিমিন্যালকে ধরতে স্বামী-স্ত্রীর অভিনয় করছে এসিপি রুদ্র আর ইন্সপেক্টর বসুন্ধরা। কিন্তু এই ভাবনা কবে যে বাস্তবে পরিণত হবে, তা ভেবেই নিজেকে সামলাতে পারছে না সে। মনটা এক্কেবারে ভেঙে গিয়েছে ওর। নিপার এই আচরণে খুব বিরক্ত স্যান্ডি।
নিপাকে বোঝানোর চেষ্টা করে সিদ্ধার্থ-মিঠাইরা। ধারাকে টেক্কা দিতে আইপিএস অফিসার হওয়ার পরিকল্পনাও কষে ফেলেছে নিপা। সিদ্ধার্থর নিপাকে বোঝানোর চেষ্টা করে, ‘তুই আমার স্ট্রং লিটল সিস্টার, তোকে বাউন্স ব্যাক করতে হবে। এভাবে কাঁদলে চলে’। মিঠাইও বলে, ‘প্লিজ নিপা দিদি তুমি কান্নাকাটি করো না’। নিপার এই একতরফা প্রেমের পরিণতি কি হবে? রুদ্র কি সত্যি কোনওদিন নিপার এই ভালোবাসা গ্রহণ করবে, নাকি নিপার দুঃস্বপ্ন একদিন সত্যি হবে? সবটাই গোপাল জানেন!
For all the latest entertainment News Click Here