MI vs PBKS: শেষ ওভারে বাজিমাত পঞ্জাবের, টানা ৫ম্যাচে হেরে লজ্জার নজির রোহিতদের
শেষ ওভারের টানটান উত্তেজনা। প্রতিটা বল ঘিরে ছিল উৎকন্ঠার চোরাস্ত্রোত। ৬ বলে দরকার ছিল ২২ রান। পঞ্জাবের অধিনায়ক মায়াঙ্ক আগরওয়াল বল তুলে দিয়েছিলেন ওডিয়ান স্মিথের হাতে। আর শেষ ওভারে ৩ উইকেট নিয়ে পঞ্জাবকে ম্যাচ জেতালেন স্মিথ।
গুজরাট টাইটানসের বিরুদ্ধে শেষ ওভারে স্মিথ ১৯ রান দেওয়ায় ম্যাচ হাতছাড়া হয়েছিল পঞ্জাবের। কিন্তু বুধবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে আর কোনও রকম ভুল করেননি স্মিথ। যদিও ওভারের প্রথম বলে তাঁকে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন জয়দেব উনাদকাট। কিন্তু তার পরই আগুন লাগিয়ে দেন স্মিথ। বাকি ৫ বলে ১টি ওয়াইড মিলিয়ে দেন আর মাত্র ৩ রান। সেই সঙ্গে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে ১২ রানে পঞ্জাবকে ম্যাচ জেতান স্মিথ।
টসে জিতে পঞ্জাব কিংসকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ইনিংসের শুরুটা দুরন্ত করেন পঞ্জাবের দুই ওপেনার মায়াঙ্ক আগরওয়াল এবং শিখর ধাওয়ান। প্রথম উইকেটে তাঁরা ৫৪ বলে ৯৭ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। তবে ৩২ বলে ৫২ করে আউট হন মায়াঙ্ক। পঞ্জাব অধিনায়ক আউট হওয়ার পরেই সাজঘরে ফেরেন পরিবর্তে নামা প্লেয়ার জনি বেয়ারস্টো। তিনি মাত্র ১৩ বলে ১২ করে জয়দেব উনাদকাটের বলে বোল্ড হন। এর পর একের পর এক উইকেট পড়তে থাকে। লিয়াম লিভিংস্টোন মাত্র ২ রান করে আউট হন। শিখর ধাওয়ান আবার ৫০ বলে ৭০ করে বাসিল থাম্পির বলে কায়রন পোলার্ডের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন।
শুরুটা যে ভাবে করেছিলেন শিখর এবং মায়াঙ্ক, তাতে মনে হয়েছিল ২০০-র গণ্ডি টপকে আরও অনেক বেশি রান করে ফেলবে পঞ্জাব। কিন্তু সে রকমটা হল না। নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৮ রানেই শেষ হয়ে যায় পঞ্জাবের ইনিংস। তাও পাঁচে নেমে জিতেশ শর্মার ১৫ বলে ৩০ এবং শাহরুখ খানের ৬ বলে ১৫ রানের সৌজন্যে ১৯৮ করে পঞ্জাব। মুম্বইয়ের বাসিল থাম্পি ২ উইকেট নিয়েছেন। জসপ্রীত বুমরাহ, উনাদকাট এবং মুরুগান অশ্বিন ১টি করে উইকেট নিয়েছেন। প্রসঙ্গত এ দিন ৫ বোলার খেলিয়েও কোনও লাভ হয়নি মুম্বইয়ের। পঞ্জাব কিন্তু বড় রানের ইনিংসই গড়েছে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক রোহিত শর্মা শুরুতে কিছুটা চালিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন। তবে তিনি ১৭ বলে ২৮ করে সাজঘরে ফেরেন। এ দিকে ফের ব্যর্থ হন ইশান কিষাণ। তিনি মাত্র ৬ বল খেলে করেন ৩ রান। ৪.১ ওভারে দলের ৩২ রানের মাথায় রোহিত এবং ইশানের মতো দুই স্তম্ভকে হারিয়ে চাপে পড়ে যায় মুম্বই। তবে মুম্বইয়ের সেই চাপ সাময়িক ভাবে কাটিয়ে দেন ডেওয়াল্ড ব্রেভিস। তিনি নবম ওভারে রাহুল চাহারকে পিটিয়ে ম্যাচের অঙ্কটা বদলে দিয়েছিলেন। সেই ওভারে চারটে ৬ এবং একটি ৪ মারেন ব্রেভিস। প্রথম বলে তিলক বর্মা ১ রান নিয়েছিলেন। সব মিলিয়ে এই ওভারে মোট ২৯ রান হয়।
আর মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ৮ ওভারে ২ উইকেটে ৬৩ থেকে করে ফেলে ৯ ওভারে ২ উইকেটে ৯২ রান। আর ব্রেভিস ১৬ বলে ১৬ থেকে পৌঁছে যান ২১ বলে ৪৪-এ। যে রকম আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করলেন ব্রেভিস, তাতেই বোঝা যায়, তাঁকে কেন বেবি এবি বলে ডাকা হয়। শেষ পর্যন্ত ব্রেভিস ২৫ বলে ৪৯ করে সাজঘরে ফেরেন। মাত্র ১ রানের জন্য অর্ধশতরান মিস করেন ব্রেভিস। ওডেন স্মিথের বলে বড় শট খেলতে গিয়ে আর্শদীপ সিং-এর হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
ব্রেভিসের সাজঘরে ফেরার পরেই ২০ বলে ৩৬ করে সাজঘরে ফেরেন তিলক বর্মা। এর পরেই ১১ বলে ১০ করে রানআউট হন পোলার্ড। কিন্তু পাঁচে নেমে ক্রিজে টিকে থেকে দলের হাল ধরেন সূর্যকুমার যাদব। চোট সারিয়ে দলে ফেরার পর থেকেই কিন্তু সূর্য ভালো পারফরম্যান্স করে চলেছেন। তবে এ দিন ৩০ বলে ৪৩ রান করে সূর্য আউট হলে চাপে পড়ে যায় মুম্বই। কারণ তাদের আর কোনও ব্যাটার ছিল না, যিনি এসে দলের হাল ধরবেন। শেষ ওভারে ২২ রান প্রয়োজন ছিল। সেখানে হল মাত্র ৯ রান। পড়ল ৩ উইকেট। নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৮৬ করে মুম্বই। এই নিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে লজ্জার নজির গড়ে ফেলল
For all the latest Sports News Click Here