MeeToo-র কি ভালো মন্দ দুটোই আছে? ‘নষ্টনীড়’ মুক্তির আগে সোজাসাপ্টা সন্দীপ্তা
কোনও কিছুর বিরুদ্ধে যদি কেউ রুখে দাঁড়াতে চান তার জন্য যে তাঁকে প্রচণ্ড ঠোঁটকাটা, স্পষ্টবাদী কিংবা প্রতিবাদী হতে হবে এমনটা জরুরি নয় কিন্তু। একজন সাধারণ, শান্ত মানুষ প্রয়োজনে তাঁর মতো করে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারেন। লড়াই করতে পারেন। সেটাই যেন নষ্টনীড়ে সন্দীপ্তা সেন বোঝাবেন। এই ওয়েব সিরিজ আগামীতে হইচইয়ে মুক্তি পেতে চলেছে। পরিচালনায় আছেন অদিতি রায়।
কথায় বলে সংসার সুখী হয় রমণীর গুণে। কেন সংসার তো পুরুষেরও। সেই দায় কি তাঁর উপরেও বর্তায় না? নাকি সংসারের জন্য রমণীর আসল যে গুণ ( নাচ, আঁকা, বা অন্য কিছু) সেটা পরিত্যাগ করতেই হয়। কেরিয়ার ছাড়তেই হয়? কেরিয়ার সামলে কি সংসার সুখের করে তোলা যায় না? এমন অনেক সহজ অথচ জরুরি প্রশ্নই যেন উঠে আসবে এই সিরিজে।
নষ্টনীড় সিরিজে মুখ্য ভূমিকায় থাকবেন অভিনেত্রী সন্দীপ্তা সেন। এখানে তাঁর চরিত্রের নাম অপর্ণা, ওরফে অপু। তাঁর স্বামী, সন্তান নিয়ে সুখের সংসার। সামলান নিজের বুটিক।
একসময় ছোট পর্দা থেকে উঠে এলেও এখন সন্দীপ্তাকে মূলত সিরিজ সিনেমায় দেখা যাচ্ছে। কিন্তু তিনি হঠাৎ প্রতিবাদী চরিত্র বা আজকাল সো কল্ড মডার্ন মেয়ের চরিত্র ছেড়ে দুম করে কেন একজন গৃহবধূর চরিত্র বেছে নিলেন? এই বিষয়ে সন্দীপ্তা জানিয়েছেন, ‘অদিতি দির সঙ্গে কাজ করার লোভ সামলাতে পারিনি। উনি খুব সুন্দর করে চিত্রায়ন করেন। তাছাড়া এই সিরিজে আমার চরিত্রটা খুব সুন্দর। আমায় অপর্ণা হওয়ার জন্য নিজেকে অনেক ভাঙতে হয়েছে। এই চরিত্রটা প্রতিবাদী কিন্তু, প্রতিবাদী বলতে আমরা যে ভাবমূর্তি বুঝি তেমন নয়। সে তার মতো প্রতিবাদ করে। সে যেমন একদিকে কেরিয়ার নিয়ে ভাবে তেমনই সংসার সামলায়। সে সংসারকে ভালো রাখতে প্রতিবাদ করে ঠিকই, কিন্তু তার প্রতিবাদী ভাবমূর্তি নেই। Me too -এর বিষয়ে আমরা সবাই জানি। কিন্তু এখানে এই বিষয়টাকে অন্য ভাবে তুলে ধরা হবে। আমাদের জন্য গল্পের মধ্যে দিয়ে একটা নতুন দায়িত্ববোধ শেখাবে। সেই জন্য এই চরিত্র বেছে নেওয়া।’
মেয়েদের সঙ্গে ঘটা কোনও অন্যায়, কোনও অত্যাচার প্রকাশ্যে আনার জন্য ইদানিংকালে অনেকেই Me too ফ্রেজ ব্যবহার করেন। আর একবার সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও পুরুষের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে সত্যি মিথ্যে যাচাই না করেই তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন সকলেই। কিন্তু বোঝেন না, ভাবেন না তাঁর বা তাঁর বাড়ির উপর দিয়ে কী যায়। এটাও ভেবে দেখেন না যে এই সব অভিযোগ সবসময় সত্যি হবে এমনটাও নয়।
Me too -এর বিষয়ে সন্দীপ্তা বলেন, ‘আমি নিজে ব্যক্তি হিসেবে এই ধারাকে সমর্থন করি। এই ধারা বহু মানুষকে সাহস জুগিয়েছে সত্য সামনে আনতে। কিন্তু অনেকে এটার অপব্যবহার করেন। ৪৯৮A ধারার অপব্যবহার করেন বহু মহিলা। তবে তাঁদের জন্য ৪৯৮A ধারাকে খারাপ বলা যায় না।’
বাস্তবে এক রকম, তারপর এক একটি গল্পের জন্য এক একরকমের চরিত্র এটা ব্যক্তি সন্দীপ্তাকে কতটা প্রভাবিত করে? এই বিষয়ে অভিনেত্রী বলেন ‘চরিত্রে সুইচ অন অফ করাটাই তো আমার কাজ। আর ভাগ্যিস সাইকোলজি নিয়ে পড়েছিলাম। মানুষের এই মনস্তত্ত্ব বুঝতে পাড়ি, তাঁদের নানা সমস্যার কথা শুনি। রোজ যা দেখি, মানুষের মধ্যে যা যা দেখি চরিত্রে যখন যা যেমন প্রয়োজন সেটাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করি।’
For all the latest entertainment News Click Here