Khorkuto: ‘লোকের কাছে আমার মাথা আর নীচু করো না’, গুনগুনের আচরণে বিরক্ত বাবিন
হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে পুচুসোনাকে। গোটা ঘটনার জন্য একমাত্র পটকা ছাড়া পুরো পরিবার দায়ী করেছে গুনগুনকে। এমনকি পুটুপিসিও এদিন হাসপাতালে সকলের সামনে অপমান করে গুনগুনকে। রূপাঞ্জন গুনগুনকে নিয়ে কিছুটা নরম ভাব দেখালেও চিনি কিন্তু ভীষণ রেগে আছে গুনগুনের উপর।
বৃহস্পতিবারের এপিসোডে, মিষ্টিকে পুটুপিসি সাফ জানায়- ‘নিজের মেয়েকে নিজের কাছে রাখবে মিষ্টি, অন্য কারুর কাছে দেবে না’। গোটা পরিস্থিতিতে স্ত্রীর আচরণে বিরক্ত বাবিন। সরাসরি যে গুনগুনকে বলে বসে, ‘গুনগুন তোমার লজ্জা না লাগতে পারে, আমার মাথাটা হেঁট হয়ে যাচ্ছে… এতটা মাথা নীচু করে দেওয়ার কোনও দরকার ছিল না’। বাচ্চাটাকে জন্মাতে সাহায্য করা মানেই সে তোমার নিজের সন্তান, এই ধারণা ভুল এমনটা গুনগুনকে বোঝানোর চেষ্টা করে বাবিন। গুনগুন কিছুটা অভিমানের সুরে বলে, ‘আমি পুচুসোনার কেন তোমারদের কারুই কেউ হই না, সেটা এতোদিনে বুঝতে পারছি’। গুনগুনের কাছ থেকে রেহাই চেয়ে বসে বাবিন।
এত ঘটনার পরেও গুনগুনের হয়ে এইদিন সাফাই গাইলেন তাঁর বাবা। কৌশিকবাবু কিন্তু নিজের মেয়ের কোনও ভুল দেখতে পাচ্ছেন না। জেঠাই,বড়মা থেকে বাবিনের মা, সকলেই জানাল পুচুসোনাকে নিয়ে গুনগুনের এই অবসেশন কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। গুনগুন কোনওদিন কারুর কথা শোনা না, বড়দের সম্মান করে না, মিষ্টিকে নিজের মেয়ের কাছে ঘেঁসতে দেয় না। এগুলো কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
গুনগুন কেন বাচ্চা মানুষ করতে পারবে না, সেই নিয়ে পুরো পরিবারের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেন গুনগুনের বাবা। মেয়ের হয়ে কৌশিকবাবুর এই লজিক কিছুতেই বুঝে উঠতে পারে না বাবিনের পরিবার। উলটে যৌথ পরিবারের আদর্শ নিয়েই প্রশ্ন তুলে দেন তিনি। এতোদিন ধরে গুনগুনকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন মানিয়ে নিয়েছে, এখন কেন পারছে না- তা বুঝে উঠতে পারছেন না কৌশিকবাবু।
এবার কি সত্যি আলাদা হয়ে যাবে বাবিন-গুনগুন? পুচুসোনাকে নিয়ে এই টানাপোড়েন কী মোড় নেবে সেটাই আগমিতে দেখবে দর্শক।
For all the latest entertainment News Click Here