KBC 13: খুদে প্রতিযোগীর প্রশ্নে নাজেহাল, বাধ্য হয়েই ‘অন্দর কী বাত’ ফাঁস অমিতাভের
কৌন বনেগা ক্রোড়পতিতে চলছে স্টুডেন্টস স্পেশ্যাল উইক। এই সপ্তাহে স্কুলের পড়ুয়াদের প্রশ্ন করবেন অমিতাভ হট সিটে বসে। তবে বাস্তবে দেখা গেল, প্রশ্নের তোড়ে ভেসে গেলেন নিজেই।সোমবার সোনির পক্ষ থেকে শো-এর একটি নতুন প্রোমো শেয়ার করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিওতে দেখা গেল, ‘বিগ বি’-র বহুমূল্য ল্যান্ড রোভার সম্পর্কিত সব প্রশ্ন নিয়ে হাজির হয়েছেন মানস অনিল গায়কোয়াড় নামের এক খুদে প্রতিযোগী।
হট সিটে বসেই অমিতাভের উদ্দেশে মানসের প্রশ্ন, ‘আপনার ল্যান্ড রোভার গাড়িটি কি আপনি নিজেই চালান নাকি কোনও চালক আছে?’ ওই খুদে প্রতিযোগীর এহেন প্রশ্ন শুনে অমিতাভের তো প্রায় ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়ার জোগাড়। কোনওরকমে সামলে জবাব দিলেন যে তাঁর একজন চালক রয়েছেন যিনি এই গাড়িটি চালিয়ে তাঁকে কেবিসি-র সেটে হাজির করেন। তবে মাঝেমধ্যেই সেই গাড়ির চালকের আসনে অমিতাভকেও দেখা যায়। শহরের বাইরে যখন তিনি যান তখন নিজেই এই গাড়ির স্টিয়ারিং নিয়ন্ত্রণ করেন। কেন কেবিসি-র সেটে নিজে গাড়ি চালিয়ে আসেন না তিনি, সেকথাও ওই খুদের কাছে ফাঁস করলেন ‘শাহেনশাহ’।
অমিতাভের কথায়, ‘আসলে গাড়ি চালাতে চালাতে যদি কোনও ট্র্যাফিক জ্যামে ফেঁসে যাই তখনই হয় মুশকিল। লোকজন আমাকে দেখেই ছুটে আসে, ছবি তোলে। কেউ বা কথা বলতে চায়। ফলে আরও দেরি হয় কাজে পৌঁছতে। তবে সেটা মোটেই বড় কথা নয়। আমার কোনও অসুবিধে হয় না তাতে। আসলে একটা অন্য ব্যাপার আছে।’।
সামান্য থেমে গলা খাদে নামিয়ে সেই ‘অন্দর কী বাত’ ফাঁস করেন ‘বিগ বি’। ‘আসলে আমার বাড়ি থেকে কেবিসি-র সেটে পুছতে হান্টাখানেক লাগে। এই এক ঘন্টা সময়ের মধ্যে গাড়িতে বসেই যাঁর সঙ্গে যা কথা বলার, ফোনে টেক্সট-এর উত্তর দেওয়ার কাজকম্মগুলো সব চুকিয়ে ফেলি চটপট। কাউকে হ্যালো বলা কিংবা বই বলা সেসব সেরে ফেলি গাড়িতে বসেই। তো সেইজন্যই গাড়ি চালায় না। নইলে আমার গাড়ি চালাতে বিন্দুমাত্র অসুবিধে নেই স্যার। আমি তো সবসময় রাজি!’
উল্লেখ্য, এই সপ্তাহে এই খুদেরা যে ধনরাশি জিতবেন তা পয়েন্ট হিসেবে গচ্ছিত থাকবে, এবং ১৮ বছর হওয়ার পর তাঁরা তা ব্যবহার করতে পারবেন।
For all the latest entertainment News Click Here