ISL না জিতলে সেরা কিপার হওয়ার কোনও মানে নেই- নিজের দু’টি লক্ষ্য় জানালেন বিশাল
চলতি আইএসএলে গোল্ডেন গ্লাভস, জেতা হয়ে গিয়েছে তাঁর। এ বার সামনে একটাই লক্ষ্য, দলকে চ্যাম্পিয়ন করা। সেই লক্ষ্য পূরণেই মরিয়া এটিকে মোহনবাগানের গোলকিপার বিশাল কাইথ। সেমিফাইনালের প্রথম লেগে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে তাদের ঘরের মাঠে দুরন্ত পারফরম্যান্স করে মোহনবাগানকে ড্র করতে সাহায্য করেছেন বিশালই। তাঁর হাতই রুখে দিয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের। দ্বিতীয় লেগে নামার আগে সেই বিশাল দাবি করেছেন, চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলে তাঁর গোল্ডেন গ্লাভসের কোনও মূল্যই থাকবে না।
এখনও পর্যন্ত ১১টি ম্যাচে কোনও গোল খাননি তিনি। ৬৪টি গোল বাঁচিয়েছেন। গোলকিপারদের দৌড়ে সব দিক থেকেই এগিয়ে তিনি। আইএসএল শেষ হওয়া পর্যন্ত আর কোনও গোলকিপারই তাঁর নাগাল ছুঁতে পাবেন না। যে কারণে এখনই তাঁর সেরা গোলকিপারের পুরস্কার গোল্ডেন গ্লাভস নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার তাই বিশালকে হায়দরাবাদ এফসি-র বিরুদ্ধে সেমিফাইনাল ম্যাচে সোনালী আর্ম ব্যান্ড পরে মাঠে নামতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: হায়দরাবাদে বাগানের ত্রাতা বিশাল,যুবভারতীতে অ্যাডভান্টেজে মেরিনার্স
কিন্তু এই সেরা গোলকিপারের সন্মান অর্জন করেই সন্তুষ্ট নন হিমাচল প্রদেশের রোহরু থেকে উঠে আসা এই গোলকিপার। তিনি চান দলের সঙ্গে চ্যাম্পিয়নের ট্রফি হাতে তুলতে। বৃহস্পতিবার সেমিফাইনালের প্রথম লেগে গোলশূন্য ড্র করার পরে সোমবার হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় লেগে নামছে সবুজ-মেরুন বাহিনী। তার আগে এটিকে মোহনবাগানের মিডিয়া টিমকে বিশাল বলেছেন, ‘যে কোনও গোলকিপারেরই স্বপ্ন থাকে সেরার পুরস্কার পাওয়ার। তাই গোল্ডেন গ্লাভস পেয়ে ভালো লাগছে। এত দিন অন্যদের এই সন্মান পেতে দেখেছি। এ বার জীবনে প্রথম আমি এই সন্মান পেলাম। এটা হয়তো আমাকে আরও ভালো খেলতে উদ্বুদ্ধ করবে। কিন্তু গোল্ডেন গ্লাভস পেয়েই আমি সন্তুষ্ট নই। দল চ্যাম্পিয়নের ট্রফি না জিততে পারলে এই সন্মানের কোনও মূল্যই থাকবে না।’
আরও পড়ুন: ফুটবলাররা মানসিক চাপে থাকছে, তাই গোলের সুযোগ নষ্ট হচ্ছে- অদ্ভুত যুক্তি ফেরান্দোর
ছ’ফুট দু’ইঞ্চির এই গোলকিপারের সামনে এখন দু’টি লক্ষ্য, আইএসএলের শেষ দু’টি ম্যাচে (যদি দল ফাইনালে ওঠে) প্রতিপক্ষকে গোল করতে না দেওয়া এবং দু’টি ম্যাচেই জিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়া। বিশালের দাবি, ‘সোমবার এই লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামব। খেলার সময় পুরস্কারের কথা মাথায় রাখতে চাই না। সেরা গোলকিপারের পুরস্কার পেলেও আমি মনে করি এখনও নিজের সেরা জায়গায় পৌঁছতে পারিনি। গোলকিপারের কাজই হল গোল অক্ষত রাখা। সেই কর্তব্যই আমি করেছি মাত্র। এ জন্য দলের সতীর্থ ও কোচেদের কাছে কৃতজ্ঞ আমি। আমার অর্জন করা সন্মান ওদেরই উৎসর্গ করতে চাই।’
বৃহস্পতিবারের ম্যাচে ১১ মিনিটের মাথায় বাঁ দিক থেকে হালিচরণ নার্জারির ক্রসে জোরালো হেড করেন জোয়েল চিয়ানিজ। বল গোলে ঢোকার ঠিক আগে নিজের ডানদিকে ডাইভ দিয়ে তা আটকে দিয়েছিলেন বিশাল। এটিকেই এ বারের লিগের তাঁর সেরা সেভ বলে মনে করেন ২৬ বছরের গোলকিপার। বলেন, ‘বেশ কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে ওই সেভটা করেছিলাম সে দিন। তাই ওটাই সেরা সেভ বলব।’
For all the latest Sports News Click Here