IPL-Ranji দলে ঢোকানোর জন্য লেনদেন হত টাকা,অভিযোগ প্রাক্তন পুলিশকর্তা নীরজের বইয়ে

শুভব্রত মুখার্জি: এই মুহূর্তে বিশ্ব ক্রিকেটের ধনীতম ক্রিকেট বোর্ড নিঃসন্দেহে বিসিসিআই। আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগের হাত ধরে কোটি কোটি টাকা এসেছে ভারতীয় ক্রিকেটে। বর্তমানেও আসছে। আর সঙ্গে সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দুর্নীতিও! এমনটাই উঠেছে অভিযোগ।

ম্যাচ গড়াপেটার সমস্যা তো ছিলই। পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে দল নির্বাচন থেকে যৌন হয়রানির মতন সমস্যাও। ভারতীয় ক্রিকেটের নানা অন্ধকারময় দিককে নিজের নতুন বইয়ে তুলে ধরেছেন অ্যান্টি কোরাপশন ইউনিটের প্রাক্তন প্রধান তথা আইপিএস অফিসার নীরজ কুমার। তাঁর মতে, ম্যাচ গড়াপেটা নেহাৎ-ই পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতির মাঝে হিমশৈলের চূড়ামাত্র।

সদ্য প্রকাশিত পেয়েছে নীরজ কুমারের নতুন বই ‘এ কপ ইন ক্রিকেট’ অর্থাৎ ক্রিকেটের দুনিয়াতে একজন পুলিশ। সেখানেই নানা অন্ধকারময় দিক ভারতীয় ক্রিকেটের তুলে ধরেছেন তিনি। তাঁর তিন বছরের সময়কালে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে বিভিন্ন বিষয়ে। সেই সব নিয়েই আলোকপাত করেছেন তিনি।

আরও পড়ুন: ভারতের হয়ে নয়, মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলেই ২২ গজে ফিরবেন বুমরাহ

নিজের বইতে তিনি লিখেছেন, ‘যে তিন বছর আমি দায়িত্বে ছিলাম, আমি বুঝেছি ভারতীয় ক্রিকেটে যে পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতি তাতে ম্যাচ গড়াপেটা হিমশৈলের চূড়ামাত্র। ক্রিকেট প্রশাসকেরা যে বড় পর্যায়ের দুর্নীতি করেন, তাতে ম্যাচ গড়াপেটা নেহাৎ-ই বাচ্চা। আইপিএল‌ থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা রোজগার করা হয়। যা পরবর্তীতে বিসিসিআই ক্রিকেটের উন্নতিতে রাজ্য অ্যাসোসিয়েশনগুলিকে দিয়ে থাকে। দুর্নীতির শুরুটা হয় এর পর থেকেই। ২০১৫ সালে এমন এক কেসে সিবিআই জম্মু-কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছিল কোটি কোটি টাকা তছরুপের কারণে। গ্রাসরুট লেভেলেও টিম নির্বাচনে দুর্নীতি হয়। এই ঘটনা নির্বাচক, উদীয়মান ক্রিকেটার এবং তার পরিবারের মধ্যেই থেকে যায়। পাশাপাশি রয়েছে তরুণ ক্রিকেটারদের কাছ থেকে যৌন সুবিধা চাওয়ার মতন অভিযোগও। আমরা এমন অনেক অভিযোগ পেয়েছি যেখানে কোচ বা কর্মকর্তা আইপিএলে বা রঞ্জিতে সুযোগ করে দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়েছে। তার পর সেই টাকা আত্মসাৎ করে উধাও হয়ে গিয়েছে।’

আরও পড়ুন: সকালে অশ্বিন-জাদেজার সঙ্গে কথা হয়েছিল- অজি বধের রহস্য ফাঁস করলেন রোহিত

পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচিত কমিটির প্রধান বিনোদ রাই এবং তৎকালীন বিসিসিআই সিইও রাহুল জোহরির সম্পর্কেও বিস্ফোরক দাবি করেছেন নীরজ কুমার। তাঁর বক্তব্য ‘পাতানো ছেলে’ জোহরির বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ শুনতেন না বিনোদ রাই । নীরজ জানিয়েছেন, একাধিক বিষয়ে তিনি জোহরির বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে এসেছেন বিনোদ রাইয়ের কাছে। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। নীরজ কুমার লিখেছেন, ‘সব সময়ে আমার কথা (জোহরির বিরুদ্ধে) ধৈর্য্য ধরে মন দিয়ে শুনতেন বিনোদ রাই। আমার মনে হত, বিনোদ আমার পক্ষে রয়েছে। আমার কথা শুনে সতর্ক করবে জোহরিকে। কিন্তু এর পর বিনোদ আর কিছুই করত না। চুপ হয়ে যেত। জোহরি পরিকল্পনা করে ওর খারাপ কাজের দায় আমার দিকে ঠেলার চেষ্টা করত। এক সাংবাদিককে ওর পরিকল্পনার বিষয়েও বলেছিল। এর পর বিনোদকে এক মিটিংয়ের আগে দেখে মনে হয়েছিল, ও আমার পক্ষেই কথা বলবে। কিন্তু মিটিংয়ে এসে ও সিইও জোহরির লাইনেই কথা বলেছিল। যদিও সত্যি ঘটনাটা বিনোদ জানত।’

ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকদের উপেক্ষা করার ক্ষেত্রেও বিসিসিআই-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন নীরজ কুমার। যে সমর্থকদের কারণে ভারতীয় ক্রিকেটে কোটি কোটি টাকা, স্টেডিয়ামে তাঁরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন টয়লেট, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার, পরিষ্কার পানীয় জল, পার্কিংয়ের সুবিধার মতন ছোট ছোট বিষয়গুলো থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকেন। তিনি আরও লিখেছেন, ‘এই দেশের তথাকথিত ক্রিকেট প্রশাসক, যারা জীবনে কোনও দিন ব্যাট বা বল ধরেনি, তারা ক্রিকেট থেকে আসা কোটি কোটি টাকা ভোগ করেছে।’ বেটিংকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘এই বিষয়ে আমার ছুতমার্গ রয়েছে। আমার মনে হয় না, কোনও রাজনৈতিক দল এই ঝুঁকি নেবে। তারা জুয়াকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার ঝুঁকি নেবে না। আর যদি সরকার সেটা করেও, আমি নিশ্চিত নই যে, কত জন এখানে তাঁদের কষ্টার্জিত টাকা লাগাবে। সেই কালো টাকার কারবারের জায়গা হয়ে উঠতে পারার ঝুঁকি থাকছে।’

For all the latest Sports News Click Here 

Read original article here

Denial of responsibility! TechAI is an automatic aggregator around the global media. All the content are available free on Internet. We have just arranged it in one platform for educational purpose only. In each content, the hyperlink to the primary source is specified. All trademarks belong to their rightful owners, all materials to their authors. If you are the owner of the content and do not want us to publish your materials on our website, please contact us by email – [email protected]. The content will be deleted within 24 hours.