‘IPL-এ মেডেন ওভার খেলেছে’ অবিশ্বাস্য কাণ্ডে মেসেজের ‘বন্যায়’ ভেসেছিলেন সেহওয়াগ
শুভব্রত মুখার্জি: বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম আক্রমণাত্মক ব্যাটার ছিলেন ভারতের বিশ্বকাপজয়ী ওপেনার বীরেন্দ্র সেহওয়াগ। বিশেষ করে টেস্ট এবং ওয়ানডে ম্যাচে ওপেনিং ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে তিনি বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছিলেন। বিশ্বের সমস্ত বোলিং অ্যাটাকের উপরেই তিনি তার প্রাধান্য বিস্তার করেছিলেন। দেশের হয়ে ১০৪ টি টেস্ট, ২৫১টি ওয়ানডে এবং ১৯ টি টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন বীরেন্দ্র সেহওয়াগ। টেস্টে দুটি ত্রিশতরানের পাশাপাশি ওয়ানডেতেও একটি দ্বিশতরান রয়েছে তার। এহেন বীরেন্দ্র সেহওয়াগ কিনা লাসিথ মালিঙ্গার বিরুদ্ধে আইপিএলের ম্যাচে খেলেছিলেন একটি মেডেন ওভার। ম্যাচ শেষে তার মেসেজ বক্সে ভরে গিয়েছিল এই বার্তায় ‘কীকরে পারলে’? অর্থাৎ কীকরে তুমি আইপিএলে ও একটা ওভার মেডেন খেলতে পারলে!
প্রসঙ্গত ২০১১ সালে আইপিএলের এক ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল দিল্লি ডেয়ারডেভিলস এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দল। সেই ম্যাচে লাসিথ মালিঙ্গার করা একটা ওভার মেডেন গিয়েছিল। ৬টি বলের একটিতে রান পাননি বীরেন্দ্র সেহওয়াগ। বীরুর মতো আক্রমণাত্মক স্বভাবের একজন ব্যাটার আইপিএলের মতো মঞ্চে কীকরে একটা গোটা ওভার মেডেন খেললেন তাই বুঝে উঠতে পারেননি বিশেষজ্ঞরা। নিজের ক্রিকেট কেরিয়ারে ১০ বছর পরে এটাই ছিল প্রথম মেডেন ওভার। সেই ঘটনার ১১ বছর পরে ক্রিকবাজে সেই ঘটনার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বীরেন্দ্র সেহওয়াগ জানান ওই মেডেন ওভার খেলার পরে ম্যাচ শেষে কীভাবে মেসেজের বন্যাতে ভেসেছিলেন তিনি।
সেহওয়াগ বলেন ‘আমি একবার আইপিএলে একটা মেডেন ওভার খেলেছিলাম। বিকেলেই আমি একাধিক মেসেজ পাই ‘কীকরে পারলে তুমি এটা করতে? তাও আবার টি-২০ তে? আমি মালিঙ্গার ওভারটা মেডেন খেলি। কারণ তার আগে ও ৩-৪ টে উইকেট (২ টো উইকেট) নিয়েছিল। ওটা পাওয়ারপ্লের শেষ ওভার ছিল। মনে হয়েছিল আমি স্ট্রাইকে না থাকলে মালিঙ্গা আরও একটি উইকেট নিতে পারে। সেই কারণেই আমি ওই গোটা ওভারটা খেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি। আমার মনে আছে আমার বন্ধুরা, মিডিয়ার বন্ধুরা আমাকে টেকস্ট করেছিল কীভাবে আমি মেডেন ওভার খেললাম তা জানতে। আমি অবশ্য প্রথম তিন বলে ওকে মারার চেষ্টা করেছিলাম তবে তিনটি শট ফিল্ডারদের হাতে চলে যায়। তাই শেষ তিনটে বলে ওকে দেখে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি।’
For all the latest Sports News Click Here